Loading AI tools
বাংলাদেশী ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মোহাম্মদ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (জন্ম: ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬) ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণকারী একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য তিনি। রিয়াদ অল-রাউন্ডার, কার্যকরী মিডল অর্ডার ব্যাটার এবং অকেশনাল অফ স্পিন বোলার হিসেবে দলে খেলছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় টি ২০ দলের সাবেক অধিনায়ক।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | রিয়াদ, সাইলেন্ট কিলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৫) | ৯ জুলাই ২০০৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৭-১১ জুলাই ২০২১ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮৪) | ২৫ জুলাই ২০০৭ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৩০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক | ১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম কেনিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪/০৫-বর্তমান | ঢাকা বিভাগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২–২০১৩ | চিটাগং কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | বাসনাহিরা ক্রিকেট ডুনডি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ | বরিশাল বুলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬–২০১৭- ২০১৯ | খুলনা টাইটানস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৭ | কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৭ | জ্যামাইকা তালাওয়াস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮ | সেন্ট কিটস ও নেভিস প্যাট্রিয়টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৯ | চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জেমকন খুলনা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ফরচুন বরিশাল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৭ জুলাই ২০২১ |
বাংলাদেশের পক্ষে ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি (১০৩) করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। এছাড়াও প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।
তিনি ২০০৭ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য বাংলাদেশ দলে ডাক পান। ঐ সফরের তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে তার অভিষেক হয়। [1] এছাড়া ২০০৭ সালে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত চার-জাতি সিরিজ এবং ২০০৭ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ স্কোয়াডের জন্য তাকে দলে নেয়া হয়।[2]
৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে আর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি একে-একে টিএম ডাউলিন, এফএল রেইফার, সিএকে ওয়ালটন, আরএ অস্টিন ও কেমার রোচকে আউট করে কৃতিত্ব দেখান। এরফলে তিনি তৃতীয় বাংলাদেশী বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকেই পাঁচ উইকেট লাভ করেন। তার ঐ ক্রীড়ানৈপুণ্যে বাংলাদেশ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলায় জয়লাভ করে।[3]
১৫ জুন, ২০১৪ তারিখে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম একদিনের আন্তর্জাতিকে মাহমুদুল্লাহ তার শততম ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেন। এরফলে তিনি ১০ম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে এ মর্যাদায় অভিষিক্ত হন। কিন্তু ওই খেলায় তার দল ৭ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। ভারতের বিপক্ষে তার ব্যাটিং গড় ৬৯ ও বোলিং গড় ১৯৮ যা যে কোনো দলের বিপক্ষে অংশগ্রহণকৃত একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন।[4]
৪ জুন ২০১৫ তারিখে ভারত দলের বাংলাদেশ সফরের প্রাক্কালে অনুশীলন চলাকালীন আঙ্গুলে ব্যথা পাওয়ায় সিরিজের বাইরে থাকেন তিনি।[5]
২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের সময় মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন।[6]
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে বিসিবি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[7] এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। ৫ মার্চ, ২০১৫ তারিখে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ৪র্থ খেলায় তামিম ইকবালের সাথে ১৩৯ রানে জুটি গড়েন। পরবর্তীতে সাকিব, মুশফিকের অনন্য নৈপুণ্যে ঐ খেলায় বাংলাদেশ দল বিশাল রান তাড়া করে ৬ উইকেটের কৃতিত্বপূর্ণ জয়লাভ করে।[8] এরফলে বাংলাদেশ সফলভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে বিজয়ী হয়।[9]
৯ মার্চ, ২০১৫ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ৫ম খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক সেঞ্চুরি করেন। এরফলে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন।[10] ১০৩ রানের তার এ ইনিংসে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১৩৮ বল স্থায়ী ছিল। কিন্তু ক্রিস উকসের হাতে রান-আউটের শিকারে পরিণত হন। বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপের যে-কোন উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে ১৪১ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন।[11] এছাড়াও একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মধ্যকার এ জুটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলগতভাবে সর্বোচ্চ রান তোলে।[10] পরবর্তীতে রুবেল হোসেনের প্রশংসনীয় বোলিংয়ে (৪/৫৩) বাংলাদেশ ১৫ রানের ব্যবধানে জয়ী হওয়াসহ কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। ১৩ মার্চ সেডন পার্কে গ্রুপ পর্বে দলের সর্বশেষ খেলায় নিউজিল্যান্ডের সাথে ১২৮* রান করে অপরাজিত থাকেন ও নিজস্ব দ্বিতীয় শতরান করেন। এ খেলায় তিনি বিশ্বকাপে ধারাবাহিকভাবে দুই খেলায় শতক হাঁকানোর গৌরব অর্জন করেন, যা এর আগে কোনো বাংলাদেশী খোলোয়াড় করতে পারেননি।[12] কিন্তু তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ওই খেলায় বাংলাদেশ দল ৩ উইকেটে পরাজিত হয়।
মাহমুদুল্লার একদিনের আন্তর্জাতিক শতক | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
রান | ম্যাচ | প্রতিপক্ষ | শহর/দেশ | মাঠ | বছর | ফলাফল | |
[১] | ১০৩ | ১১৪ | ইংল্যান্ড | অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া | অ্যাডিলেড ওভাল | ২০১৫ | জয়[13] |
[২] | ১২৮* | ১১৫ | নিউজিল্যান্ড | হ্যামিল্টন, নিউজিল্যান্ড | সেডন পার্ক | ২০১৫ | পরাজয় |
[৩] | ১০২* | ১০৭ | নিউজিল্যান্ড | কার্ডিফ, ওয়েলস | সোফিয়া গার্ডেন্স | ২০১৭ | জয় |
[৪] | ১১১ | ২২৫ | দক্ষিণ আফ্রিকা | মুম্বাই,ভারত | ওয়াংখেড় | ২০২৩২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ | পরাজয় |
ক্রমিক | প্রতিপক্ষ | শহর/দেশ | মাঠ | তারিখ | খেলায় অবদান |
---|---|---|---|---|---|
১ | ইংল্যান্ড | অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া | অ্যাডিলেড ওভাল, অ্যাডিলেড | ৯ মার্চ ২০১৫ | ১০৩* (১৩১ বল); |
২৫ জুন ২০১১ তারিখে মাহমুদুল্লাহ জান্নাতুল কাওসার মিষ্টিকে বিয়ে করেন। ২০১২, ৩ জুন তিনি পুত্র সন্তানের পিতা হন।[14]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.