শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
কুষ্টিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সংক্ষেপে ইবি, আরবি: الجامعة الإسلامية بنغلاديش) স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।[২][৩] এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া নামেই অধিক পরিচিত। বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সকল ধর্মের ও বর্ণের দেশী-বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষকের সমন্বয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ব্যবসা প্রশাসন, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক ও কলা অনুষদীয় বিষয়ের পাশাপাশি দেশে শুধুমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতেই ধর্মতত্ব ও ইসলামী আইনের উপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রদান করা হয়।[৪][৫] শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি আর্থিকভাবে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সাহায্যে পরিচালিত হয়ে আসলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় করে দেশের উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা রেখে উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়।[৬] ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ৯টি অনুষদের অধীনে ৩৮টি বিভাগ চালু আছে। [৭][৮]

Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটি ইসলামি বিদ্যাপীঠ স্থাপনের উদ্যোগ অনেক পুরনো। সর্বপ্রথম ১৯২০ সালে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টগ্রামের পটিয়ায় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ফান্ড গঠন করেন। ১৯৩৫ সালে মাওলানা শওকত আলি মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৪১ সালে মাওলা বক্স কমিটি ইউনিভার্সিটি অব ইসলামিক লার্নিং প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে। ১৯৪৬-৪৭ সালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দীন কমিটি এবং ১৯৪৯ সালে মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ কমিটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে। ১৯৬৩ সালের ৩১ মে ড. এস. এম. হোসাইন-এর সভাপতিত্বে "ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন" গঠন করা হয়।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ১ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রফেসর এম. এ. বারীকে সভাপতি করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২০ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে রিপোর্ট পেশ করে।[৩] কমিটির সুপারিশে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি অধ্যয়ন অনুষদের অধীন (১) আল-কুরআন ওয়া উলূমুল কুরআন, (২) উলূমুত তাওহীদ ওয়াদ দা‘ওয়াহ, (৩) আল হাদীস ওয়া উলূমুল হাদীস, (৪) আশ-শরীয়াহ ওয়া উসূলুস শরীয়াহ, এবং (৫) আল ফালসাফাহ ওয়াত তাসাউফ ওয়াল আখলাক বিভাগ, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধীন (১) আরবী ভাষা ও সাহিত্য, (২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, (৩) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, (৪) অর্থনীতি, (৫) লোক প্রশাসন, (৬) তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, (৭) ভাষাতত্ত্ব ও বাণিজ্য বিভাগ এবং বিজ্ঞান অনুষদের অধীন (১) পদার্থ বিজ্ঞান, (২) গণিত, (৩) রসায়ন, (৪) উদ্ভিদবিদ্যা এবং (৫) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়।[৩]
৩১ মার্চ-৮ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে মক্কায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের এক সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতে ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝিনাইদহ শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ১৭৫ একর জমিতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[৩] পরের বছর ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। এরপর ১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক এ. এন. এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রথম উপাচার্য নিয়োগ করা হয় এবং দুটি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে মোট ৩০০ জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়।
এরশাদ সরকার ১৯৮২ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ (সংশোধনী) ১৯৮২ (৪২)-এর ৪ (বি) ধারা অনুসারে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে নির্মাণ কাজ স্থগিত করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১৮ জুলাইয়ের এক আদেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে স্থানান্তর করেন। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শুরু হয় আন্দোলন, এ আন্দোলনে কুষ্টিয়ার বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী নেতা গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন। প্রবল আন্দোলনের এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ১৯৮৯ সালের ৩ জানুয়ারি মন্ত্রীসভার বৈঠকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুর থেকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করা হয়। তখন শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হয় নাই। এইজন্য বিকল্প ব্যবস্থায় কুষ্টিয়া শহরের পি.টি.আই ভবনে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি অধ্যয়ন অনুষদ, কুষ্টিয়া মেডিকেল স্কুলে মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ এবং শহরের অন্যান্য ভবনে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে একযোগে আরো ৫টি নতুন বিভাগ প্রবর্তিত হয়। সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো ছাত্রী ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির রেওয়াজ চালু করা হয়। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাস শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
১৯৯৩ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রী প্রদানের জন্য এমফিল এবং পিএইচডি কার্যক্রম শুর হয়। ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রচলিত ৩ বছরের পরিবর্তে ৪ বছরের অনার্স কোর্স এবং ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী শিক্ষক নিয়োগ ও ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ছাত্রী ভর্তি করা হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষার্থী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।[৯]
Remove ads
প্রশাসন
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
|
উপাচার্য | অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ |
উপ-উপাচার্য | অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী[১০] |
কোষাধ্যক্ষ | অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম[১১] |
রেজিস্ট্রার | অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক (ভারপ্রাপ্ত)।[১২] |
প্রক্টর | অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান।[১৩] |
ছাত্র উপদেষ্টা | অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম।[১৪] |
উপাচার্যের তালিকা
- এ এন এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী (৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৮)[১৫][১৬]
- মুহম্মদ সিরাজুল ইসলাম (২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৮ থেকে ১৭ জুন ১৯৯১)
- মুহাম্মাদ আব্দুল হামিদ (১৮ জুন ১৯৯১ থেকে ২১ মার্চ ১৯৯৫)
- মুহাম্মাদ ইনাম-উল হক (৯ মে ১৯৯৫ থেকে ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭)
- কায়েস উদ্দিন (৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে ১৯ অক্টোবর ২০০০)
- মুহাম্মাদ লুৎফর রহমান (২০ অক্টোবর ২০০০ থেকে ৩ নভেম্বর ২০০১)
- মুহাম্মাদ মুস্তাফিজুর রহমান (১০ ডিসেম্বর ২০০১ থেকে ২ এপ্রিল ২০০৪)
- এম রফিকুল ইসলাম (৩ এপ্রিল ২০০৪ থেকে ১০ জুলাই ২০০৬)
- ফয়েজ মুহাম্মাদ সিরাজুল হক (১০ অগাস্ট ২০০৬ থেকে ৮ মার্চ ২০০৯)
- এম আলাউদ্দিন (৯ মার্চ ২০০৯ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২০১২)
- আব্দুল হাকিম সরকার (২৭ ডিসেম্বর ২০১২ থেকে ৩০ জুন ২০১৬)
- মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী (২১ অগাস্ট ২০১৬ থেকে ২০ অগাস্ট ২০২০)
- শেখ আব্দুস সালাম (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে ৯ আগস্ট ২০২৪)।
- নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে বর্তমান) [১৭]
উপ-উপাচার্যের তালিকা
- প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন
- প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান
- প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান
- প্রফেসর ড. মো. ইয়াকুব আলী (বর্তমান)
অনুষদ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ টি অনুষদের অধীনে ৩৮টি বিভাগ রয়েছে। এছাড়াও ২০২৩ সালে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুসারে প্রস্তাবিত বিভাগসহ মোট ৫৯টি বিভাগ চালু করা হবে।[১৮] অনুষদগুলি হলো:
ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদ
ডিগ্রী প্রদান করে: বিটিআইএস (অনার্স), এমটিআইএস, এমফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীন পাঁচটি বিভাগ রয়েছে। বিষয়ের মাধ্যম হচ্ছে আরবি, ইংরেজি ও বাংলা।
ইসলামিক ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব অনুষদ
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
ডিগ্রী প্রদান করে: বি.এস-সি.ইঞ্জি:/ বি. ইঞ্জি:, এম.এস-সি ইঞ্জি:/এম. ইঞ্জি:, এমফিল। ও পিএইচডি।
প্রয়োগ/প্রকৌশল বিজ্ঞান সহ এই অনুষদের অধীনে পাঁচটি বিভাগ রয়েছে ও শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম হলো ইংরেজি।
জীববিজ্ঞান অনুষদ
ডিগ্রী প্রদান করে: বি.ফার্ম, এম.ফার্ম, বি. এসসি (অনার্স), এমএসসি ও পিএইচডি
প্রয়োগ/জীব বিজ্ঞানসহ এই অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগ রয়েছে ও শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম হলো ইংরেজি।
বিজ্ঞান অনুষদ
ডিগ্রী প্রদান করে: বি.এসসি (অনার্স), এমএসসি, এমফিল ও পিএইচডি।
পদার্থ/গাণিতিক বিজ্ঞানসহ এই অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগ রয়েছে ও শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম হলো ইংরেজি।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ
ডিগ্রী প্রদান করে: বিবিএ, এমবিএ, এমফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীনে ছয়টি বিভাগ রয়েছে ও শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম হলো ইংরেজি।
কলা অনুষদ
ডিগ্রী প্রদান করে: বিএ (অনার্স), এমএ, এম.ফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীন পাঁচটি বিভাগ রয়েছে ও বিষয়ের মাধ্যম হচ্ছে আরবি, ইংরেজি ও বাংলা।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
ডিগ্রি প্রদান করে: বিএ (অনার্স), বি.এস.এস (অনার্স), এমএ, এম.এস.এস., এমফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীন সাতটি বিভাগ রয়েছে ও বিষয়ের মাধ্যম হচ্ছে ইংরেজি।
আইন অনুষদ
ডিগ্রী প্রদান করে: এলএলবি (অনার্স), এলএলএম, এমফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীন তিনটি বিভাগ রয়েছে ও বিষয়ের মাধ্যম হচ্ছে আরবি, ইংরেজি ও বাংলা।
Remove ads
ইনস্টিটিউট
বর্তমানে আইইউতে একটি ইনস্টিটিউট রয়েছে, ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট)। বিএড, এমএড, ডিপ্লোমা, ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, জুনিয়র ডিপ্লোমা ইন চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম এই ইনস্টিটিউট দ্বারা পরিচালিত হয়। ২০২৩ সালের মধ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অনুমোদিত প্রোগ্রাম অনুযায়ী ইবি-তে মোট তিনটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হবে।
- ইসলাম শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
- আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
Remove ads
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার ছাত্রদের দ্বারা ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২১ অক্টোবর ২০২১ সালে, ইবি থিয়েটার তার ৩০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত নাটক মঞ্চস্থ হয়। সম্প্রতি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ পথনাটক 'জুতা আবিষ্কার' প্রদর্শিত হয়। [১৯]
হলসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি হল আছে। ছাত্রদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রীদের জন্য তিনটি আবাসিক হল রয়েছে। এছাড়াও ২টি ১০ তলা ছাত্র হল, ও ১টি ১০ তলা ছাত্রী হল নির্মাণাধীন রয়েছে[২০]।পাশাপাশি শেখ রাসেল হলের আরেকটি ১০ তলা ব্লক নির্মাণাধীন রয়েছে।
- সাদ্দাম হোসেন হল (মোট সিট ৪৭৫ টি)
- শহীদ জিয়াউর রহমান হল (মোট সিট ৪০০ টি)
- শাহ আজিজুর রহমান হল (মোট সিট ৩৬৬ টি)
- লালন শাহ হল (মোট সিট ৩৬৮ টি)
- শহীদ আনাস হল (মোট সিট ২৬০ টি)
- খালেদা জিয়া হল (মোট সিট ৩৯৮ টি)
- জুলাই ৩৬ হল (মোট সিট ২৬০ টি)
- উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা হল (মোট সিট ৪৮০ টি)
Remove ads
র্যাঙ্কিং
- আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং
ওয়েবমেট্রিক্স ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ওয়েবসাইট অনুযায়ী ২০২২ সালের সংস্করণে,সমগ্র পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ ২১৮৮তম স্থানে রয়েছে। ২০২১-২০২২ সেশনে 4icu.org ওয়েবসাইট কৃত জরিপ অনুযায়ী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বব্যাপী ১৩৮০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৫৬৭ তম অবস্থানে ।[২১] আরেকটি দিক হল edurank.org ওয়েবসাইটটি ১৬৯৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের ৬২০৯তম অবস্থানে রয়েছে।[২২] রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং ওয়েবসাইট ২০২০ খ্রিস্টব্দ বিশ্বব্যাপী ২৮০০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ৪৩৫৫তম অবস্থানে রয়েছে।[২৩]
- জাতীয় র্যাঙ্কিং
২০২২ সালে www.webometrics.info ওয়েবসাইট, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ বাংলাদেশী পাবলিক-প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে ৩৬ তম স্থানে এসেছে। 4icu.org ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৩৯ তম স্থানে রয়েছে।[২১] রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং ওয়েবসাইট ২০২০ সালে বাংলাদেশের ১২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি।[২৩] edurank.org ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের ১২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশকে ২৩তম স্থানে রাখে।[২২]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলাদেশের অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি রয়েছে, যেমন ছাত্র এবং শিক্ষক।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষক
- এ এন এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী - ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য এবং প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশ।
- মাইমুল আহসান খান - আইনশাস্ত্র এবং তুলনামূলক আইনের পণ্ডিত এবং সাবেক অধ্যাপক।
- মুহম্মদ ইউসুফ সিদ্দিক - একজন বাঙালি শিলালিপি বিশারদ, ইতিহাসবিদ, পরিবেশ গবেষক, অধ্যাপক এবং লেখক।
- ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আনওয়ারী, দাওয়াহ ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ববিদ
- মোঃ আব্দুস সাত্তার - প্রাক্তন উপাচার্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
- আবুল আহসান চৌধুরী - লেখক, গবেষক ও সাবেক অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ।
- ফয়েজ মুহাম্মাদ সিরাজুল হক - একাডেমিক এবং প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, আইইউ।
- হারুন-উর-রশিদ আসকারি - বাঙালি-ইংরেজি লেখক, কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, একাডেমিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং দ্বাদশ উপাচার্য, আইইউ।
- এম. আলাউদ্দিন - শিক্ষাবিদ, রসায়নবিদ এবং প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, আইইউ।
- শামসুজ্জামান খান, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক।
- এ বি এম শওকত আলী - লেখক, পদার্থবিদ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক।
- খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর - ইসলামি বক্তা, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং আল হাদিস ও ইসলামি অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক
- আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া - আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী
- আব্দুর রহমান আনওয়ারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের দাওয়াহ ও ইসলামি অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ বিভাগের অধ্যাপক, সভাপতি, ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি শিক্ষা অনুষদের ডিন ছিলেন।[২৪][২৫] তিনি বাংলাপিডিয়ার একজন লেখক ছিলেন।[২৬]
- আহমদ আবদুল কাদের –– ইসলামি চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব (জ. ১৯৫৫)
- শাহজাহান আলম সাজু -- বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, সাবেক সাংসদ এবং শিক্ষক নেতা।
- শিহাব শাহীন -- বাংলাদেশী টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।
- তপন বাগচী -- বাংলাদেশী কবি, প্রাবন্ধিক, লোকসংস্কৃতিবিদ । উপপরিচালক, বাংলা একাডেমি।
- ফাহিমা খাতুন - বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য (জঃ ১৯৯২)
- মেহেদি হাসান রয়েল—বাংলাদেশ ফুটবল জাতীয় দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়।
- মোহাম্মদ শামসুদ্দিন—বাংলাদেশী দৌড়বিদ।
Remove ads
উদ্ভাবন এবং অর্জন
- এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স নামের আন্তর্জাতিক সংস্থার ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৭ জন শিক্ষক স্থান পায়।[২৭]
- ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের এমএসসি শিক্ষার্থী নিয়াজ মুস্তাকিম ইন্টেলিজেন্ট স্মার্ট এবং ভার্সেটাইল হোম সিকিউরিটি সিস্টেম ডিজাইন করেছিলেন। এটি দৈনন্দিন কাজে যেমন দরজা খোলা এবং বন্ধ করা, লাইট সুইচ করা এবং শীতাতপনিয়ন্ত্রণ চালু এবং বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, সেইসাথে গ্যাস লিক এবং আগুনের মতো বিপদে সতর্ক করতে পারবে এই যন্ত্র। [২৮]
- ইভিনিং প্রিমরোজ (সূর্যমুখীর একটি বিশেষ প্রজাতি, শীতপ্রবণ দেশের একটি ফুল) বাংলাদেশের আবহাওয়ায় জৈবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের গবেষকরা চাষ করেন। ড. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে প্রায় দেড় বছর চেষ্টা করার পর গবেষকরা টিস্যু কালচারের মাধ্যমে দেশের জলবায়ুতে এই ফুল চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক আনোয়ারুল হক স্বপন, বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তফা শাকিল, জুবায়ের হুসাইন, সদরুল হাসান চৌধুরী, জহুরুল ইসলাম, জুলকার নাইন প্রমুখ। [২৯]
Remove ads
ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মাধ্যমিক স্তরের এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার একটি 'ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ' রয়েছে। স্কুল এবং কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে সাধারণ ছাত্রদের গ্রহণ করে।[৩০]
চিত্রশালা
- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক
- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল এর মূল ফটক
- শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মূল ফটকসহ সামনে থেকে পূর্ব দিকের অংশ
- বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন
- ডায়না চত্ত্বর
- মীর মুগ্ধ সরোবর (পূর্বের নাম : মফিজ লেক) এটা 'ইবির হাতিরঝিল' নামেও পরিচিত
- খাদেমুল হারমাইন বাদশাহ ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
- মুক্ত ভাংলা ভাস্কর্য, যা ইবির প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে ডানপাশে অবস্থিত
- শহীদ আনাছ হল
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads