শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

নারায়ণগঞ্জ–বাহাদুরাবাদ ঘাট রেলপথ

বাংলাদেশের রেলপথ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

নারায়ণগঞ্জ–বাহাদুরাবাদ ঘাট রেলপথ
Remove ads

নারায়ণগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ ঘাট লাইন ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি একটি রেলপথ। এই লাইনটি বাংলাদেশের রেলসেবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। লাইনটি সমগ্র বাংলাদেশের রেলপথের সাথে যুক্ত শাখা রেললাইন দ্বারা।[]

দ্রুত তথ্য নারায়ণগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ ঘাট লাইন, সংক্ষিপ্ত বিবরণ ...
Remove ads

ইতিহাস

১৮৭১ সালের মধ্যে কলকাতা থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত রেলপথ তৈরি হয়। এ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর ছিলো নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরপাট রপ্তানী ও কলকাতার সাথে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে ঢাকা স্টেট রেলওয়ে কম্পানি দ্বারা নারায়ণগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটার রেলপথ চালু করা হয় ১৮৮৫/১৮৮৬ সালে এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত স্টিমার চালু করা হয়। এই লাইনটি পরে বাহাদুরাবাদ ও জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।[]

নির্মাণকাল

নারায়ণগঞ্জ থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট রেলপথ চারধাপে নির্মাণ কাজ করা হয়।

  • ১ম ধাপ = ঢাকা(ফুলবাড়িয়া)-নারায়ণগঞ্জ (১৮৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি)
  • ২য় ধাপ = ঢাকা-ময়মনসিংহ (১৮৮৫ সালের মধ্যভাগে)
  • ৩য় ধাপ = ময়মনসিংহ-জামালপুর(১৮৯৪)
  • ৪র্থ ধাপ = জামালপুর-বাহাদুরাবাদ(১৯১২)[]
Remove ads

ঘাট লাইন

নারায়ণগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ ঘাট লাইন শুরু ও শেষ প্রান্ত যথাক্রমে শীতলক্ষ্যা নদীযমুনা নদীর ঘাটে অবস্থিত। নারায়ণগঞ্জ স্টেশন থেকে স্টিমার দ্বারা গোয়ালন্দ ঘাট পৌঁছে গোয়ালন্দ-শিলাইদহ রেলপথে কলকাতা পৌছানো যেত।[] নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীর পর্যন্ত অনেক গুলো ঘাট রেললাইন ছিলো। আদমজী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল,[] কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট [] ও গেন্ডারিয়া থেকে বুড়িগঙ্গা নদী পর্যন্ত ঘাট লাইন ছিলো যা কালের বিবর্তনে এখন বিলুপ্ত।[] বাহাদুরাবাদ ঘাটের সাথে যমুনা নদীর ওপারে রেলফেরি তিস্তামুখ ঘাট পর্যন্ত সংযুক্ত ছিলো সান্তাহার-কাউনিয়া লাইন দ্বারা।[]

Remove ads

গতিসীমা

নারায়ণগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ ঘাট রেললাইনে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার কিন্তু রেলপথ সংস্কারের অভাবে কিছু কিছু স্থানে ৩০ কিলোমিটার গতিতেও ট্রেন চলে।[১০][১১] নারায়ণগঞ্জ থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৩৯টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে, যার মধ্যে ২৬টি অবৈধ।[১২]

শাখা লাইন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

নারায়ণগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ ঘাট লাইন শাখা রেললাইন দ্বারা সারা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রেখেছে। শাখা লাইন গুলো হচ্ছে:

ঢাকা-যশোর রেলপথ

নির্মাণাধীন এই রেলপথটি ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যশোরে দর্শনা জংশন-খুলনা লাইনে সংযুক্ত হবে। এই রেলপথ হবে ব্রডগেজ এপথের মোট দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। ভাঙ্গা থেকে মাওয়া ৫২ কিলোমিটার রেলপথ ২০২২ সালে চালুর আশা করছে সরকার।[১৩]

টঙ্গী-ভৈরব-আখাউড়া রেলপথ

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সাথে উত্তর,দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলকে যুক্ত করেছে এই মিটারগেজ রেলপথটি। এই রেলপথটি চালু হয় ১৯১০-১৯১৪ সালের মধ্যে।

জয়দেবপুর-জামতৈল রেলপথ

জয়দেবপুর-জামতৈল রেলপথটি বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হলে, ঢাকার সাথে সরাসরি রেলপথে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলকে যুক্ত করতে তৈরি করা ২০০৩ সালের মধ্যে।

ময়মনসিংহ-গৌরীপুর-ভৈরব রেলপথ

ময়মনসিংহ-ভৈরববাজার রেলওয়ে কম্পানি দ্বারা এই মিটারগেজ রেলপথ তৈরি করা হয় ১৯১২-১৯১৮ সালের মধ্যে।

জামালপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলপথ

জামালপুর থেকে তারাকান্দি হয়ে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত রেললাইন ১৮৯৯ সালে তৈরি করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হলে ঘাট স্টেশন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। জনগণের দাবী প্রেক্ষিতে সরকার ২০১২ সালে তারাকান্দি থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত রেলপথ বর্ধিত করে।[১৪]

Remove ads

স্টেশন তালিকা

সারাংশ
প্রসঙ্গ

নারায়ণগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ ঘাট লাইনে থাকা রেলওয়ে স্টেশনগুলোর তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:

Remove ads

ফেরী

বাংলাদেশে ফেরী ছিলো রেলওয়ে পরিবহন ব্যবস্থার একটি সমন্বিত অংশ। যমুনা নদীর দুইটি প্রধান ঘাটের মাধ্যমে রেলফেরি যোগাযোগ চালু ছিলো একটি হচ্ছে এই বাহাদুরাবাদ ঘাটতিস্তামুখ ঘাটের মাধ্যমে ও অন্যটি হচ্ছে জগন্নাথগঞ্জ ঘাটসিরাজগঞ্জ ঘাটের মাধ্যে।[১৫] ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশাল পরিবর্তন ঘটায়। বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হলে ঘাটের রেলফেরি ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কেবলমাত্র সীমিত মালবাহী ফেরী চালু ছিলো। ২০১০ সালে ঘাটের সীমিত মালামাল পরিবহন ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায় নদীতে চর গঠনের কারণে।[১৬]

Remove ads

রোলিং স্টক

Thumb
বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেমু

দেশের প্রথম ডিজেল ইলেকট্রিক্যাল মাল্টিপল ইউনিট (DEMU) পরিষেবা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে উদ্বোধন করা হয় ২৪ এপ্রিল ২০১৩ সালে। বিশটি DEMU সেট চীনা প্রস্তুতকারক থেকে ৪৬০ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল (২০১৩ সালের হিসাবে US$59 মিলিয়ন)। প্রতিটি সেটে তিনটি গাড়ি থাকে, যার উভয় প্রান্তে ইঞ্জিন যুক্ত থাকে এবং এর ধারণক্ষমতা ১৪৯ জন যাত্রী এবং ১৫১ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারে। আঠারো মাস পরে, ঢাকা ট্রিবিউন ডেমু পরিষেবাটিকে "একটি লেবু" হিসাবে চিহ্নিত করেছে কারণ ভ্রমণের সময় প্রচলিত পরিষেবার তুলনায় একটু ভাল ছিল, গাড়িগুলির অপর্যাপ্ত বায়ুচলাচল ছিল এবং গাড়ির দরজা এবং স্টেশন প্ল্যাটফর্মের উচ্চতার মধ্যে তিন ফুটের অমিল ছিল। জুলাই ২০১৯ এর মধ্যে, অর্ধেক ডিইএমইউ ভেঙে যাওয়ার কারণে অপারেশনের বাইরে ছিল।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ‘অযোগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন আর কেনা হবে না।

Remove ads

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads