সিংড়া জাতীয় উদ্যান
বাংলাদেশের একটি জাতীয় উদ্যান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশের একটি জাতীয় উদ্যান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সিংড়া জাতীয় উদ্যান উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল।[1][2][3] স্থানীয়ভাবে এটি সিংড়া শালবন নামে পরিচিত। দিনাজপুর জেলা শহর থেকে সড়ক পথে ৪০ কি.মি. উত্তরে এবং বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৫ কি.মি. দূরে ভোগনগর ইউনিয়নে এর অবস্থান॥ এই বনভূমির মোট আয়তন ৩৫৫ হেক্টর এবং এর মধ্যে জাতীয় উদ্যানের পরিমাণ (সংরক্ষণ) ৩০৫.৬৯ হেক্টর। ডালাগ্রাম, চাউলিয়া, সিংড়া ও নর্তনদী এ ৪টি মৌজায় সিংড়া জাতীয় উদ্যান বিস্তৃত।[4] প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়ন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ এবং পর্যটন সুবিধার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর বনবিভাগ এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে।
সিংড়া জাতীয় উদ্যান | |
---|---|
অবস্থান | দিনাজপুর, রংপুর বিভাগ, বাংলাদেশ |
নিকটবর্তী শহর | বীরগঞ্জ |
স্থানাঙ্ক | ২৫.৮৯০১১৫° উত্তর ৮৮.৫৬৩০৫২° পূর্ব |
আয়তন | ৩০৫.৬৯ হেক্টর |
স্থাপিত | ২০১১ |
সিংড়া জাতীয় উদ্যানের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে নর্ত নদী। পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে একটি ছোট পরিসরের রেস্ট হাউজ ও দুটি পিকনিক স্পট রয়েছে। শীত মৌসুমে এই বনে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়। সিংড়া শালবনের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরডিআরএস বাংলাদেশ এর সহযোগীতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি কাজ করছে।
সিংড়া বনকে ১৮৮৫ সালে অধিভুক্ত করা হয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে বনবিভাগের অধীনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১০ ই অক্টোবর উত্তরাঞ্চলে অন্য তিনটি বনাঞ্চল এর সাথে এটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। সিংড়া মৌজার নামানুসারে এই সংরক্ষিত বনের নামকরণ করা হয় সিংড়া জাতীয় উদ্যান। এটি সিংড়া শালবন নামেও স্থানীয়ভাবে পরিচিত।
সিংড়া জাতীয় উদ্যানে মূলত পত্রঝরা শালবৃক্ষের প্রাধান্য দেখা যায়। তবে শাল ছাড়াও এখানে জারুল, তরুল, শিলকড়ই, শিমুল, মিনজিরি, সেগুন, গামার, আকাশমনি, ঘোড়ানিম, সোনালু,গুটিজাম, হরতকি, বয়রা, আমলকি এবং বিভিন্ন ধরনের নাম না জানা উদ্ভিদ ও লতা-গুল্ম রয়েছে।
এক সময়ে এই বনে বাঘ, নীলগাইসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য জীবজন্তুর আবাস ছিল। তবে বনভূমি ধ্বংস ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে এ বনভূমি থেকে জীবজন্তু হারিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে এই বনে খরগোশ, শিয়াল, সাপ, বেজি সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও পতঙ্গের দেখা পাওয়া যায়।[5]
শকুন,দেশি শুমচা, হাঁড়িচাচা, ব্রঞ্জ ফিঙ্গে, নীল গলা বসন্ত বৌরি, বড় তিত, খুরুলে পেঁচা, মেঘ হও মাছরাঙা, ইউরেশীও-কণ্ঠী ঘুঘু, তিলা ঘুঘু, বাংলা কাঠ-ঠোকরা, বেনে বউ, বুলবুলি, টুনটুনি, লম্বা লেজ রাতচরা ইত্যাদি বর্তমানে দেখা যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.