ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
স্প্যানিশ ফ্লু, ১৯১৮ ফ্লু মহামারী হিসাবেও পরিচিত,[2] একটি অস্বাভাবিক মারাত্মক ইনফ্লুয়েঞ্জাঘটিত বৈশ্বিক মহামারী। ১৯১৮ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর ১৯২০ অবধি এটি ৫০ কোটি মানুষের মাঝে ছড়িয়েছিল — যা সেই সময়ে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ।[1] আনুমানিক ১.৭ থেকে ৫ কোটি বা কোন কোন হিসাবে ১০ কোটির মত মানুষ এতে মারা গিয়েছিল।[3] যে কারণে এটিকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক মহামারী হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[4][5]
দ্রুত তথ্য স্প্যানিশ ফ্লু, রোগ ...
স্প্যানিশ ফ্লু
ক্যানসাসের ফোর্ট রিলির সৈন্যরা ক্যাম্প ফানস্টনের একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে স্প্যানিশ ফ্লুতে অসুস্থ অবস্থায়
মনোবল বজায় রাখার জন্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আয়োজক জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক জরিপে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখানো হয়েছিলো।[6] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নিরপেক্ষ দেশ স্পেনের স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমগুলি মহামারীটির প্রভাবসমূহ যেমন কিং আলফোনসো দ্বাদশ এর মারাত্মক অসুস্থতার সংবাদ নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পেরেছিল এবং এই সংবাদের কারণেই স্পেনের উপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।[7] এ কারণেই মহামারীটির ডাকনাম, "স্প্যানিশ ফ্লু" হয়েছে।[8][9]ঐতিহাসিক এবং মহামারীবিজ্ঞান সম্পর্কিত অপর্যাপ্ত তথ্যের কারণে মহামারীর ভৌগোলিক উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এবং যার কারণে রোগটির উৎস ভূমি সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে।[1]
বেশিরভাগ ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব সাধারণত খুব অল্প বয়স্ক এবং বৃদ্ধদের উপরে পড়ে, যারা এর মাঝামাঝি বয়সে থাকে তাদের ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার হার বেশি, তবে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীতে মৃত্যুর হার তরুণ-যুবকদের মধ্যেই বেশি ছিল।[10] বিজ্ঞানীরা ১৯১৮ ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারীর উচ্চ মৃত্যুহারের জন্য বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দেন। কিছু বিশ্লেষণ ভাইরাসটিকে বিশেষত মারাত্মক হিসাবে দেখিয়েছে কারণ এটি একটি সাইটোকাইন ঝড়কে ট্রিগার করে, যা তরুণ বয়স্কদের শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।[11] বিপরীতে ২০০৭ সালে মহামারীর[12][13] সময়কালে মেডিকেল জার্নালগুলি থেকে বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে ভাইরাস
সংক্রমণটি আগের ইনফ্লুয়েঞ্জা স্ট্রেনের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিল না। পরিবর্তে, অপুষ্টি, চিকিৎসা ক্যাম্প এবং হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড় এবং দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি ব্যাকটিরিয়া সুপারিনফেকশনকে ত্বরান্বিত করেছিল। এই সুপারিনফেকশন সাধারণত কিছুটা দীর্ঘ মৃত্যুর শয্যার পরে বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্থকে মেরে ফেলেছিল।[14][15]
এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুটি মহামারীগুলির মধ্যে স্প্যানিশ ফ্লু ছিল প্রথম; দ্বিতীয় ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু।[16]
উৎস সম্পর্কে অনুমান
যুক্তরাজ্য
ফ্রান্সের এটেপলসে যুক্তরাজ্যের প্রধান সেনা মঞ্চায়ন ও হাসপাতালের শিবিরটি গবেষকরা তাত্ত্বিকভাবে মনে করেন স্প্যানিশ ফ্লুর কেন্দ্রস্থল। এই গবেষণাটি ১৯৯৯ সালে ভাইরাসবিদ জন অক্সফোর্ডের নেতৃত্বে একটি ব্রিটিশ দল প্রকাশ করেছিল।[17] ১৯১৭ সালের শেষের দিকে, সামরিক রোগ বিশেষজ্ঞরা উচ্চ মৃত্যুর সাথে একটি নতুন রোগের সূত্রপাতের কথা জানিয়েছিলেন যা পরে ফ্লু হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল।
জনাকীর্ণ শিবির এবং হাসপাতাল শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আদর্শ স্থান ছিল। এই হাসপাতালটি হাজার হাজার রাসায়নিক হামলা এবং যুদ্ধের অন্যান্য হতাহতের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিয়েছে এবং ১০০,০০০ সৈন্য প্রতিদিন শিবিরের মধ্য দিয়ে যেত। এছাড়া এখানে একটি শূকরশালা ছিল এবং আশেপাশের গ্রামগুলি থেকে খাবারের জন্য নিয়মিত হাঁস-মুরগি সরবরাহ করত। অক্সফোর্ড এবং তার দল দাবি করে যে পাখিদের মধ্যে আশ্রয়কৃত উল্লেখযোগ্য পূর্ববর্তী ভাইরাসটি পরিবর্তিত হয়েছিল এবং তারপরে সামনের কাছাকাছি থাকা শূকরগুলিতে স্থানান্তরিত হয়।[18][19]
২০১৬ সালে প্রকাশিত চাইনিজ মেডিকেল সমিতির জার্নালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় ১৯১৮ সালের ভাইরাসটি কয়েক মাস ধরে ইউরোপীয় সেনাবাহিনীতে সংবাহিত হয়েছিল এবং সম্ভবত ১৯১৮ সালের মহামারী শুরুর বছরখানেক আগে থেকেই।[20]
যুক্তরাষ্ট্র
অনেক বিবৃতিতে মহামারীটির উৎস হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ আছে। ঐতিহাসিক আলফ্রেড ডব্লু ক্রসবি ২০০৩ সালে বলেছিলেন যে ফ্লুটির উদ্ভব ক্যান্সাসে হয়েছিল[21]
এবং জনপ্রিয় লেখক জন এম ব্যারি তার ২০০৪ সালের এক নিবন্ধে ক্যানসাসের হ্যাসকল কাউন্টিতে একটি প্রাদুর্ভাবের বর্ণনা করেছিলেন।[11]
২০১৮ এর সমীক্ষায় বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক মাইকেল ওয়ারোবীর নেতৃত্বে টিস্যু স্লাইডস এবং মেডিকেল প্রতিবেদনগুলিতে দেখা গেছে যে ক্যান্সাস থেকে শুরু হওয়া এই রোগের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও এই ঘটনাগুলি গুরুতর ছিল না এবং একই সময়ের মধ্যে নিউইয়র্ক শহরের পরিস্থিতির তুলনায় কম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। গবেষণায় ফ্লোজেনেটিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে ভাইরাসটির উৎস সম্ভবত উত্তর আমেরিকায় ছিল, যদিও এটি তর্কাতীত নয়। এছাড়াও ভাইরাসটির হাইম্যাগ্লুটিনিন গ্লাইকোপ্রোটিনগুলি ইঙ্গিত দেয় যে এটি ১৯১৮ এর অনেক আগের ছিল এবং অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে যে এইচ১এন১ ভাইরাসের পুনর্বিন্যাস সম্ভবত ১৯১৫ বা তার আশেপাশে হয়েছিল।[22]
চীন
১৯১৮ ফ্লু মহামারীতে বিশ্বের কয়েকটি অঞ্চলের আপাতদৃষ্টিতে কম ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে একটি হল চীন, ১৯১৮ সালে যেখানে তুলনামূলকভাবে হালকা ফ্লু মরসুম থাকতে পারে (যদিও চীনের ওয়ার্লোর আমল চলাকালীন তথ্যের অভাবের কারণে এটি বিতর্কিত)। একাধিক গবেষণায় নথিভুক্ত করা হয়েছে যে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চীনে ফ্লুতে অপেক্ষাকৃত কম লোক মারা গিয়েছিল।[23][24] এটি থেকে অনুমান করা হয়েছিল যে ১৯১৮ ফ্লু মহামারীর উৎপত্তি হয়েছিল চীনে।[23][24][25][26] ১৯১৮ সালে চীনে তুলনামূলকভাবে হালকা ফ্লু মরসুম এবং ফ্লু নিম্ন মৃত্যু হারের কারণ হিসাবে বলা যেতে পারে যে চীনা জনগণ ইতিমধ্যে ফ্লু ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছিল।[23][24][27] তবে কেএফ চেং এবং পিসি লেইং ২০০৬ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় উল্লেখ করেছিলেন যে এমনটি সম্ভবত সম্ভব হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ফলে।[24]
১৯৯৩ সালে, পাস্তর ইনস্টিটিউটের ১৯১৮ ফ্লুতে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ ক্লোড হ্যাননুন দৃঢ়ভাবে জানিয়েছিলেন যে পূর্ববর্তী ভাইরাস সম্ভবত চীন থেকে এসেছিল। এরপরে এটি যুক্তরাষ্ট্রে বোস্টনের কাছাকাছি পরিবর্তিত হয়েছিল এবং সেখান থেকে ফ্রান্সের ব্রিস্ট, ইউরোপের রণক্ষেত্র, ইউরোপ এবং বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং মিত্র সেনা ও নাবিকরা মূল বাহক হিসাবে কাজ করে।[28]
২০১৪ সালে ঐতিহাসিক মার্ক হামফ্রিজ যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে ব্রিটিশ এবং ফরাসী সীমায় কাজ করার জন্য ৯৬,০০০ চীনা শ্রমিককে জড়ো করা মহামারীর উৎস হতে পারে। তিনি কাগজপত্রে প্রমাণ পেয়েছিলেন যে ১৯১৭ সালের নভেম্বরে উত্তর চীনতে এক ধরনের শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা আঘাত হেনেছিল এবং এক বছর পরে চীনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এটির আচরণকে স্প্যানিশ ফ্লুর অনুরূপ বলে নিরূপণ করেছিলেন।[29][30]
চীনা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় ১৯১৮ সালের ভাইরাসটি ইউরোপে চীনা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সৈন্য ও শ্রমিকদের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি । বরং মহামারী শুরু হওয়ার আগেই ইউরোপে এটি সংবহনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ২০১৬ সালের এক সমীক্ষায় প্রকাশিত হয় যে ইউরোপের চীনা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় কর্মীদের মধ্যে নিম্ন ফ্লু মৃত্যুর হার (আনুমানিক ১/১০০০) প্রমাণ করে যে ১৯১৮ সালের মারাত্মক ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারীটির উদ্ভব সেই শ্রমিকদের থেকে হতে পারে না।[20]
বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান অধ্যাপক মাইকেল ওয়ারোবীর নেতৃত্বে ২০১৮ সালে টিস্যু স্লাইডস এবং মেডিকেল রিপোর্টগুলির এক সমীক্ষা চীনা শ্রমিকদের দ্বারা এই রোগ ছড়ানোর পক্ষে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমন না যে শ্রমিকরা অন্যান্য পথ দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছিল ফলে এর বিস্তার সনাক্ত করা যায়নি, যা প্রমাণ করে যে তারা এর মূল বাহক ছিল না।[22]
অন্যান্য
হাননুন স্পেন, ক্যান্সাস এবং ব্রেস্টের মতো অঞ্চলে উৎপত্তির কয়েকটি বিকল্প অনুমানকে সম্ভাব্য বলে বিবেচনা করেছিলেন, কিন্তু সেভাবে নয়।[28] রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু প্রাইস-স্মিথ অস্ট্রিয়ান সংগ্রহশালা থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করেছিলেন এবং যা ইঙ্গিত করে যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ১৯১৭ সালের প্রথম দিকে অস্ট্রিয়ায় শুরু হয়েছিল।[31]
বিস্তার
যখন কোনও সংক্রামিত ব্যক্তি হাঁচি দেয় বা কাশি হয়, তখন আশেপাশের লোকদের মধ্যে ৫ লক্ষেরও বেশি ভাইরাস কণা ছড়িয়ে যেতে পারে।[32] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নিকটতম মহল এবং বিশাল সেনা আন্দোলন মহামারীটি ত্বরান্বিত করেছিল এবং সম্ভবত উভয়ই সংক্রমণ বৃদ্ধি ও পরিবর্ধনকে উদ্দীপ্ত করেছিল। যুদ্ধের ফলে ভাইরাসের প্রাণঘাতীতাও সম্ভবত বেড়ে গিয়েছিল। অনেকে মনে করেন যে সৈন্যদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা অপুষ্টিজনিত কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছিল, পাশাপাশি যুদ্ধ ও রাসায়নিক আক্রমণগুলির চাপ তাদের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলেছিল।[33][34]
এই ফ্লু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরার অন্যতম কারণ ছিল ভ্রমণ বৃদ্ধি। আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থায় সৈন্য, নাবিক এবং বেসামরিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই রোগ আরও সহজে ছড়িয়ে পড়েছিল।[35]
১৯১৮ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্সাসের হাস্কেল কাউন্টি এই রোগটি প্রথম লক্ষ্য করা গিয়েছিল।[36]
১৯১৮ সালের আগস্টে ফ্রান্সের ব্রেস্টসহ একযোগে আরও ছড়িয়ে পরে ফ্রিটাউন, সিয়েরা লিওনে। স্পেনীয় ফ্লু আয়ারল্যান্ডে ফিরে যাওয়া আইরিশ সৈন্যদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রবাহিনী এটিকে স্প্যানিশ ফ্লু বলে আখ্যায়িত করেছিল, মূলত ১৯১৮ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স থেকে স্পেনে চলে আসার পর মহামারীটি ব্যাপকভাবে প্রেসের নজরে আসে। স্পেন যুদ্ধে জড়িত ছিল না এবং যুদ্ধকালীন সেন্সরশিপ চাপায়নি।[37]
বিশ্বজুড়ে
কত জন মারা গিয়েছিল সেটির আনুমানিক হিসাবে পরিমাণের ভিন্নতা রয়েছে। ১৯৯১ সালের একটি অনুমান অনুযায়ী এটিতে ২.৫-২.৯ কোটি লোক নিহত হয়েছিল।[39] ২০০৫ সালের একটি অনুমানে মৃতের সম্ভাব্য সংখ্যা ৫ কোটি (বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ৩% এরও কম) বা এটি ১০ কোটি পর্যন্তও হতে পারে (৫% এরও বেশি)।[40][41] তবে ২০১৮ সালে একটি পুনর্নির্ধারণের পরিমাণটি প্রায় ১.৭ কোটি হয়েছিল, যদিও এটি নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়েছে।[42] বিশ্বব্যাপী ১৮০ থেকে ১৯০ কোটি জনসংখ্যার[43] ১ থেকে ৬ শতাংশের সাথে এই অনুমানগুলি মিলে যায়।
এইচআইভি/এইডসে ২৪ বছরে যত মানুষ নিহত হয়েছে এই ফ্লুতে ২৪ সপ্তাহে তার চেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।[7]কালো মৃত্যু, যা দীর্ঘকাল ধরে স্থায়ী হয়েছিল, তাতে বিশ্বের ক্ষুদ্র জনসংখ্যার অনেক বেশি শতাংশ মানুষ মারা গিয়েছিল।[44]
এই রোগে বিশ্বের অনেক জায়গায় মানুষ মারা গিয়েছে। প্রায় ১.২-১.৭ কোটি মানুষ ভারতে মারা গিয়েছিল, মোট জনসংখ্যাযর প্রায় ৫%।[45] ভারতের ব্রিটিশ শাসিত জেলাগুলিতে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৩৯ লক্ষ।[46] আর্নল্ড (২০১৯) এর অনুমান অনুযায়ী কমপক্ষে ১ কোটি ২০ লক্ষ মারা যায়।[47]
Health organizations have since moved away from naming epidemics after geographical places. More modern terms for this event include the "1918 influenza pandemic," the "1918 flu pandemic," or variations of those. See, for instance: "Pandemic influenza: an evolving challenge"। World Health Organization। ২২ মে ২০১৮। ২০ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২০।
P. Spreeuwenberg (১ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Reassessing the Global Mortality Burden of the 1918 Influenza Pandemic.": 2561–2567। ডিওআই:10.1093/aje/kwy191। পিএমআইডি30202996।
"La Grippe Espagnole de 1918" (ফরাসি ভাষায়)। Institut Pasteur। ১৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল(Powerpoint) থেকে আর্কাইভ করা। (also here, requires Flash player)
Shanks GD (জানুয়ারি ২০১৬)। "No evidence of 1918 influenza pandemic origin in Chinese laborers/soldiers in France"। Journal of the Chinese Medical Association। 79 (1): 46–48। ডিওআই:10.1016/j.jcma.2015.08.009। পিএমআইডি26542935।
Langford, Christopher (২০০৫)। "Did the 1918-19 Influenza Pandemic Originate in China?"। Population and Development Review। Vol. 31, No. 3 (Sep., 2005) (3): 473–505। জেস্টোর3401475। ডিওআই:10.1111/j.1728-4457.2005.00080.x।
Hannoun, Claude (১৯৯৩)। "La Grippe"। Documents de la Conférence de l'Institut Pasteur। La Grippe Espagnole de 1918। Ed Techniques Encyclopédie Médico-Chirurgicale (EMC), Maladies infectieuses। 8-069-A-10।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
Siddharth Chandra and Julia Christensen (২ মার্চ ২০১৯)। "Re: "reassessing the Global Mortality Burden of the 1918 Influenza Pandemic""। Am. J. Epid.। 188 (7): 1404–1406। ডিওআই:10.1093/aje/kwz044। পিএমআইডি30824934। and response Peter Spreeuwenberg, Madelon Kroneman, and John Paget (২ মার্চ ২০১৯)। "The Authors Reply"(পিডিএফ)। Am. J. Epid.। 188 (7): 1405–1406। ডিওআই:10.1093/aje/kwz041। পিএমআইডি30824908। ১২ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২০।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (link)
Robinson Meyer (২৯ এপ্রিল ২০১৬)। "Human extinction isn't that unlikely"। The Atlantic। ১ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
David Arnold, "Dearth and the Modern Empire: The 1918–19 Influenza Epidemic in India," Transactions of the Royal Historical Society 29 (2019): 181-200.
Afkhami, Amir (২৯ মার্চ ২০১২) [15 December 2004]। "Influenza"। Yarshater, Ehsan। Encyclopædia Iranica। Fasc. 2। XIII (Online সংস্করণ)। New York City: Bibliotheca Persica Press। পৃষ্ঠা140–143।
Denoon, Donald (২০০৪)। "New Economic Orders: Land, Labour and Dependency"। Denoon, Donald। The Cambridge History of the Pacific Islanders। CUP। পৃষ্ঠা247। আইএসবিএন978-0-521-00354-4।
Galvin J (৩১ জুলাই ২০০৭)। "Spanish Flu Pandemic: 1918"। Popular Mechanics। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১১।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
He DH, Dushoff J, Day T, Ma J, Earn DJ (২০১১)। "Mechanistic modelling of the three waves of the 1918 influenza pandemic"। Theoretical Ecology। 4 (2): 283–288। আইএসএসএন1874-1738। ডিওআই:10.1007/s12080-011-0123-3।
Honigsbaum M (২০০৮)। Living with Enza: The Forgotten Story of Britain and the Great Flu Pandemic of 1918। Palgrave Macmillan। আইএসবিএন978-0-230-21774-4।
Humphries, Mark Osborne (২০১৪)। "Paths of Infection: The First World War and the Origins of the 1918 Influenza Pandemic"। War in History। 21 (1): 55–81। ডিওআই:10.1177/0968344513504525।
Knobler S, Mack A, Mahmoud A, Lemon S, সম্পাদকগণ (২০০৫)। "1: The Story of Influenza"। The Threat of Pandemic Influenza: Are We Ready? Workshop Summary (2005)। Washington, DC: The National Academies Press। পৃষ্ঠা60–61।
Kobasa D, Jones SM, Shinya K, Kash JC, Copps J, Ebihara H, Hatta Y, Kim JH, Halfmann P, Hatta M, Feldmann F, Alimonti JB, Fernando L, Li Y, Katze MG, Feldmann H, Kawaoka Y (জানুয়ারি ২০০৭)। "Aberrant innate immune response in lethal infection of macaques with the 1918 influenza virus"। Nature। 445 (7125): 319–323। ডিওআই:10.1038/nature05495। পিএমআইডি17230189। বিবকোড:2007Natur.445..319K।
Noymer A, Carreon D, Johnson N (এপ্রিল ২০১০)। "Questioning the salicylates and influenza pandemic mortality hypothesis in 1918–1919"। Clinical Infectious Diseases। 50 (8): 1203। ডিওআই:10.1086/651472। পিএমআইডি20233050।
Pankhurst R (১৯৯১)। An Introduction to the Medical History of Ethiopia। Trenton: Red Sea Press। আইএসবিএন978-0-932415-45-5।
Philips H (২০১০)। "The re-appearing shadow of 1918: trends in the historiography of the 1918-19 influenza pandemic"। Canadian Bulletin of Medical History। 21 (1): 121–134। ডিওআই:10.3138/cbmh.21.1.121। পিএমআইডি15202430।
Starko KM (নভেম্বর ২০০৯)। "Salicylates and pandemic influenza mortality, 1918–1919 pharmacology, pathology, and historic evidence"। Clinical Infectious Diseases। 49 (9): 1405–1410। ডিওআই:10.1086/606060। পিএমআইডি19788357। (summary by Infectious Diseases Society of America and ScienceDaily, 3 October 2009)
Vana G, Westover KM (জুন ২০০৮)। "Origin of the 1918 Spanish influenza virus: a comparative genomic analysis"। Molecular Phylogenetics and Evolution। 47 (3): 1100–1110। ডিওআই:10.1016/j.ympev.2008.02.003। পিএমআইডি18353690।