Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (উর্দু: پاکستان مسلم لیگ (ن) সংক্ষেপ: পিএমএল-এন) পাকিস্তানের একটি ডানপন্থী রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল। আসন্ন নির্বাচনের জন্য নাসিরুল মুলক দ্বারা পরিচালিত অন্তর্বতী সরকার নিযুক্তি পর্যন্ত দলটি সম্প্রতি ক্ষমতায় ছিল। ২০১৭ সালে এপেক্স কোর্টের অবজ্ঞায় অযোগ্য হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ তিনবার নির্বাচিত হন। সাধারণত এই দলের প্ল্যাটফর্ম রক্ষণশীল,[8] যাতে জড়িত মুক্ত বাজার পুঁজিবাদকে সমর্থন, একটি শক্তিশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা গড়নে, সামরিক ক্ষমতা, প্রহরতার বিরোধী। [8]
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। |
পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) پاکستان مسلم لیگ (ن)
or ن لیگ | |
---|---|
সংক্ষেপে | পিএমএল (এন) |
সভাপতি | শেহবাজ শরীফ[1] |
চেয়ারম্যান | রাজা জাফর উল হক |
মহাসচিব | আহসান ইকবাল |
মুখপাত্র | মুহাম্মদ তালাল চৌধুরী |
সিনেটে নেতা | মুশহাদিদ হোসাইন ছৈয়দ |
অ্যাসেম্বলিতে নেতা | কেউনা (অন্তর্বতী সরকার) |
প্রতিষ্ঠাতা | নওয়াজ শরীফ |
পূর্ববর্তী | ইসলামী জামহুরী ইত্তেহাদ |
সদর দপ্তর | রাইওয়ান্ড প্যালেস, লাহোর |
ভাবাদর্শ | রক্ষণশীল[2] সামাজিক রক্ষণশীল[3] সর্বোত্তম উদারনীতি[4] জাতীয়তাবাদ |
রাজনৈতিক অবস্থান | ডানপন্থী[5][6][7] |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Green |
সিনেট | ৩৩ / ১০৪ |
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি | ১৭৮ / ৩৪২ |
পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলি | ৩০৯ / ৩৭১ |
সিন্ধ অ্যাসেম্বলি | ৭ / ১৬৮ |
কেপিকে অ্যাসেম্বলি | ১৬ / ১২৪ |
বেলুচিস্তান অ্যাসেম্বলি | ২১ / ৬৫ |
জিবি অ্যাসেম্বলি | ২০ / ৩৩ |
এজিকে অ্যাসেম্বলি | ৩৫ / ৪৯ |
নির্বাচনী প্রতীক | |
ওয়েবসাইট | |
PMLN Official | |
পাকিস্তানের রাজনীতি |
মূল মুসলিম লীগের অনেকগুলো চলমান ক্রিয়াকলাপের মধ্যে একটি,[9] দলটির বীজ বপন করা ১৯৮৫ সালের নির্বাচনে যখন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ খান জানেজু রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ জিয়া-উল-হকের একনায়কতন্ত্রের সমর্থকদের মধ্যে একটি আলাদা দল সংগঠিত করেন, যা পাকিস্তান মুসলিম লীগ হিসেবে পরিচিত। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুর পর ফিদা মুহাম্মদ খানের নেতৃত্বাধীন একটি বৃহৎ দল জানেজু নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ থেকে বিভক্ত হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ডানপন্থী ও ইসলামী দল নিয়ে একটি রক্ষণশীল জোট গঠিত হয়, যাকে বলা হয় ইসলামী গণতান্ত্রিক জোট।
১৯৯০ সালে নওয়াজ শরীফ নেতৃত্বাধীন একটি সরকার গঠনের জন্য এই জোট গঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে, এই জোটটি ভেঙ্গে যায় এবং দলটি ইহার বর্তমান অবস্থায় অধিকৃত হয়, পাকিস্তান মুসলিম লীগের "নওয়াজ" দলটি "নওয়াজ" হিসেবে ইহার নেতা নিজেই মার্কা দেয় "জানেজা" দলটির বিপরীতে।
যেহেতু জেনারেল জিয়াউল হক কর্তৃক ইহার ভিত্তি, পিএমএল-এন সহ পিপলস পার্টি দুই দল রাজনৈতিক ব্যবস্থার অধীন ছিল।[10] যাহোক, ১৯৯৯ সালের আঘাতের পর দলটি নিজের স্প্লিন্টের দল দ্বারা অভিগ্রস্ত হয়েছিল, মোশাররফ প্রায় এক দশক ধরে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কুয়াদ) সমর্থিত ছিল।
যাহোক, পিএমএল-এন ২০০৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে জনপ্রিয়তা পুনঃঅর্জন করে যখন এটি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে নির্বাচিত হয়। ২০১৩ সালে এই দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে, নাওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নজিরবিহীন তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন। পাঞ্জাব প্রদেশ হচ্ছে দলটির শক্তির কেন্দ্র; যেখানে ১৯৮৫ সাল থেকে দলটি ছয় বার প্রাদেশিক সরকার গঠন করে, নাওয়াজের ভাই শেহবাজের অধীনে তিনবার।
পাকিস্তান সৃষ্টি এবং ১৯৪৭ সালে ইংরেজ রাজত্বের প্রস্থানের পর, নিখিল ভারত মুসলিম লীগ (এআইএমএল) মুসলিম লীগে পরিণত হয়, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের নেতৃত্বে ছিল। প্রধানমন্ত্রী আলী খানের হত্যার পর, মুসলিম লীগ নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সংগ্রাম করে, অবশেষে বামফ্রন্টের কাছে আইনসভা নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ হারায়।[11]
দলের নির্দেশনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ, রাজনৈতিক কর্মসূচির অভাব, জনসাধারণের সংস্কারের অনুপ্রেরণা, অপর্যাপ্ত প্রশাসনিক প্রস্তুতি এবং অব্যবস্থাপনা সবই দলকে জনসমক্ষে পতনের দিকে নিয়ে যায়।[12] সমাজতান্ত্রিক দলের সাথে, মুসলিম লীগ রিপাবলিকান পার্টি এবং আওয়ামী লীগের মুখোমুখি হওয়ার সময় তার টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করে।[11]
১৯৫৮ সালে জারি করা সামরিক আইন অবশেষে দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে বেআইনি ঘোষণা করে। পিএমএল-এন এর প্রতিষ্ঠা ও ভিত্তি পাকিস্তান মুসলিম লীগের সাথে নিহিত, যা ১৯৬২ সালে বিলুপ্ত মুসলিম লীগ থেকে প্রাপ্ত একটি সমৃদ্ধ রক্ষণশীল কৌশল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[11]
পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) এর প্রেসিডেন্টের তালিকা | ||||
---|---|---|---|---|
ক্রম | ছবি | প্রেসিডেন্ট | বছর | যুক্তিসহ ব্যাখ্যা |
১ | নওয়াজ শরীফ | ১৯৯৩–১৯৯৯ | ১ম মেয়াদ | |
২ | কুলসুম নাওয়াজ | ১৯৯৯–২০০১ | ১ম মেয়াদ | |
৩ | জাভেদ হাশেমী | ২০০১-২০০৫ | ১ম মেয়াদ | |
৪ | চৌধুরী নিসার আলী | ২০০৫–২০০৯ | ১ম মেয়াদ | |
৫ | শেহবাজ শরীফ | ২০০৯–২০১০ | ১ম মেয়াদ | |
(৩) | জাভেদ হাশেমী | ২০১০-২০১১ | ২য় মেয়াদ | |
(১) | নওয়াজ শরীফ | ২০১১–২০১৭ | ২য় মেয়াদ | |
(৫) | সর্দার ইয়াকুব খান নিসার | ২০১৭ | ১ম মেয়াদ | |
(১) | নওয়াজ শরীফ | ২০১৭–২০১৮ | ৩য় মেয়াদ | |
(৫) | শেহবাজ শরীফ | ২০১৮–বর্তমান | ২য় মেয়াদ | |
দল নেতৃত্ব | ||
---|---|---|
প্রতিনিধিত্ব/দল অফিস | দল বাহক | প্রাদেশিক প্রতিনিধিত্ব |
চেয়ারম্যান | রাজা জাফর উল হক | পাঞ্জাব |
ভাইস চেয়ারম্যান | মামনুন হোসাইন | সিন্ধু |
প্রেসিডেন্ট | শেহবাজ শরীফ | পাঞ্জাব |
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট | গাউস আলী শাহ সর্দার সিকান্দর হায়াত খান ছরতাজ আজিজ ইয়াকুব খান আমির মুকাম রাজা মুহাম্মদ রিজওয়ান (ভাইস প্রেসিডেন্ট গুজরাত) |
সিন্ধু আজাদ কাশ্মীর খাইবার পাখতুনখোয়া সিন্ধু খাইবার পাখতুনখোয়া |
ভাইস প্রেসিডেন্ট | সেলিম জিয়া ইমাদ চান্দিও পীর সাবির শাহ |
সিন্ধু সিন্ধু খাইবার পাখতুনখোয়া |
সেক্রেটারি জেনারেল | ইকবাল জাফর ঝাগরা | খাইবার পাখতুনখোয়া |
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল | আহসান ইকবাল | ইসলামাবাদ |
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল | সালাহ-উদ-দীন তিরমিজী লেফ.জেন. (অব.) আবদুল কাদির বালুচ |
সিন্ধু বেলুচিস্তান |
সেক্রেটারি ফাইন্যান্স | পারভেজ রশিদ | পাঞ্জাব |
তথ্য সেক্রেটারি | মুশহাহিদ উল্লাহ খান | পাঞ্জাব |
ডেপুটি তথ্য সেক্রেটারি | খুররম দস্তগীর খান | পাঞ্জাব |
জয়েন্ট সেক্রেটারি | আব্দুস সাত্তার মান্দোখেল | বেলুচিস্তান |
কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ (উল্লেখযোগ্য কর্মী) | ||
| ||
|
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.