Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান বা ইংরেজিতে চীফ অব দ্য নেভাল স্টাফ অব পাকিস্তান হচ্ছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর সর্বোচ্চ পদ। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির স্বাধীনতার পরপরই এই পদটি চালু হয় তবে তখন এর নাম ছিলো পাকিস্তান নৌবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বা কমান্ডার-ইন-চীফ অব দ্য পাকিস্তান নেভি। ১৯৭২ সালে নৌবাহিনী প্রধান চীফ অব নেভাল স্টাফ নামে পরিচিতি পান। নৌপ্রধানের নিয়োগ হয় পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির দ্বারা দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে।[2]
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান | |
---|---|
سربراہ پاک بحریہ | |
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়[1] | |
সংক্ষেপে | সিএনএস |
এর সদস্য | জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ কমিটি |
যার কাছে জবাবদিহি করে | পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী |
আসন | নৌবাহিনী সদর-দপ্তর ইসলামাবাদ |
মনোনয়নদাতা | পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী |
নিয়োগকর্তা | পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি |
মেয়াদকাল | ৩ বছর (সর্বোচ্চ) |
পূর্ববর্তী | পাকিস্তান নৌবাহিনীর সর্বাধিনায়ক (১৯৪৭-১৯৭২) |
গঠন | ৩ মার্চ ১৯৭২ |
প্রথম | অ্যাডমিরাল হাসান হাফিজ আহমেদ (স্টাফ প্রধান) |
পরবর্তী | উর্ধ্বতন অ্যাডমিরাল |
বেতন | পাকিস্তান নৌবাহিনী বেতন কাঠামো |
ওয়েবসাইট | Official website |
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং সমগ্র পাকিস্তান রাষ্ট্রে নৌবাহিনী প্রধান একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। পাকিস্তান নৌবাহিনী রাষ্ট্রটির সমুদ্র সীমা রক্ষায় গুরু দায়িত্ব পালন করা সহ চোরাচালানিদের ধরা সহ শান্তিকালীন সময়ে সহ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরিতা বজিয়ে রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসেবে কাজ করে, সে হিসেবে নৌবাহিনী প্রধান পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যক্তিদের একজন বিবেচিত হন।
পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অধিনায়ক হিসেবে কাজ করেন, তিনি নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরালদের একজন।[3][4]
১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রটি তৈরি হবার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান নৌবাহিনীও তৈরি হয়, ব্রিটিশ ভারতের রাজকীয় ভারতীয় নৌবাহিনীর মুসলিমরা রাজকীয় পাকিস্তান নৌবাহিনী গড়ে তোলেন, যদিও একেবারে শুরুর দিকে পাকিস্তান নৌবাহিনীর উঁচু পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রায় সবাই ইংরেজ ছিলেন। ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল পদবির কর্মকর্তা পাকিস্তান নৌবাহিনীর ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং হচ্ছিলেন ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত, এই বছর রিয়ার অ্যাডমিরাল সিদ্দিক চৌধুরী নামের একজন স্থানীয় পাকিস্তানি নৌবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বে আসেন। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত নৌ সদর করাচিতে ছিলো; '৭৫ সনে তা ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত হয়ে যায়।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫তে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান ছিলেন অ্যাডমিরাল আফজাল রহমান খান, যার নেতৃত্বে পাকিস্তান নৌবাহিনী ভারতীয় নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় এবং শত্রুকে উপর্যুপরি ঘায়েল করতে সক্ষম হয়। 'অপারেশন দোয়ারকা' নামের নৌ সমরাভিযানের সাফল্যে রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান অনেক খুশী হয়েছিলেন এবং নৌবাহিনীর অনেক সদস্য যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান স্বরূপ পদক পেয়েছিলো।[5]
পাকিস্তান নৌবাহিনীর সদর দপ্তর ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত করাচিতে ছিলো; এই বছর তা ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত হয়ে যায়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.