শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
জিএসটি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির যোগ্যতা পরীক্ষা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
জিএসটি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (GST- General, Science & Technology) হলো বাংলাদেশের একটি বার্ষিক সমন্বিত স্নাতক ভর্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে সরকারি ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা যাচাই করা হয়।[২] ২০২১ সালে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য সর্বপ্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালে ৩,০৫,৩৪৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন করে।[৩]
জিএসটি প্রক্রিয়ার বাইরে নয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থা[৪] এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে "প্রকৌশল গুচ্ছ" ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।[৫] ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি ও বুয়েট ছাড়াও কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ প্রক্রিয়ার আওতার বাইরে রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করে।[৬] তবে শেখ হাসিনার পতনের পর ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন ফি ৳১৫০০ অনলাইনে পরিশোধ করতে হয় এবং আর্কিটেকচার বিভাগের ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৳৫০০ আবেদন ফির সঙ্গে যোগ হয়।[১]
Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য জিএসটি পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।[৫] পরের শিক্ষাবর্ষে আরও দুটি যোগ হয়ে মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের অন্তর্ভূক্ত হয়। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সার্কুলার ২০২৩ অনুযায়ী নতুন আরো ২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত হয়ে ২০২২-২৩ ভর্তি সেশনে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,[৭][৮] শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,[৯][১০] খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়,[১১] হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়[১২] এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়[১৩] গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
পরিসংখ্যান
২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।[১৪][১৫] ২০২২ সালে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।[১৫] ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩০ জুলাই সারা দেশের ১৯ কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৪ জন। পরীক্ষায় পাস করেছেন ৮৫ হাজার ৫৮২ জন। পাসের হার ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।[১৬] ২০২৩ সালে ২২টি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় মোট আবেদনকারী ছিল ৩ লাখ ৩ হাজার ২৩১ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখা ইউনিট এ থেকে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ জন, মানবিক শাখা ইউনিট বি থেকে ৯৬ হাজার ৪৩৫ জন এবং বাণিজ্য শাখা ইউনিট সি থেকে ৩৯ হাজার ৮৬৫ জন আবেদন করেছেন।[১৭][১৮][১৯] ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দেয়।[২০] এতে মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদের ক ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক অনুষদের বি ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সি ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছিল।[২১] ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়[২২] এতে মোট ২,৩৭,৭৮৭ শিক্ষার্থী আবেদন করেন।[২৩]
Remove ads
বিশ্ববিদ্যালয় ও আসন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[২] বিভাগ পরিবর্তনসহ মোট আসন সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা নিম্নরূপ -
Remove ads
যোগ্যতা
সারাংশ
প্রসঙ্গ
এসএসসি/সমমান এবং সর্বশেষ দুই শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি/সমমান, ডিপ্লোমা ইন কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল) এবং এ লেভেল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা তার এইচএসসি / সমমান শাখা অনুযায়ী একটি মাত্র শাখায় আবেদন করতে পারে। জিএসটি গুচ্ছভুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত যোগ্যতা অনুসারে কেবল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন করতে পারে এবং ভর্তি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিভিন্ন বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে ।
- ক/A ইউনিট – বিজ্ঞান
এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ সর্বমােট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। সাধারন শিক্ষাবাের্ডের বিজ্ঞান শাখাসহ ভােকেশনাল (এইচএসসি) এবং মাদ্রাসা বাের্ড (বিজ্ঞান) বিজ্ঞান শাখা হিসাবে বিবেচিত হয়।
- খ/B ইউনিট – মানবিক
এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমােট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হয়।[৬০] সাধারন শিক্ষাবাের্ডের মানবিক শাখাসহ মিউজিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদ্রাসা বাের্ড (সাধারন, মুজাব্বিদ) মানবিক শাখা হিসাবে বিবেচিত হয়।
- গ/C ইউনিট – ব্যবসায় শিক্ষা
এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ সর্বমােট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে।[৬০] সাধারন শিক্ষাবাের্ডের বাণিজ্য শাখাসহ ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিস, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (এইচএসসি) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্য শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
জিসিই-এর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (০ লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ৩টি বিষয়ে ও গ্রেডসহ ৫টি বিষয়ে পাস এবং আইএএল (A লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ২টি বিষয়ে ৪ গ্রেডসহ ৩টি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে সংশ্লষ্টি নম্বরপত্র আপলোডসহ আবেদনের পর সমমান ও যোগ্যতা নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে আবেদন করতে হয়।
জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বিশেষায়িত বিভিন্ন বিভাগে (সংগীত, চারুকলা, নাট্যকলা, থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, আর্কিটেকচার প্রভৃতি) শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সাপেক্ষে ভর্তির জন্য বিবেচিত হয়। আর্কিটেকচার বিভাগের ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা ইউনিট এ-এর ভর্তি পরীক্ষার একই দিনে স্ব স্ব কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র জিএসটি গুচ্ছের A, B ও C ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিশেষায়িত বিভাগসমূহে আবেদন করতে পারে।
Remove ads
নম্বর বণ্টন
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে মোট ১০০ নাম্বারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যায়। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৩০। বিজ্ঞান শাখায় (ক/A ইউনিট) পদার্থ ও রসায়ন আবশ্যিক বিষয়। গণিত ও জীববিজ্ঞানের মধ্যে কমপক্ষে একটি অবশ্যই দিতে হবে, চাইলে অন্যটির পরিবর্তে বাংলা বা ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারে। মানবিক শাখার (খ/B ইউনিট) সাধারণ জ্ঞান অংশে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এবং মাধ্যমিক/সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক/ সমমান পর্যায়ে পঠিত পৌরনীতি ও সুশাসন, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইতিহাস, যুক্তিবিদ্যা, ভূগোল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয় থাকবে।[৬১] বিভাগ ও বিষয় অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার নাম্বার বণ্টন নিম্নরূপ:
Remove ads
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads