Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শাহ মাহমুদ হুতাক, (পশতু, দারি, উর্দু, আরবি: شاه محمود هوتک) (শাহ মাহমুদ গিলজি নামেও পরিচিত) (পশতু: شاه محمود غلجي) (১৬৯৭? — ২২ এপ্রিল ১৭২৫) ছিলেন আফগানিস্তানের হুতাক রাজবংশের শাসক। পতনশীল সাফাভি রাজবংশকে তিনি স্বল্প সময়ের জন্য উৎখাত করতে সক্ষম হন এবং ১৭২২ থেকে ১৭২৫ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পারস্যের বাদশাহ ছিলেন।[1]
শাহ মাহমুদ হুতাক | |||||
---|---|---|---|---|---|
আফগানিস্তানের আমির/ইরান ও আফগানিস্তানের শাহ | |||||
রাজত্ব | হুতাক রাজবংশ: ১৭১৭–১৭২৫ | ||||
রাজ্যাভিষেক | ১৭১৭ ও ১৭২২ | ||||
পূর্বসূরি | আবদুল আজিজ হুতাক | ||||
উত্তরসূরি | আশরাফ হুতাক | ||||
জন্ম | ১৬৯৭ | ||||
মৃত্যু | ২২ এপ্রিল ১৭২৫ ইসফাহান | ||||
| |||||
রাজবংশ | হুতাক রাজবংশ | ||||
পিতা | মীরওয়াইস হুতাক | ||||
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) |
মাহমুদ হুতাক ছিলেন মীরওয়াইস হুতাকের জ্যেষ্ঠ পুত্র। মীরওয়াইস হুতাক কান্দাহার অঞ্চলকে পারস্যের হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন।[2] ১৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে মীরওয়াইস হুতাক মারা যাওয়ার পর তার ভাই আবদুল আজিজ হুতাক ক্ষমতালাভ করেন। কিন্তু গিলজি আফগানদের চাপে মাহমুদ নিজে ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং তার চাচা আবদুল আজিজ হুতাককে হত্যা করা হয়।[3]
১৭২০ খ্রিষ্টাব্দে মাহমুদ ও গিলজিরা প্রতিপক্ষ দুররানি গোত্রকে পরাজিত করে। মাহমুদ হুতাক পারস্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। ১৭১৯ ও ১৭২১ খ্রিষ্টাব্দ উভয় বছর তিনি কিরমান অভিযান করেছিলেন। এতে ব্যর্থ হয়ে ইয়াজদের উপর আরেকটি অবরোধ আরোপ করেন। ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমদিকে মাহমুদ শাহর রাজধানী ইসফাহানের দিকে মনোনিবেশ করেন। গুলনাবাদের যুদ্ধে পারস্যকে পরাজিত করা হয়। শাহকে পিছু হটে পুনরায় সেনা সংগ্রহ করার পরামর্শ দেয়া হলেও তিনি শহরে অবস্থান করার সিদ্ধাত নেন। ইসফাহানের অবরোধ ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। গোলন্দাজ বাহিনী না থাকায় তিনি অবরোধ আরোপ করে পার্সিয়ানদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার পরিকল্পনা করেছিলেন। শেষপর্যন্ত ইসফাহান আত্মসমর্পণ করে। ২৩ অক্টোবর সুলতান হুসাইন ক্ষমতা ত্যাগ করে মাহমুদ হুতাককে পারস্যের নতুন শাহ মেনে নেন।[4]
শাসনের শুরুর দিকে মাহমুদ বদান্যতা দেখিয়েছেন। তিনি রাজপরিবারের বন্দীদের সাথে উত্তম আচরণ করেছেন এবং রাজধানীর ক্ষুধার্ত বাসিন্দাদের জন্য খাবার সরবরাহ করেছেন। কিন্তু হুসাইনের পুত্র দ্বিতীয় তাহমাস্প নিজেকে শাহ ঘোষণা করার পর মাহমুদ নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হন। মাহমুদ কাজভিনে তাহমাস্পের ঘাটির দিকে একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। তাহমাস্প পালিয়ে যান এবং আফগানরা শহর দখল করে নেয়। ১৭২৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে এখানে একটি সফল বিদ্রোহ হয়। এরপর বিদ্রোহের আশঙ্কায় পার্সিয়ান মন্ত্রীসহ অনেককে হত্যা করা হয়। একই সময়ে পার্সিয়ানদের প্রতিদ্বন্দ্বী উসমানীয় ও রুশরা বিশৃঙ্খলার সুযোগে নিজেদের জন্য অঞ্চল দখল করা শুরু করে। ফলে মাহমুদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল কমে যায়।[5]
পারস্যে শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা মাহমুদের উপর প্রভাব ফেলেছে। অনেক আফগান তার চাচাত ভাই আশরাফ হুতাককে সমর্থন করার কারণে তার প্রতি তার নিজের লোকের আনুগত্য নিয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। ১৭২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে সুলতান হুসাইনের এক পুত্র সাফি মীর্জার পলায়নের খবর পাওয়ার পর বাকি সাফাভি রাজপুত্রদেরকে হত্যা করা হয়। তবে সুলতান হুসাইনের ক্ষতি করা হয়নি। হত্যা বন্ধের জন্য চেষ্টা করতে গিয়ে সুলতান হুসাইন আহত হন। তবে একারণে মাহমুদ তার দুই অল্পবয়স্ক সন্তানকে ছেড়ে দেন।[6]
মাহমুদ হুতাক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ১৭২৫ খ্রিষ্টাব্দের ২২ এপ্রিল আফগান অফিসারদের একটি দল তার চাচাত ভাই আশরাফ খানকে কারাগার থেকে মুক্ত করে এবং প্রাসাদ অভ্যুত্থান ঘটায়। ইতিপূর্বে মাহমুদ আশরাফকে বন্দী করেছিলেন। এর ফলে আশরাফ ক্ষমতায় আসেন। এরপর মাহমুদ হুতাক মারা যান। তিনি অসুস্থতার কারণে মারা গিয়ে থাকতে পারেন। সেসময় তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করা হয়েছিল।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.