![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/41/%25D9%2585%25D8%25AD%25D9%2585%25D8%25AF_%25D8%25A8%25D9%2586_%25D8%25B9%25D8%25A8%25D8%25AF_%25D8%25A7%25D9%2584%25D9%2588%25D9%2587%25D8%25A7%25D8%25A8.png/640px-%25D9%2585%25D8%25AD%25D9%2585%25D8%25AF_%25D8%25A8%25D9%2586_%25D8%25B9%25D8%25A8%25D8%25AF_%25D8%25A7%25D9%2584%25D9%2588%25D9%2587%25D8%25A7%25D8%25A8.png&w=640&q=50)
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাব
অষ্টাদশ শতাব্দীর সালাফি মতবাদি পন্ডিত / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুহাম্মদ ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাব নজদি ইবনে সুলাইমান আত-তামীমী (/wəˈhɑːb/; আরবি: مُحَمَّدُ بنُ عَبْدِ الوَهَّابِ بنِ سُلَيْمَانَ التَّمِيْمِيُّ; ১৭০৩ – ২২ জুন ১৭৯২) ছিলেন মধ্য আরবের নজদ অঞ্চলের একজন ধর্মীয় নেতা,[3] সংস্কারক,[18] পণ্ডিত ও ধর্মতাত্ত্বিক[1][2][4][19] এবং ওয়াহাবি মতবাদ ও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।[1][2][4][9][20][21][22][23][24][25] তার প্রখ্যাত শিক্ষার্থীদের মধ্যে হুসাইন ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবদ আল-ওয়াহাব, ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবদ আল-ওয়াহাব, 'আবদুর-রহমান বিন হাসান, হাম্মাদ ইবনে নাসির ইবনে মুআমার, হুসাইন আল-ঘননাম এবং আবদুল আজিজ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সৌদ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
মুহাম্মদ ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাব নজদি ইবনে সুলাইমান আত-তামীমী | |
---|---|
![]() মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব নজদির নামের ইসলামি চারুলিপি | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৭০৩ (১১১৫ হিজরি) |
মৃত্যু | ২২ জুন ১৭৯২(1792-06-22) (বয়স ৮৮–৮৯) (১২০৬ হিজরি) দিরিয়া, দিরিয়া আমিরাত |
ধর্ম | ইসলাম |
সন্তান | তালিকা
|
আখ্যা | সালাফি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হাম্বলি[1][2][3][4][5] |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | আছারী[6] |
প্রধান আগ্রহ | আকীদা (ইসলামি ধর্মতত্ত্ব) |
উল্লেখযোগ্য ধারণা | ওয়াহাবি মতবাদ[1][2][3][7][8][9][10] সালাফিবাদ[1][3][10][11][12][13] তাসাউফ-বিরোধিতা[1][3][9][10][11][12][13] |
উল্লেখযোগ্য কাজ | কিতাব আত-তাওহীদ (আরবি: كتاب التوحيد)[3][14][15] |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
আরবি নাম | |
ব্যক্তিগত (ইসম) | মুহাম্মদ |
পৈত্রিক (নাসাব) | ইবনে আবদুল ওয়াহাব নজদি ইবনে সুলাইমান ইবনে আলী ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে রশীদ |
ডাকনাম (কুনিয়া) | আবুল হাসান[16] |
উপাধি (লাক্বাব) | আন-নজদী |
স্থানীয় (নিসবা) | আত-তামীমী[17] |
ওয়াহাবি নামটি তাঁর অনুসারীরা ধারণ করে না, বরং সমালোচনার ক্ষেত্রে এটি প্রযুক্ত হয়।[26] ফকীহদের পরিবারে জন্ম নেওয়া[4] ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাবের প্রাথমিক শিক্ষা ইসলামের হাম্বলি মাযহাব অনুযায়ী ফিকহের একটি ন্যায্য প্রমিত পাঠ্যক্রম অধ্যয়নের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল, যা ছিল তাঁর জন্মস্থানের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাযহাব।[4] তিনি ঐতিহ্যবাহী ইসলামি আইনের প্রতি কঠোর আনুগত্য প্রচার করেন, মধ্যযুগের তাফসীরের উপর নির্ভরশীলতার পরিবর্তে কুরআন ও হাদিসে সরাসরি প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয়তা ঘোষণা করেন এবং প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীকে নিজে নিজে কুরআন পাঠ ও অধ্যয়নের জোর দাবি জানান।[27] তিনি তাকলিদের বিরোধিতা করেন এবং ইজতিহাদ প্রয়োগের আহ্বান জানান।[28][29] শাস্ত্রীয় সুন্নি ইসলামি ঐতিহ্যে তাঁর প্রাথমিক অপরিণত প্রশিক্ষণ সত্ত্বেও ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাব নজদি ক্রমাগতভাবে বহু জনপ্রিয় সুন্নি অনুশীলন যেমন রিসালাত সুফিজম ওলী-আউলিয়ার মুর্শিদ মাজার জিয়ারত ও আদব সম্মান শ্রদ্ধা ইত্যাদির বিরোধী হয়ে ওঠেন[2][4][9][23] যেসব ছিল তাঁর মতে বিদআত কিংবা এমনকি শিরক।[4][9][10][23][30] তাঁর সমাজ সংস্কারের আহ্বানের মূল ভিত্তি ছিল তওহীদ বিষয়ক তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি।[31][32] তাঁর শিক্ষাবলি সমসাময়িক বহু প্রসিদ্ধ সুন্নি মুসলিম ওলামা,[1][4][30] তাঁর স্বীয় পিতা ও ভাইও ছিলেন যাদের অন্তর্ভুক্ত,[1][4][30] কর্তৃক খারিজ ও প্রতিরুদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাব নজদি মুহাম্মদ বিন সৌদের সঙ্গে একটি ধর্মীয়-রাজনৈতিক চুক্তিতে আবদ্ধ হন। চুক্তি মোতাবেক তিনি বিন সৌদকে প্রথম সৌদি রাষ্ট্র দিরিয়া আমিরাত প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন[2][33] এবং তাঁদের দুই পরিবারের মধ্যে একটি রাজবংশীয় জোট ও ক্ষমতা-অংশীদারিত্বের ব্যবস্থা চালু করেন যার ফলে অধুনা সৌদি আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।[2][3][34] সৌদি আরবের নেতৃস্থানীয় ধর্মীয় পরিবার আল আশ-শাইখের সদস্যরা ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাবের বংশধর[3][34] এবং ঐতিহাসিকভাবে তারা সৌদি রাষ্ট্রের ওলামা শ্রেণিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে[34][35] এবং দেশটির ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আধিপত্য বজায় রেখেছে।[34][36]