শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

তারলেজা আবাবিল

পাখির প্রজাতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

তারলেজা আবাবিল
Remove ads

তারলেজা আবাবিল, তারলেজা বা লিশরা (ইংরেজি: Wire-tailed Swallow) (Hirundo smithii) হাইরানডিনিডি পরিবারভুক্ত একটি ছোট গায়ক পাখি। এর দুইটি উপপ্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশে তার একটি H. s. filfera দেখা যায়।[]
চড়াইয়ের আকারের পাখিটিকে মাথার উপর লালটুপি আর তারের মতো দুইটি লম্বা লেজ দেখলে চিনতে দেরি হয় না। এরা উড়ে উড়ে কীটপতঙ্গ খায়। এরা বাংলাদেশপশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী বাসিন্দা। তারের উপর প্রায়ই এই পাখিদের বসে থাকতে দেখা যায়।[]

দ্রুত তথ্য তারলেজা আবাবিল Hirundo smithii, সংরক্ষণ অবস্থা ...
Remove ads

বিবরণ

তারলেজা আবাবিল লম্বায় ৫ ইঞ্চি। কিন্তু চেরা লেজের বাইরের পালকের দুদিক থেকে একটি করে সরু তারের মতো লেজ আছে আরো ৭ ইঞ্চি। স্ত্রী পাখিটি একটু ছোট। মাথার চাঁদি উজ্জ্বল বাদামী। মাথার দুই পাশ, ঘাড় এ উপরের সমস্ত পালক চকচকে ইস্পাত নীল। লম্বা ডানায় লুকানো অংশ ও লেজ গাঢ় পিঙ্গল। লেজের ঠিক মাঝের দুই জোড়া পালকে সাদা ছোপ। তলার সব পালক সাদা। ঠোঁট ও পা কালো।[]

বিস্তৃতি

মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাখিটির আবাসস্থল। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, তাজিকিস্তান এবং আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলা, বুরুন্ডি, জিম্বাবুয়ে, সুদান, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ কয়েকটি দেশে পাখিটির বিস্তৃতি। এছাড়া বাংলাদেশ, কঙ্গো, মিশর, লাইবেরিয়া ওমান, শ্রীলঙ্কা: এসব দেশে পাখিটি খুব অল্প পরিমাণে দেখা যায়।[]বাংলাদেশে চট্টগ্রাম, খুলনা, ঢাকাসিলেটে পাখিটি দেখার চারটি রেকর্ড আছে।[]

Remove ads

উপপ্রজাতি

Thumb
H. s. filfera, ভারত

তারলেজা আবাবিলের মোট দুইটি উপপ্রজাতি পাওয়া যায়:[]

স্বভাব

Thumb
তারলেজা আবাবিলের ডিম

তারলেজা জলের ধারের পাখি। নদী, বিল, বড় জলাশয়, ধানক্ষেত এবং বড় খালের উপর এদের উড়তে দেখা যায়। এরা সংঘবদ্ধভাবে বাস করে না। প্রজননকালে খুব ছোট পারিবারিক দলে দেখা যায়। পরিযায়ী হবার সময় কিছু পাখি মেঠো আবাবিলদের ঝাঁকে যোগ দেয়। এদের টেলিগ্রাফের তারের উপর বসতে দেখা যায় বেশি। গাছের ডালে এরা সাধারণত বসে না। একমাত্র বাসা তৈরির জন্য মাটির নিচের জমিতে নামে।[] এদের ডাক সাধারণত খুব নিচু স্বরের: চিট-চিট...। এর গান অনেকটা এরকম: চিরিক-উইট...চিরিক-উইট...। তারলেজার সতর্ক সংকেত বেশ স্পষ্ট: চিইপ-চিই ধরনের।[]

প্রজনন

এর প্রজননের সময় মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর। এই সময়ের মধ্যে এরা দইবার ডিম পাড়ে। মাটি দিয়ে তৈরি বাসার আকার দইয়ের চ্যাপ্টা ভাঁড়ের মতো। বাসা বানায় স্ত্রী পাখি। পুরুষ সাথে থাকে মাত্র। তবে সন্তানপালনে সর্বতোভাবে স্ত্রী পাখিকে সহায়তা করে। ডিম পাড়ে ৩-৪টি অল্প চকচকে। খোলার রং সাদা, তার উপর লালচে-পাটকিলে ছিট ও ছোপ। ডিমের মাপ: লম্বায় ০.৭২ ইঞ্চি, চওড়ায় ০.৫৩ ইঞ্চি।[]

Remove ads

বর্তমান অবস্থা

পৃথিবীতে অনেকখানি এলাকাজুড়ে পাখিটির বাস। এমনকি পাখিটির সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়ছে। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[] তবে বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads