শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
পশতুন জাতি
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার (পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের) স্থানীয় পূর্ব-ইরানীয় নৃগোষ্ঠী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
পশতুন জাতি (পশতু: پښتانه; আ-ধ্ব-ব:[Pəx̌tānə́]) বা পশতু জাতি একটি ইরানীয় নৃগোষ্ঠী[২৩][২৪][২৫][২৬] যাদের মাতৃভূমি মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়াতে অবস্থিত।[২৭] এই নৃগোষ্ঠীটির মাতৃভাষাটি হল পশতু ভাষা, যা একটি পূর্ব ইরানীয় ভাষা। এছাড়া আফগানিস্তানের নৃগোষ্ঠীগত পশতুনেরা ফার্সি ভাষার একটি উপভাষা দারি ভাষাটিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে।[২৮][২৯][৩০] অন্যদিকে ভারতীয় উপমহাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়াতে বসবাসকারী পশতুন জাতির লোকেরা হিন্দি-উর্দু ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে।[৩১][৩২] তবে পশতুনদের একটি তাৎপর্যমূলক সংখ্যক অংশ প্রথম ভাষা বা মাতৃভাষা হিসেবেই ফার্সি বা হিন্দি-উর্দুতে কথা বলে।[৩৩] পশতুন জাতির জনসংখ্যা আনুমানিক ৬ কোটি ৩০ লক্ষ প্রাক্কলন করা হলেও এই সংখ্যাটি বিতর্কিত, কারণ ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের রুশ-আফগান যুদ্ধের পর থেকে আফগানিস্তানের কোনও সরকারী জনগণনা বা আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়নি।[৩৪] পশতুন বংশোদ্ভূত লোকদেরকে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন ভাষায় (যেমন হিন্দি বা উর্দু ভাষায়) পাঠান নামেও নির্দেশ করা হতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে পশতুন জাতিকে আফগান জাতি হিসেবেও বর্ণনা করা হত, তবে বর্তমানে "আফগান" শব্দটিকে একটি নাগরিকত্বসূচক বিশেষণ হিসেবে আফগানিস্তানের সব নাগরিককে বোঝানো হয় এবং পশতুনদেরকে আফগানিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ নৃগোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করা হয় (আফগানিস্তানে তাজিক জাতি, হাজারা জাতি ও উজবেক জাতির লোকেরা আরও তিনটি প্রধান নৃগোষ্ঠী গঠন করেছে)।
পশতুনদের মাতৃভূমি মূলত দক্ষিণ আফগানিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তান; ফলে জাতিটি দুইটি ভিন্ন সার্বভৌম দেশে বিভক্ত হয়ে গেছে। কখনও কখনও এই দুইটি পশতুন অধ্যুষিত এলাকাকে একত্রে পশতুনিস্তান অঞ্চল হিসেবে ডাকা হতে পারে, যেখানে সিংহভাগ পশতুনদের বাস। এই মূল মাতৃভূমি থেকে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে পৃথিবীর অন্যত্র পশতুনদের বিক্ষিপ্ত উদ্বাসন ঘটেছে। এইসব বিক্ষিপ্ত উদ্বাসিত পশতুন সম্প্রদায়ের মধ্যে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ ও পাঞ্জাব প্রদেশ (বিশেষত করাচী ও লাহোর নগরীতে) এবং ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের রোহিলখণ্ড অঞ্চলে (ও দিল্লী ও মুম্বইয়ের মতো প্রধান নগরীগুলিতে) বসবাসকারী পশতুন সম্প্রদায়গুলি বিশেষভাবে উল্লেখ্য। এছাড়া সাম্প্রতিককালে পারস্য বা আরব উপসাগরের আরব রাষ্ট্রগুলিতে (মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতে) বৃহত্তর দক্ষিণ এশীয় বিক্ষিপ্ত উদ্বাসিত সম্প্রদায়গুলির অংশ হিসেবে একটি পশতুন উদ্বাসিত সম্প্রদায় গঠিত হয়েছে।[৩৫]
পশতুন জাতির লোকেরা আফগানিস্তানের বৃহত্তম নৃগোষ্ঠী; তারা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৪৮% গঠন করেছে।[৩৬] আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পশতুনরা দেশটির আধিপত্য বিস্তারকারী নৃ-ভাষিক গোষ্ঠী। অধিকন্তু, পশতুনরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৃগোষ্ঠী।[৩৭] তারা পাকিস্তানের জনসংখ্যার ১৫% থেকে ১৮% গঠন করেছে[৩৮] এবং তাদেরকে দেশটির পাঁচটি প্রধান নৃ-ভাষিক গোষ্ঠীর একটি হিসেবে গণ্য করা হয়।[৩৯] বৃহত্তর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পশতুনরা বিশ্বের ২৬তম বৃহত্তম নৃগোষ্ঠী এবং বিশ্বের বৃহত্তম খণ্ডভিত্তিক বংশমূলক নৃগোষ্ঠী। বর্তমানে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০টি পশতুন উপজাতি ও গোত্র আছে বলে প্রাক্কলন করা হয়।[৪০][৪১]
Remove ads
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- বাহলুল খান লোদি - লোদী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা
- সিকান্দার লোদি - দিল্লির লোদি বংশীয় সুলতান
- শের শাহ সুরি - সুরি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা
- ইবরাহিম লোদি - লোদি রাজবংশের শেষ সুলতান।
- আহমদ শাহ দুররানি - দুররানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা
- ওয়াজির আকবর খান - আফগানিস্তানের আমির
- আমানউল্লাহ খান - আফগানিস্তানের আমির
- খলিলুল্লাহ খলিলি - আফগানিস্তানের বিংশ শতাব্দির প্রধানতম কবি
- মধুবালা - ভারতীয় অভিনেত্রী
- আশরাফ গনি - আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি
- ইমরান খান - পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী
- শহীদ আফ্রিদি - পাকিস্তানি ক্রিকেটার
- ফখর জামান - পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- ইফতিখার আহমেদ - পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- রশীদ খান - আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- শাহীন আফ্রিদি - পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- মুহাম্মদ ওমর - তালেবান নেতা এবং আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাতের প্রথম আমির
Remove ads
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads