শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গে ইসলাম

পশ্চিমবঙ্গে ইসলামের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

পশ্চিমবঙ্গে ইসলাম
Remove ads

ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ২৪.৬ মিলিয়নের বেশি বাঙালি মুসলমান রয়েছেন,[] যারা এই রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৭.০১%।[] রাজ্যে একটি উর্দু-ভাষী মুসলিম সম্প্রদায়ও রয়েছে, যার জনসংখ্যা ২৬ লাখ এবং এটি রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২.৯%। এই সম্প্রদায়ের অধিকাংশ সদস্যই শহরাঞ্চলে বসবাস করেন।

দ্রুত তথ্য মোট জনসংখ্যা, উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল ...
Thumb
মতিঝিল মসজিদ পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম মসজিদ, যা মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত

বাঙালি মুসলমানরা মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং উত্তর দিনাজপুর এই তিনটি জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী।[] এই জেলার মধ্যে উত্তর দিনাজপুর বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যেখানে জাতিগত বাঙালি মুসলমানরা জেলার মোট জনসংখ্যার ২৮% এবং বাকি ২২% উর্দু ও সুরজাপুরি ভাষাভাষী।[]

Remove ads

ইতিহাস

সারাংশ
প্রসঙ্গ
Thumb
পশ্চিমবঙ্গের ত্রিবেনীতে অবস্থিত গাজী দরগা বাংলার অন্যতম প্রাচীন ইসলামী ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা
Thumb
১৬শ শতকে বাংলা সালতানাত সমগ্র পশ্চিম অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল

১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় প্রথম ইসলামের আগমন ঘটে।[] ১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ কর্তৃক বাংলা সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিই ছিল বাংলায় প্রথম মুসলিম রাষ্ট্র, যা একটি স্বতন্ত্র বাঙালি সামাজিক-ভাষাগত পরিচয় উন্মেষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[] সুলতানি আমলের প্রভাব ছিল ব্যাপক। হিন্দুধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত সুলতান জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ মক্কা আল মুকাররমা ও মদিনা আল মুনাওয়ারাহ পর্যন্ত ইসলামিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অর্থায়ন করেন, যা আল-মাদারিস আল-বাঙালিয়াহ (বাঙালি মাদ্রাসা) নামে পরিচিতি লাভ করে। এই সময়ে সুফিরাও বেশ পরিচিতি লাভ করেন। তাদের মধ্যে উসমান সিরাজুদ্দীন, যিনি আখি সিরাজ বাঙালি নামেও পরিচিত, অন্যতম। তিনি পশ্চিম বাংলার গৌড়ের স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন এবং ইলিয়াস শাহের শাসনকালে সালতানাতের রাজদরবারের পণ্ডিত হিসেবে নিযুক্ত হন।[১০][১১][১২] পূর্ববর্তী রাজ্যগুলো যেখানে কেবল সংস্কৃতপালি ভাষার মতো ধর্মীয় ভাষাকে সমর্থন করত, সেখানে সালতানাত ফার্সিআরবির পাশাপাশি বাংলা ভাষা ব্যবহার করে পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থন লাভ করে।[১৩][১৪] ১৫৭৬ থেকে ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চল যখন মুঘলদের অধীনে ছিল এবং সুবাহ বাংলা নামে পরিচিত ছিল, তখন ইসলামের প্রসার বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায়। মুঘল সম্রাটরা বাংলাকে তাদের সবচেয়ে মূল্যবান প্রদেশ হিসেবে গণ্য করতেন। মুঘল সম্রাট আকবরকে আধুনিক বঙ্গাব্দ উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দেওয়া হয়।[১৫]

Remove ads

জনসংখ্যা

সারাংশ
প্রসঙ্গ
আরও তথ্য জনগণনা বছর, মোট জনসংখ্যার% ...
আরও তথ্য আদমশুমারি বছর, মোট জনসংখ্যার% ...

ভারতের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যার হার ১৯৫১ সালে ছিল ১৯.৮৫ শতাংশ, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ শতাংশে।[১৮]

বিভাজন ও অভিবাসন

১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গের পূর্বে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাত ছিল প্রায় ৩৩%।[১৯] বঙ্গভঙ্গের পর, পশ্চিমবঙ্গের কিছু মুসলিম পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) চলে যান। হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ১৬,৩৪,৭১৮ জন মুসলিম শরণার্থী পূর্ব পাকিস্তানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।[২০]

জেলা অনুযায়ী জনসংখ্যা (২০১১)

Thumb
পশ্চিমবঙ্গের জেলাভিত্তিক মুসলিম জনসংখ্যার শতকরা হার, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী
আরও তথ্য #, জেলা ...
## পশ্চিমবঙ্গ (মোট) ৯১.২৭৬.১১৫ ২৪.৬৫৪.৮২৫ ২৭,০১%

ভাষাগত গোষ্ঠীসমূহ

আদমশুমারি অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২ কোটি ৪৬ লক্ষ মুসলিম বাস করেন, যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ। তাদের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষই মূলত বাঙালি মুসলিম, যা রাজ্যের মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ। তারা প্রধানত গ্রামীণ ও আধা-শহুরে এলাকায় বসবাস করেন। বাকি প্রায় ২৬ লক্ষ মুসলমান মূলত বিহারউত্তরপ্রদেশ থেকে আগত উর্দুভাষী, যারা মূলত কলকাতা, আসানসোল ও পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুর মহকুমায় কেন্দ্রীভূত।

Remove ads

পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট মুসলিম ব্যক্তিত্ব

কলকাতা

মালদা

মুর্শিদাবাদ

হুগলি

বর্ধমান

বীরভূম

উত্তর ২৪ পরগনা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা

হাওড়া

উত্তর দিনাজপুর

  • আবদুল করিম চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী, গণশিক্ষা দপ্তর।

মেদিনীপুর

কোচবিহার

জলপাইগুড়ি

নদিয়া

Remove ads

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads