![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/57/Fernando_Torres_2017.jpg/640px-Fernando_Torres_2017.jpg&w=640&q=50)
ফের্নান্দো তোরেস
স্পেনীয় ফুটবলার / From Wikipedia, the free encyclopedia
ফের্নান্দো হোসে তোরেস সান্স (স্পেনীয় উচ্চারণ: [feɾˈnando ˈtores], স্পেনীয়: Fernando Torres; জন্ম: ২০ মার্চ ১৯৮৪; ফের্নান্দো তোরেস নামে সুপরিচিত) হলেন একজন স্পেনীয় সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। ভক্তদের কাছে এল নিনিয়ো ডাকনামে পরিচিত তোরেস তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় আতলেতিকো মাদ্রিদ, লিভারপুল এবং স্পেন জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।
![]() ২০১৭ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে তোরেস | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফের্নান্দো হোসে তোরেস সান্স[1] | ||
জন্ম | (1983-03-20) ২০ মার্চ ১৯৮৩ (বয়স ৪১)[2] | ||
জন্ম স্থান | ফুয়েনলাব্রাদা, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৮৬ মিটার (৬ ফুট ১ ইঞ্চি)[3] | ||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৫–২০০১ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০১–২০০৭ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ২১৪ | (৮২) |
২০০৭–২০১১ | লিভারপুল | ১০২ | (৬৫) |
২০১১–২০১৫ | চেলসি | ১১০ | (২০) |
২০১৪–২০১৫ | → এসি মিলান (ধার) | ১০ | (১) |
২০১৫–২০১৬ | এসি মিলান | ০ | (০) |
২০১৫–২০১৬ | → আতলেতিকো মাদ্রিদ (ধার) | ৪৯ | (১৪) |
২০১৬–২০১৮ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ৫৮ | (১৩) |
২০১৮–২০১৯ | সাগান তোসু | ৩৫ | (৫) |
মোট | ৫৭৮ | (২০০) | |
জাতীয় দল | |||
২০০০ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৫ | ১ | (০) |
২০০১ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ | ৯ | (১১) |
২০০১ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৭ | ৪ | (১) |
২০০২ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৮ | ১ | (১) |
২০০২ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯ | ৫ | (৬) |
২০০২–২০০৩ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ | ১০ | (৩) |
২০০৩–২০১৪ | স্পেন | ১১০ | (৩৮) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
১৯৯৫–৯৬ মৌসুমে, স্পেনীয় ফুটবল ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে তোরেস ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছিলেন। ২০০১–০২ মৌসুমে, আতলেতিকো মাদ্রিদের মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি ৬ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন; আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে তিনি ২১৪ ম্যাচে ৮২টি গোল করেছিলেন। অতঃপর ২০০৭–০৮ মৌসুমে তিনি প্রায় ২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইংরেজ ক্লাব লিভারপুলে যোগদান করেছিলেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ১৪২ ম্যাচে ৮১টি গোল করেছিলেন। লিভারপুলে ৪ মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে (যা উক্ত সময়ে চেলসির ক্লাব রেকর্ডের পাশাপাশি কোন ব্রিটিশ খেলোয়াড়ের জন্য প্রদত্ত সর্বোচ্চ মূল্য ছিল) চেলসির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, চেলসির হয়ে তিনি রবের্তো দি মাত্তেওর অধীনে ২০১১–১২ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি এসি মিলান এবং আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলেছিলেন।[4][5] সর্বশেষ ২০১৮–১৯ মৌসুমে, তিনি আতলেতিকো মাদ্রিদ হতে জাপানি ক্লাব সাগান তোসুতে যোগদান করেছিলেন;[6][7][8] সাগান তোসুতে হয়ে ১ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
২০০০ সালে, তোরেস স্পেন অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে স্পেনের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৪ বছর যাবত স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০০৩ সালে স্পেনের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; স্পেনের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ১১০ ম্যাচে ৩৮টি গোল করেছিলেন। তিনি স্পেনের হয়ে সর্বমোট ৩টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৪) এবং ৩টি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (২০০৪, ২০০৮ এবং ২০১২) অংশগ্রহণ করেছিলেন, যার মধ্যে ২০১০ সালে ভিসেন্তে দেল বস্কের অধীনে ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জয়লাভ করার পাশাপাশি ২টি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০৯ এবং ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ব্যক্তিগতভাবে, তোরেস বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ গোল্ডেন শু, ২০১২ উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ গোল্ডেন বুট জয়ের পাশাপাশি ২০০৮ বালোঁ দরে তৃতীয় স্থান অধিকার করা অন্যতম।[9][10][11] দলগতভাবে, তোরেস সর্বমোট ৯টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ২টি আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে, ৩টি চেলসির হয়ে এবং ৪টি স্পেনের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।