থাইল্যান্ড
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
থাইল্যান্ড[lower-alpha 1] (থাই: ประเทศไทย, râat-chá-aa-naa-jàk tai), যার ঐতিহাসিক নাম শ্যামদেশ[lower-alpha 2][11][12] এবং দাফতরিক নাম থাই রাজ্য, হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৫,১৩,১২০ বর্গকিলোমিটার (১,৯৮,১২০ মা২) জুড়ে বিস্তৃত ৭ কোটি জনসংখ্যার একটি দেশ।[6] এর উত্তরে মিয়ানমার ও লাওস, পূর্বে লাওস ও কম্বোডিয়া, দক্ষিণে থাইল্যান্ড উপসাগর ও মালয়েশিয়া এবং পশ্চিমে আন্দামান সাগর ও মিয়ানমার অবস্থিত। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বে ভিয়েতনামের সাথে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের সাথে থাইল্যান্ডের সামুদ্রিক সীমান্ত ভাগ করে। থাইল্যান্ডে একাধিক অভ্যুত্থান ও সামরিক একনায়কতন্ত্রের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। ২০১৯ সাল থেকে থাইল্যান্ড নামমাত্র একটি সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। তবে বাস্তবে সংবিধানের কাঠামোগত সুবিধাগুলো ক্ষমতায় সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণকে সুনিশ্চিত করেছে।[13] ব্যাংকক দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
থাই রাজ্য
| |
---|---|
রাজকীয় সঙ্গীত: สรรเสริญพระบารมี “ফ্লেং সান্সোয়েন ফ্রা বারামি” | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | ব্যাংকক ১৩°৪৫′ উত্তর ১০০°২৯′ পূর্ব |
সরকারি ভাষা | থাই[1] |
কথ্যভাষা |
|
নৃগোষ্ঠী (২০১৯)[2] |
|
ধর্ম (২০১৮)[3] |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | থাই |
সরকার | এককেন্দ্রিক সংসদীয় অর্ধগণতান্ত্রিক[5] সাংবিধানিক রাজতন্ত্র |
• মহারাজা | মহা ভজিরালঙ্কম |
• প্রধানমন্ত্রী | স্রেথা থাভিসিন |
আইন-সভা | জাতীয় আইনসভা |
• উচ্চকক্ষ | সিনেট |
• নিম্নকক্ষ | প্রতিনিধি সভা |
প্রতিষ্ঠা | |
• সুখোথাই রাজ্য | ১২৩৮–১৪৪৮ |
• অয়ুত্থায় রাজ্য | ১৩৫১–১৭৬৭ |
• থনবুরি রাজ্য | ১৭৬৭–১৭৮২ |
• রাত্তানাকোসিন রাজ্য | ৬ই এপ্রিল ১৭৮২ |
২৪শে জুন ১৯৩২ | |
• বর্তমান সংবিধান | ৬ই এপ্রিল ২০১৭ |
আয়তন | |
• মোট | ৫,১৩,১২০ কিমি২ (১,৯৮,১২০ মা২) (৫০শ) |
• পানি (%) | ০.৪ (২,২৩০ কিমি২) |
জনসংখ্যা | |
• ২০২১ আনুমানিক | ৬৬,১৭১,৪৩৯[6] (২০শ) |
• ২০১০ আদমশুমারি | ৬৪,৭৮৫,৯০৯[7] (২১শ) |
• ঘনত্ব | ১৩২.১/কিমি২ (৩৪২.১/বর্গমাইল) (৮৮শ) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০২২ আনুমানিক |
• মোট | $১.৪৭৫ ট্রিলিয়ন[8] (২৩শ) |
• মাথাপিছু | $২১,০৫৭[8] (৭৭শ) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০২২ আনুমানিক |
• মোট | $৫২২.০১২ বিলিয়ন[8] (২৩শ) |
• মাথাপিছু | $৭,৪৪৯[8] (৮৯শ) |
জিনি (২০১৯) | ৩৪.৯[9] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯) | ০.৭৭৭[10] উচ্চ · ৭৯শ |
মুদ্রা | বাত (฿) (THB) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+৭ (ইউটিসি+০৭:০০) |
তারিখ বিন্যাস | দদ/মম/সসসস (থাসৌব) |
গাড়ী চালনার দিক | বাঁ |
কলিং কোড | +৬৬ |
ইন্টারনেট টিএলডি |
|
থাইল্যান্ড একমাত্র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাষ্ট্র যা যুদ্ধকালীন সময় ব্যতীত কখনও কোন ইউরোপীয় বা বিদেশী শক্তির নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ১৭৮২ সাল থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পরম রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৯৩২ সালে বিদ্রোহীরা একটি অভ্যুত্থান ঘটায় এবং দেশে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত থাইল্যান্ড বহু সামরিক ও বেসামরিক সরকারের অধীনে শাসিত হয়েছে। ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত দেশটি শ্যামদেশ (থাই: สยาม সায়াম্) নামে পরিচিত ছিল। ঐ বছর এর নাম বদলে থাইল্যান্ড রাখা হয়। তবে ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে আবারও একে শ্যামদেশ নামে ডাকা হত। ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয়বারের মত থাইল্যান্ড নামটি গ্রহণ করা হয়।
থাইল্যান্ডের মধ্যভাগে রয়েছে একটি বিস্তীর্ণ উর্বর সমভূমি। এই সমভূমির মধ্য দিয়ে দেশের প্রধান নদী চাও ফ্রায়া এবং এর শাখানদী ও উপনদীগুলি প্রবাহিত হয়েছে। এই অঞ্চলে দেশের ধান ও অন্যান্য ফসলের অধিকাংশের আবাদ হয়। মধ্যভাগের সমভূমির পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব দিক ঘিরে রেখেছে পাহাড় ও মালভূমি। পশ্চিমের পর্বতশ্রেণী দক্ষিণ দিকে মালয় উপদ্বীপে প্রসারিত হয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ব্যাংকক চাও ফ্রায়া নদীর মোহনায় থাইল্যান্ড উপসাগরের তীরে অবস্থিত।
থাইল্যান্ডের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ থাই জাতির মানুষ। এরা প্রায় সবাই থেরবাদী বৌদ্ধধর্ম পালন করে। থাইল্যান্ডে বসবাসকারী অন্যান্য জাতির মধ্যে আছে চীনা, মালয় ও আদিবাসী পাহাড়ি জাতি, যেমন মং ও কারেন। থাইল্যান্ডের পরিশীলিত ধ্রুপদী সঙ্গীত ও নৃত্য এবং লোকশিল্প বিখ্যাত। কৃষিপ্রধান দেশ হলেও ১৯৮০-র দশক থেকে থাইল্যান্ডের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি ঘটছে।