শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

পেরু জাতীয় ফুটবল দল

পেরুর প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দল উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

পেরু জাতীয় ফুটবল দল
Remove ads

পেরু জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Peru national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পেরুর প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম পেরুর ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেরুভীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯২৫ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনমেবলের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২৭ সালের ১লা নভেম্বর তারিখে, পেরু প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; পেরুর লিমার অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে পেরু উরুগুয়ের কাছে ৪–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

দ্রুত তথ্য ডাকনাম, অ্যাসোসিয়েশন ...

৫০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট পেরু জাতীয় স্টেডিয়ামে লা ব্লাঙ্কিরোহা নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে।[] এই দলের প্রধান কার্যালয় পেরুর রাজধানী লিমায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন রিকার্দো গারেকা এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ইন্তারনাসিওনালের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় পাওলো গেরেরো

পেরু এপর্যন্ত ৫ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৭০ ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা ব্রাজিলের কাছে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, কোপা আমেরিকায় পেরু অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ২টি ((১৯৩৯ এবং ১৯৭৫)) শিরোপা জয়লাভ করেছে।

রবের্তো পালাসিওস, পাওলো গেরেরো, হোর্হে সতো, জেফেরসন ফারফান এবং তেওদরো ফের্নান্দেসের মতো খেলোয়াড়গণ পেরুর জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চিলি ও ইকুয়েডরের সাথে ফুটবলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে খেলছে।[] পেরুর জাতীয় রং হিসেবে সাদা ও লাল রঙের সাথে মিশ্রণ ঘটিয়ে সাদা শার্ট পরিধান করে দলটি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। ১৯৩৬ সাল থেকে এ নকশাটি ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

Remove ads

ইতিহাস

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯শ শতকে ব্রিটিশ অভিবাসনকারী ও ইংল্যান্ড ফেরৎ পেরুভীয়দের মাধ্যম পেরুতে ফুটবল খেলার শুভসূচনা ঘটে।[] ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ সম্প্রদায়ের সদস্যরা দেশের রাজধানীতে লিমা ক্রিকেট ক্লাব গঠন করে। এ ক্লাবটি প্রথম সংগঠন হিসেবে ক্রিকেট, রাগবি ও ফুটবল খেলা অনুশীলন করতে থাকে।[][][] এ ধরনের নতুন খেলাগুলো স্থানীয় অভিজাত শ্রেণীর কাছে পরবর্তী দশকগুলোয় বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। কিন্তু, ১৮৭৯ থেকে ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত সংঘটিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধে চিলির সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে শুরুর দিকের অগ্রসরতা থেমে যায়। যুদ্ধের পর পেরুর উপকূলীয় সম্প্রদায় আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তন ঘটায়।[১০] লিমার বারিওদের কাছ প্রাত্যহিক কার্যাদি হিসেবে এ ক্রীড়াকে বেছে নেয়। শ্রমিকদের কাছ থেকে আরও উৎপাদনশীলতা লাভের আশায় মালিকপক্ষ খেলার স্বাধীনতা উজ্জ্বীবনী শক্তি প্রদান করেন।[১১] কলাও বন্দর ও অন্যান্য বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থানরত ব্রিটিশ সরকারী কর্মচারী ও নাবিকেরা স্থানীয়দেরকে নিয়ে এ খেলায় মত্ত হয়ে উঠে।[১২][] স্থানীয় ও বিদেশীদের সাথে কলাওয়ে এবং লিমায় অভিজাত ও শ্রমিকদের মাঝে প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে গড়ে উঠে। পরবর্তী সময়গুলোয় বিদেশীদের প্রস্থানের পর বিষয়টি কলাও ও লিমার মধ্যে প্রবল প্রতিপক্ষীয় রূপ ধারণ করে।[][১৪] এ বিষয়টি কয়েক বছরের মধ্যেই লিমার দারিদ্রবহুল শহর এলাকা লা ভিক্টোরিয়া জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেই ১৯০১ সালে আলিয়ান্সা লিমা ক্লাবের গোড়াপত্তন ঘটে। পেরুর উন্নয়নের বিষয়ে ঐতিহাসিক আন্দ্রিয়াজ ক্যাম্পোমার মন্তব্য করেন যে, মহাদেশের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ফুটবল।[১৫] আন্দ্রীয় অঞ্চলে ফুটবল খেলার সংস্কৃতি বেশ জোড়ালো ছিল।[১৬] ১৯১২ সালে পেরুভীয় ফুটবল লীগের প্রচলন শুরু হয়। ১৯২১ সাল পর্যন্ত সাংবার্ষিককারে সদস্য ক্লাবগুলো মধ্যে অনুষ্ঠিত হতো।[১৭]

১৯২২ সালে পেরুভীয় ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ) গঠিত হয়। ১৯২৬ সালে বার্ষিক প্রতিযোগিতাটি পুনরায় শুরু করে।[১৮] ১৯২৫ সালে এফপিএফ দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনে যুক্ত হয়। প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে ১৯২৭ সালে পেরুর জাতীয় দল গঠন করা হয়। দলটি ১৯২৭ সালে লিমার পেরু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা আয়োজক হিসেবে অংশগ্রহণ করে।[১২] প্রথম খেলায় উরুগুয়ের বিপক্ষে ০–৪ গোলে পরাজিত হলেও দ্বিতীয় খেলায় বলিভিয়ার বিপক্ষে ৩–২ গোলে জয়লাভ করে। এরপর ১৯৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে অংশ নেয়। কিন্তু, প্রথম পর্বেই তারা বিদায় নেয়।[১৯]

Remove ads

ফিফা বিশ্বকাপ

সারাংশ
প্রসঙ্গ

পেরু পাঁচবার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে আমন্ত্রিত হয়ে পেরুভীয় দল খেলে। এরপর ১৯৫৮ সাল থেকে প্রত্যেক প্রতিযোগিতায় বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৭০, ১৯৭৮, ১৯৮২ ও ২০১৮ সালে চারবার চূড়ান্ত আসরে খেলে। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে প্রবর্তিত ফিফা ফেয়ার প্লে ট্রফি জয়ে সক্ষমতা দেখায় পেরু দল। একমাত্র দল হিসেবে তারা কোন হলুদ কিংবা লাল কার্ড পায়নি।[২০][২১]

লুইস ডি সুজা ফেরেইরা পেরুর পক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম গোল করেন। ১৪ জুলাই ১৯৩০ তারিখে রোমানিয়ার বিপক্ষে তিনি এ গোলটি করেছিলেন।[২২] হোসে বেলাস্কেস পেরুর পক্ষে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে দ্রুততম গোল করেন। ১১ জুন ১৯৭৮ তারিখে ইরানের বিপক্ষে খেলা শুরু হবার দুই মিনিটেই কিক-অফ থেকে গোলটি করেছিলেন।[২৩] জেফেরসন ফারফান ১৬ গোল করে পেরুর সর্বাধিক ও কনমেবল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পঞ্চম সর্বাধিক গোলদাতা হয়েছেন।[২৪] তেওফিলো কিউবিলাস বিশ্বকাপের চূড়ান্ত আসরে ১৩ খেলায় অংশ নিয়ে ১০ গোল করে দলের শীর্ষ গোলদাতা হয়েছেন।[২৫] ১৯৩০ সালের প্রতিযোগিতা চলাকালে একজন পেরুভীয় খেলোয়াড়কে তাঁর পরিচয়ের বিষয়ে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়।[২৬] আক্রমণভাগের খেলোয়াড় সুসা ফেরেইরা ও অন্য উৎসে জানা যায় তিনি মধ্যমাঠের খেলোয়াড় মারিও দে লাস কাসাস[২৭] পেরুর রামোন কুইরোগা একমাত্র গোলরক্ষক হিসেবে অপ্রত্যাশিত রেকর্ডের অধিকারী। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত আসরে প্রতিপক্ষের মাঠে ফাউল করেন তিনি।[২৮]

Remove ads

র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে পেরু তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১০ম) অর্জন করে এবং ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ৯১তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে পেরুর সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১০ম (যা তারা ২০১৮ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৭২। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
আরও তথ্য অবস্থান, পরিবর্তন ...
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
আরও তথ্য অবস্থান, পরিবর্তন ...

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ

আরও তথ্য ফিফা বিশ্বকাপ, বাছাইপর্ব ...
Remove ads

টীকা

  1. The Lima Cricket and Football Club might also be the oldest club in the Americas that today plays association football.[]
  2. During these games in Callao, the Peruvians possibly invented the bicycle kick, which is known in Peru as the chalaca (meaning "from Callao").[১৩]

তথ্যসূত্র

আরো পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads