শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

কোয়েম্বাটুর

দক্ষিণ ভারতীয় মহানগর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

কোয়েম্বাটুর
Remove ads

কোবাই নামে পরিচিত কোয়েম্বাটুর হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি শহর। এটি নোইয়াল নদীর তীরে অবস্থিত এবং পশ্চিম ঘাট দ্বারা বেষ্টিত। এই মহানগরটি তামিলনাড়ু রাজ্যে পশ্চিমে কঙ্গনাড়ু অঞ্চলের শহর। কোয়েম্বাটুর চেন্নাই পরে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর (জনসংখ্যা ও এলাকা অনুযায়ী) এবং ভারতের ১৬তম বৃহৎ শহর পুঞ্জ। এটি কোয়েম্বাটুর পৌরসংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয় এবং কোয়েম্বাটুর জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র।

দ্রুত তথ্য কোয়েম্বাটুর கோயம்புத்தூர், কোয়ামপুত্তুর ...

শহরটি গহনা, ভেজা গ্রাইন্ডার (চূর্ণনযন্ত্র), পল্ট্রি এবং স্বয়ংক্রিয় উপাদানের বৃহত্তম রপ্তানিকারকদের মধ্যে একটি; "কোয়েম্বাটুর ওয়েট গ্রাইন্ডার" এবং "কোবাই কোরা কটন" ভারত সরকার দ্বারা ভৌগোলিক নির্দেশক হিসাবে স্বীকৃত।

এটি ভারতের দ্রুত বৃদ্ধিপাপ্ত পর্যায়-২ শহরের অন্তর্গত এবং দক্ষিণ ভারতের একটি প্রধান শিল্পকেন্দ্র। তুলা উৎপাদন এবং বস্ত্র শিল্পের কারণে শহরটিকে প্রায়ই "দক্ষিণ ভারতের ম্যানচেস্টার" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। কোয়ামপুত্তুরকে "পাম্প সিটি" হিসাবেও উল্লেখ করা হয় এবং এই শহর ভারতের প্রায় চাহিদা অর্ধেকমোটর এবং পাম্পের সরবরাহ করে। কোয়ামপুত্তুর শিক্ষার জন্য একটি কেন্দ্র।

কোয়ামপুত্তুর শহরটি কাঙ্গুনাড়ুর অংশ ছিল সঙ্গম সঙ্গম সময়কালে ১ ম থেকে ৪ র্থ শতাব্দীতে এবং চেরাদের দ্বারা শাসিত ছিল কারণ এটি পাল্ককড গ্যাপের পূর্ব প্রবেশপথ হিসাবে কাজ করেছিল (পশ্চিম তীরে এবং তামিলনাডুর মধ্যে প্রধান বাণিজ্য পথ)। কোয়েম্বাটুর প্রাচীন বাণিজ্য পথের পাশে অবস্থিত ছিল যা মুজিরিস থেকে দক্ষিণ ভারতে আরিমেমদু পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মধ্যযুগীয় চোল রা ১০ শতকে কাঙ্গুনাড়ু জয় করে। ১৫ শতকে এই অঞ্চলে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের শাসন ছিল। পরবর্তীকালে মাদুরাই নায়করা পালিয়েকারকার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন যার অধীনে কংগু নাড়ু অঞ্চলটি ২৪ টি পালায়মে বিভক্ত ছিল। ১৮ শতকের পরবর্তী সময়ে কোয়েম্বাটুর অঞ্চল মহীশূর রাজ্যের অধীনে এসেছিল এবং অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধে টিপু সুলতানের পরাজয়ের পর ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির সঙ্গে কোয়েম্বটুরকে একত্রিত করে। দ্বিতীয় পোলিগার যুদ্ধে কোয়ামপুত্তুর অঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা (১৮০১) যখন এটি ধীরন চিমনাকলের এলাকা ছিল।

১৮০৪ সালে, কোয়ামপুত্তুর (ব্রিটিশ উচ্চারণে, কোইম্বাটুর) নতুন গঠিত কোয়েম্বাটুর রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৬৬ সালে রবার্ট স্ট্যানস প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে কোয়েম্বাটুর পৌরসভা শুরু। ২৪ শে নভেম্বর কোয়ামপুত্তুর দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে, দিনটি কোয়ামপুত্তুরের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কৃত।[] মুম্বাইয়ের তুলো শিল্পের পতনের কারণে ১৮ শতকের প্রথমার্ধে শহরটি বস্ত্র শিল্পে দ্রুত বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল। স্বাধীনতার পর, শিল্পায়নের কারণে কোয়ামপুত্তুর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালে বার্ষিক ভারতীয় শহরের জরিপ অনুযায়ী কোয়ামপুত্তুর ভারতের সেরা উদীয়মান শহরের স্থান পেয়েছে। ভারতীয় শিল্পের কনফেডারেশন উল্লেখ করেছে বিনিয়োগ পরিবেশ অনুযায়ী শহরটি ভারতে ৪ র্থ এবং থোলোনসের জড়িপে বিশ্বের শীর্ষ আউটসোর্সিং শহরগুলির মধ্যে ১৭ তম স্থানে ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্মার্ট সিটিস মিশনের অধীনে একটি স্মার্ট শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ১০০ টি ভারতীয় শহরের মধ্যে একটি হিসাবে কোয়ামপুত্তুর নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৩ সালে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী কোয়ামপুত্তুরকে ভারতের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।[১০]

Remove ads

ভূগোল

কোয়েম্বাটুর শহরের উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে ৪১১ মিটার।শহরটি ১১.০১ উত্তর ও ৭৬.৫৮ পূর্বে অবস্থিত।পশ্চিমঘাট পার্বত্য[১১] এলাকায় শহরটি গড়ে উঠেছে।

অর্থনীতি

কোয়েম্বাটুর বস্ত্র শিল্পের একটি প্রসিদ্ধ স্থান। এই শহরে দক্ষিণ ভারত এর সবচেয়ে বেশি কাপড় মিল বা বস্ত্র কারখানা রয়েছে।এই কারে শহরটিকে ভারতের ম্যাঞ্চেস্টার বলা হয়। শহরটিতে বর্তমানে আইটি বা তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের প্রসার ঘটেছে এবং তথ্য প্রযুক্তি শিল্প তালুক গড়ে উঠেছে যা শহরটির দূরত্ব বিকাশ ও কর্মসংস্থান ঘটাছে। এছাড়া শহরটিতে চা-শিল্পও গড়ে উঠেছে।

জনসংখ্যা

সারাংশ
প্রসঙ্গ
আরও তথ্য বছর, জন. ...
Thumb
মারুমানামালাই মুরগাঁন মন্দির

২০১১ সালের ভারতের আদম শুমারির হিসাবে শহরটির জনসংখ্যা ছিল ১৬,০১,৪৩৮ জন এবং বৃহত্তর কোয়েম্বাটুরের জনসংখ্যা ছিল ২১,৩৬,৯১৬ জন (২.১ মিলিওয়)। জনংখ্যার হিসাবে কোয়েম্বাটুর মহানগর ভারত এর ১৬ তম বৃহত্ত মহানগর।[] প্রাক-সম্প্রসারণ নগরীর সীমার উপর ভিত্তি করে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, কোয়েম্বাটুরের জনসংখ্যা ছিল ১০,৫০,৭২২ জন। শহরটিতে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৯৭ নারী ছিল, যা জাতীয় গড়ে ৯২৯ জনের চেয়ে অনেক বেশি।[১৫] এটি রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর[১৬] এবং ভারতের ১৬ তম বৃহত্তম শহুরে অঞ্চল জনসংখ্যার হিসাবে। শহরটিতে মোট ১,০২,০৬৯ টি ছয় বছরের কম বয়সী শিশু ছিল, যার মধ্যে ৫২,২৭৫ জন পুরুষ এবং ৪৯,৭৯৪ জন মহিলা ছিল। শহরের গড় সাক্ষরতা ছিল ৮২.৪৩%, যা জাতীয় গড় ৭২.৯৯% -এর তুলনায় বেশি।[১৫] শহরের জনসংখ্যার মধ্যে মোট ৫,২৫,১১৫ শ্রমিক রয়েছে, যার মধ্যে ১,৫৩৯ জন কৃষক, ২,৯০৮ জন কৃষি শ্রমিক, ১১,৭৮৯ জন পারিবারিক শিল্প শ্রমিক, ৩,৮৫,৮০২ জন অন্যান্য শ্রমিক, ২৩,০৭৭ জন সীমাবদ্ধ কর্মী, ৫৩১ প্রান্তিক চাষী, ৫০০ জন প্রান্তিক কৃষক শ্রমিক, ১,১৬৯ গৃহকর্মী শ্রমিক এবং ২৮,৮৭৭ অন্যান্য প্রান্তিক শ্রমিক ।[১৭]

২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী,[১৪] পৌর কর্পোরেশনের সীমার মধ্যে কোয়েম্বাটুরের জনসংখ্যা ছিল ৯৩০,৮৮২ জন।[][][] ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কোয়েম্বাটুর শহর পুঞ্জের জনসংখ্যা ২১,৩৬,৯১৬ জন, যার মধ্যে জনসংখ্যার ৫০.০৮% পুরুষ এবং ৪৯.৯২% নারী।[][১৬] সাক্ষরতার হার ৮২.২৩%, যা জাতীয় গড় ৭৪.০৪%-এর থেকে বেশি। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৯৩.১৭% এবং মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৫.৩%। শহর অঞ্চলটিতে ছয় বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা জনসংখ্যার ৮.৯%। প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৬৪ জন নারী রয়েছে।[১৮] ২০০৫ সালে, শহরটিতে অপরাধের হার ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৫ জন, ভারতে বড় বড় শহরে সংঘটিত অপরাধগুলোর ১.২%। অপরাধ সংঘটন করে ভারতে ৩৫ টি প্রধান শহরগুলির মধ্যে এটি ২১ তম স্থানে রয়েছে।[১৯] ২০১১ সালে, শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল ১০,০৫২ প্রতি বর্গকিমি (২৬,০৩৫ প্রতি বর্গমাইল)।[] শহরের জনসংখ্যার ৮% মানুষ বস্তিতে বাস করে।[২০]

Remove ads

পরিবহন ব্যবস্থা

শহরটি সড়ক পথে চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর ও কোচি শহরের সঙ্গে ভালো ভাবে যুক্ত। ৭ নং জাতীয় সড়ক এই শহরে মধ্যে দিয়ে কন্যাকুমারী পর্যন্ত চলে গেছে।

রেলপথ

শহরটির প্রধান রেল স্টেশনটি হল কোয়েম্বাটুর রেলওয়ে স্টেশন।ৎস্টেশনটি থেকে ব্যাঙ্গালোরচেন্নাইএ নিয়মিত ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া রেল স্টেশনটি থেকে দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাইহায়দ্রাবাদ এর মত বড় শহর ও রাজ্যের অন্যান্য শহর যেমন সালেম,মাদুরাই এ ট্রেন চলাচল করে।

বিমানবন্দর

শহরটিতে কোয়েম্বাটুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। বিমান বন্দটি শহরের কেন্দ্র থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিমানবন্দরটি থেকে চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোরদিল্লির মধ্যে নিয়মিত বিমান চলাচল করে।মুম্বাই, কলকাতা, পুনে ও হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরেও বিমান যোগাযোগ রয়েছে কয়ম্বাটুর বিমানবন্দরের সঙ্গে। সিঙ্গাপুর, সারজাহ প্রভৃতি বিদেশি বিমানবন্দরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ রয়েছে বিমানবন্দরটির সঙ্গে। বছরে বিমানবন্দরটি ১ মিলিয়নের বেশি যাত্রী পরিবহন করে।

Remove ads

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads