Loading AI tools
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গ্রেইম ক্রেইগ স্মিথ (ইংরেজি: Graeme Craig Smith; জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১) দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভাল প্রদেশের জোহেন্সবার্গে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গ্রেইম স্মিথ টেস্ট পর্যায়ে দলটির অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর তিনি তৎকালীন অধিনায়ক ও বোলার শন পোলকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর একদিনের দলে এবি ডি ভিলিয়ার্স অধিনায়ক হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন। বর্তমানে তিনি কাউন্টি ক্রিকেটে বহিরাগত খেলোয়াড় হিসেবে সারে দলের অধিনায়কত্ব করছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গ্রেইম ক্রেইগ স্মিথ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জোহানেসবার্গ, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বিফ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, মাঝে-মধ্যে অফ স্পিনার, দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৮৮) | ৮ মার্চ ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ মার্চ ২০১৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭০) | ৩০ মার্চ ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯/২০০০ | গটেং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০ | হ্যাম্পশায়ার ক্রিকেট বোর্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০/০১-২০০৩/০৪ | ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪/০৫-বর্তমান | কেপ কোবরাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ | সমারসেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | রাজস্থান রয়্যালস (জার্সি নং ১৫) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩-২০১৪ | সারে (জার্সি নং ১৫) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৮ অক্টোবর ২০১৬ |
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহেন্সবার্গে গ্রেইম স্মিথ জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবার নাম গ্রাহাম এবং মা জেনেট। জোহেন্সবার্গের কিং এডওয়ার্ড সেভেন স্কুল স্কুলে পড়াশোনা করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষ হয়ে তিনটি টেস্ট[1] এবং সাতটি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেন।[2] তন্মধ্যে পাঁচটি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ছিল আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার।[3] টেস্ট খেলায় তিনি একটি সেঞ্চুরি ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচটি অর্ধ-শতক করেন। এ অসাধারণ ক্রীড়ানৈপুণ্যের জন্যে গ্রেইম স্মিথ ২০০১-০২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[4]
স্মিথ দীর্ঘ দেহের অধিকারী ও বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। টেস্টে তিনি সর্বমোট ২৭টি সেঞ্চুরি করেন, তন্মধ্যে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি। দীর্ঘদেহী বামহাতি গ্রেইম স্মিথ ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষ হয়ে ইংল্যান্ড সফরে ধারাবাহিকভাবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।[5] এজবাস্টনে ২৭৭[6] এবং লর্ডসে ২৫৯ রান করেছিলেন।[7] তন্মধ্যে বিদেশী খেলোয়াড় হয়ে তিনি লর্ডসে সর্বোচ্চ রান করেন।[8] ১৯ জুলাই, ২০১২ তারিখে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে নিজস্ব শততম টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তারিখে তার ৩২তম জন্মদিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে শততম টেস্ট খেলায় নেতৃত্ব দেন। ২৪ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে নিজস্ব ১১২তম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ২য় ও বৈশ্বিকভাবে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে ৯০০০ রানের কোটা অতিক্রম করেন।[9][10][11] হার্শেল গিবসের সাথে উদ্বোধনী জুটিতেই তিনি সর্বাধিক সাফল্য পেয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০০ রানের চারটি জুটিতেই তিনি নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রেখেছেন।[12] তন্মধ্যে তিনটি ছিল গিবসের সাথে এবং বাকী একটি ৪১৫ রানের বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী জুটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিল ম্যাকেঞ্জি অংশ নিয়েছেন।[13] একদিনের আন্তর্জাতিকে সেঞ্চুরি করেছেন ১০টি।
২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগুয়ায় অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টে ডোয়েন ব্র্যাভো তার প্রথম শতক করে মার্ক বাউচারের হাতে আউট হন ১০৭ রানে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্যের জন্য ব্র্যাভো সরাসরি অভিযোগ আনেন। কিন্তু উপযুক্ত স্বাক্ষ্য-প্রমাণাদির অভাবে স্মিথ নির্দোষ বলে প্রমাণিত হন ও তরুণ অল-রাউন্ডার হিসেবে ব্র্যাভোকে ক্ষমা প্রার্থনা করার দাবী জানান।[14] পরবর্তীতে ব্র্যাভো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এমনটি তিনি করেননি বলে জানান যা দক্ষিণ আফ্রিকার গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয় ও বিতর্কের জন্ম দেয়।
৩ মার্চ, ২০১৪ তারিখে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ৩য় টেস্ট চলাকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গন থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন গ্রেইম স্মিথ।[15]
আইরিশ গায়িকা মর্গ্যান ডিন নামীয় তরুণীকে আগস্ট, ২০১১ সালে কেপ টাউনের ক্লেয়ারমন্ট এলাকার সেন্ট বার্নার্ড ক্যাথলিক চার্চে বিয়ে করেন।[16] ২৫ জুলাই, ২০১২ সালে কেডেন্স ক্রিস্টিন স্মিথ নামীয়া কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।[17] এর এক বছর পর ১৫ জুলাই, ২০১৩ তারিখে 'কার্টার ম্যাকমরিন' নামে এক পুত্র সন্তানের জনক হন তিনি।[18] চারবছর দাম্পত্য জীবনের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে জনসমক্ষে গ্রেইম-মর্গ্যান বিবাহ-বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।[19]
গ্রেইম স্মিথ লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের একনিষ্ঠ সমর্থক এবং কেনি ড্যাগলিশকে তিনি শৈশবকালের আদর্শ খেলোয়াড় হিসেবে মর্যাদা দিয়ে আসছেন।[20]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.