Loading AI tools
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
টিপু মুনশি (জন্ম: ২৫ আগস্ট ১৯৫০) বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ সাল থেকে তৃতীয়বারের মতো রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন (২০১৯-২০২৩)।[1][2]
টিপু মুনশি | |
---|---|
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী | |
পূর্বসূরী | তোফায়েল আহমেদ |
উত্তরসূরী | আহসানুল ইসলাম (প্রতিমন্ত্রী) |
রংপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | করিম উদ্দিন ভরসা |
কাজের মেয়াদ ২০১৯ – ১১ জানুয়ারি ২০২৪ | |
কাজের মেয়াদ ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ – ০৬ আগস্ট, ২০২৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | গোপালগঞ্জ জেলা | আগস্ট ২৫, ১৯৫০
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আইরীন মালবিকা মুনশি |
সন্তান | ২ কন্যা |
পিতামাতা | রমজান আলী রত্নাময়ী মুনশি |
বাসস্থান | রংপুর, বাংলাদেশ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | সরকারী তিতুমীর কলেজ |
পেশা | রাজনীতিবিদ ও শিল্পপতি |
টিপু মুনশির ২৫ আগস্ট ১৯৫০ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ১৯৬৪ সালে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার গুয়াবাড়ি গ্রামে সপরিবার আবাস গড়েন। তিনি ঢাকার সরকারী তিতুমীর কলেজ (তৎকালীন সরকারি জিন্নাহ কলেজ) থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার বাবা রমজান আলী ব্রিটিশ সৈনিক ছিলেন। মায়ের নাম রত্নাময়ী মুনশি।[1]
পেশায় শিল্পপতি টিপু মুনশি রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে ঢাকায় জোয়ারসাহারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ভুমিকা রাখেন। তিনি তৎকালীন সরকারি জিন্নাহ কলেজ (বর্তমান তিতুমীর কলেজ) ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেন।[1]
১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তেজগাঁও উত্তরাঞ্চলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ১৯৯২ সাল থেকে ২৪ বছর তিনি বৃহত্তর গুলশান আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতিও ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক নির্বাচিত হন।[1][3]
১৯৯৮ সালে তিনি বিজিএমইএর সহসভাপতি, ২০০৫-২০০৬ মেয়াদে বিজিএমইএর সভাপতি ও বর্তমানে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের যৌথ কমিটির প্রেসিডেনশিয়াল সভাপতি। তিনি সিপাল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অ্যাপোলো হাসপাতাল ঢাকার হোল্ডিং সংস্থা এসটিএস গ্রুপের পরিচালক।[4][5]
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে তিনি রংপুর-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে একই আসন থেকে পরাজিত হয়েছিলেন।
২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[6][7][8] নবম জাতীয় সংসদে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে তিনি শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[1]
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[9][10]
টিপু মুনশির স্ত্রীর নাম আইরীন মালবিকা মুনশি, তাদের ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়া এ দম্পতির অপু মুন্সী নামে একজন পুত্র সন্তান ছিল, যিনি ২০০৯ সালে আত্মহত্যা করেন। অপুর চিকিৎসকের দেওয়া বিভিন্ন ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিল। পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কানাডায় ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতক করা অপু তার বাবার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে নিজেকে গুলি করে।[11][12]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.