ক্রোয়েশিয়ায় ইসলাম
From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্রোয়েশিয়ায় ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ও প্রচলিত ধর্ম। ২০১৭ সালের পিউ রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্যমতে ক্রোয়েশিয়ায় প্রায় ৬৪,০৫৭ জন মুসলিম বসবাস করে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১.৪৭% গঠন করে।[2][3] ১৫শ থেকে নিয়ে ১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত চলা ক্রোয়েশীয়-উসমানীয় যুদ্ধের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্যের মাধ্যমে ক্রোয়েশীয়রা প্রথম ইসলামের সাথে পরিচিত হয়। এই সময়ে ক্রোয়েশীয় রাজ্যের কিছু অংশ দখল করা হয় এবং এর ফলে অসংখ্য ক্রোয়েশীয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। তবে ক্রোয়েশিয়া গোটা শতাব্দীতে উসমানীয় সাম্রাজের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায় এবং এর ফলে ইউরোপে উসমানীয়রা ক্রোয়েশিয়ার মাটিতে গেঁথে যায়। ১৫১৯ সালে ক্রোয়েশিয়াকে পোপ লিও এক্স আন্তেমুরালে ক্রিশ্চিয়ানাইটিস নামে অভিহিত করেন।
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
৬৪,০৫৭ (১.৪৭) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
জাগ্রেব, প্রমোরজে-গর্স্কি কোটার, ইস্ট্রিয়া | |
ধর্ম | |
সুন্নি ইসলাম | |
ভাষা | |
ক্রোয়েশীয় ভাষা, তুর্কি ভাষা, আলবেনীয় ভাষা, আরবি |
৯০–১০০% |
|
৭০–৮০% | কাজাখস্তান |
৫০–৭০% | |
৩০–৫০% | উত্তর মেসেডোনিয়া |
১০–২০% |
|
৫–১০% | |
৪–৫% | |
২–৪% | |
১–২% |
|
< ১% |
|
ইসলামিক কমিউনিটি অফ ক্রোয়েশিয়া (Mešihat Islamske Zajednice u Hrvatskoj) ক্রোয়েশিয়ার মুসলমানদের প্রধান সংগঠন, যা আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র দ্বারা স্বীকৃত।[4] ইসলামী সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি হলেন আজিজ আফেদী হাসানোভিয়া।[5] ক্রোয়েশিয়ার মুসলিমদের অধিকাংশই নিজেদের বসনীয় (৩১,৪৭৯) হিসেবে ঘোষণা করে। তবে তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক আলবেনীয় (৯,৫৯৪), রোমা (৫,০৩৯), তুর্কি (৩৪৩), ম্যাসেডোনিয়ান (২১৭) ও মন্টেনিগ্রিনসও (১৫৯) রয়েছে।[3] ক্রোয়েশিয়ার প্রথম আধুনিক মসজিদটি ১৯৬৯ সালে গুনজায় নির্মিত হয়। [6] বর্তমান ক্রোয়েশিয়ায় ৪টি মসজিদ ও ২টি ইসলামিক সেন্টার রয়েছে (জাগ্রেব ও রিজেকায়।[7][8][9]
ঐতিহাসিকভাবে উসমানীয় শাসনামলে ক্রোয়েশিয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সংখ্যক মসজিদ ছিল। এক পর্যায়ে তাদের সংখ্যা ২৫০-এ নেমে আসে এবং ২০১৪ সালের হিসাবে মাত্র ৩টির কাঠামো দাঁড়িয়ে ছিল।[10] তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সর্বাধিক ইব্রাহিম পাশার মসজিদ, যা পূর্ব ক্রোয়েশিয়ার ডাকোভোতে অবস্থিত, কিন্তু পরবর্তীতে তা গির্জায় রূপান্তরিত করা হয় এবং আজ তা রোমান ক্যাথলিক চার্চ অফ অল সেন্টস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পূর্ব ক্রোয়েশিয়ার আরেকটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদ ওসিজেকে অবস্থিত ছিল। তবে কার্লোভিৎজের চুক্তির পর এই অঞ্চলের বেশিরভাগ উসমানীয় কাঠামো পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়।
গুনজা পৌরসভায় মুসলমিদের সর্বোচ্চ হার (৩৪.৭%) রয়েছে। এরপরে সিটিনগ্রাদ (২০.৬২%), রাসা (১৮%), ভোজোনিক (১৫.৫৮%), ভোডনজান (১৪%), লাবিন (১০.৬৮%), ক্রাসান (৮%), স্ভেতা নেদেলজা (৮%), ড্রেনোভসি (৭.২৭%) ও ক্যাভে (৭.%)। ২০১১ সালের হিসাবে ক্রোয়েশিয়ায় সম্পূর্ণ ৫৬টি পৌরসভা রয়েছে, যেখানে কোন মুসলমান বাস করে না।[11]