শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
উত্তরকাশী জেলা
উত্তরাখণ্ডের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
উত্তরকাশী জেলা উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গাড়োয়াল বিভাগের একটি জেলা এবং এর সদর দফতর উত্তরকাশী শহরে রয়েছে। এর অধীনে ছয়টি তহসিল রয়েছে, সেগুলি হল বারকোট, ডুন্ডা, ভাটওয়াদী, চিনয়ালি সাওর, পুরোলা এবং মোরি।
উত্তরকাশী জেলা শহরটি হিমালয়ের পরিসরে উঁচুতে অবস্থিত, এবং এই জেলাতে গঙ্গা এবং যমুনা উভয় নদীর উৎস রয়েছে। গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গা এবং যমুনোত্রী হিমবাহ থেকে যমুনা নদী জন্ম নিয়েছে। এই কারণে এই অঞ্চলটি হাজার হাজার হিন্দু তীর্থযাত্রীকে আকৃষ্ট করে। শহরটি গঙ্গোত্রী যাওয়ার প্রধান পথে অবস্থিত। এই রাস্তায় অনেক হিন্দু মন্দির আছে এবং তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থস্থান হিসাবেও বিবেচিত হয়। জেলাটির উত্তরে আছে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য, উত্তর পূর্ব দিকে তিব্বত, পূর্ব দিকে আছে চামোলি জেলা, দক্ষিণ পূর্ব দিকে রুদ্রপ্রয়াগ জেলা, দক্ষিণে তেহরি গাড়োয়াল জেলা, এবং পশ্চিমে আছে দেরাদুন জেলা। উত্তরকাশীর অর্থ উত্তরের কাশী। এটি ভগবান শিবের অন্যতম প্রিয় জায়গা। একে কাশী বিশ্বনাথ বলে।
Remove ads
বিধানসভা কেন্দ্র
এখানকার বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল পুরোলা (এসসি), যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে উত্তরকাশি জেলার জনসংখ্যা ৩২৯,৬৮৬ জন[১] যা বেলিজ দেশের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[২] জনসংখ্যারভিত্তিতে এই জেলা ভারতে ৫৬৭তম স্থান পেয়েছে (মোট ৬৪০ এর মধ্যে)।[১] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৪১ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১১০ জন/বর্গমাইল)।[১] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১১.৭৫% ছিল।[১] উত্তরকাশীতে এক হাজার পুরুষ প্রতি ৯৫৯ মহিলা রয়েছে (যৌন অনুপাত),[১] এবং এখানে সাক্ষরতার হার এর ৭৫.৯৮%।[১]
গাড়োয়ালী জেলার সর্বাধিক প্রচলিত সাধারণ প্রথম ভাষা,[৩] যদিও হিন্দি ব্যাপকভাবে একটি লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সংখ্যালঘু ভাষাগুলির মধ্যে মহাসু পাহাড়ি এবং তিব্বতী-বার্মা জাদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[৪]
Remove ads
যে বিপর্যয়গুলি উত্তরকাশীকে প্রভাবিত করেছে
১৯৭৬ সালে প্রধান বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ১৯৭৬ সালের সকালে একটি আগুনের সূত্রপাত হয়। ১৯৭৮ সালে ভাগীরথী নদীতে বন্যা হয়। সেনাবাহিনী বিস্ফোরক ব্যবহার করে এই নদীর ওপর একটি বাঁধ উড়িয়ে দেয়। হাজার হাজার গ্যালন জল ছড়িয়ে যায় এবং নদীর তীরে অবস্থিত কৃষিজমি, আশ্রম এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলি থেকে জনগণকে সরিয়ে নিয়ে জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করায় কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ১৯৮৪ সালে গ্যানসু নালায় মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে বিপর্যয় ঘটায়। ১৯৯১ সালে উত্তরকাশী এবং আশেপাশের অঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads