শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

সাপ

হাত-পাবিহীন দীর্ঘ, মাংসাশী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

সাপ
Remove ads

সাপ হাত-পা বিহীন দীর্ঘ শরীরের, মাংসাশী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ। এদের চোখের পাতা এবং বহিকর্ণ না থাকায়, সাপ পা-বিহীন টিকটিকি থেকে আলাদা। বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, প্রাণী জগৎ (প্রাণী) জগতের, কর্ডাটা (কর্ডটা) পর্বের, ভার্টিব্রাটা (মেরুদণ্ডী) উপপর্বের বা শ্রেণীর, রেপটিলিয়া (সরোপ্সিডা) শ্রেণীর , Squamata বর্গের, Serpentes (সার্পেন্টেস) উপবর্গের সদস্যদের সাপ বলে অভিহিত করা হয়। Squamata (স্কোয়ামান্টা) বর্গের সকলের মতোই সাপ এক্টোথার্মিক [from the Greek ἐκτός (ektós) "outside" and θερμός (thermós) "hot") যার অর্থ হল একটি অংশ যাতে অভ্যন্তরীণ তাপ উৎপন্নকারী জৈবিক উৎস রয়েছে।

দ্রুত তথ্য বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস, Infraorders and Families ...

এখন পর্যন্ত যতোদূর জানা যায়, সাপের সর্বমোট ১৫টি পরিবার, ৪৫৬টি গণ, এবং ২,৯০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে।[][] সুদূর উত্তর গোলার্ধের স্কান্ডিনেভিয়া থেকে দক্ষিণে একেবারে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত এদের বসবাসের বিস্তৃতি। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়, তা হতে পারে সমুদ্রের গভীরতম তলদেশে অথবা পর্বতের সুউচ্চ শানুদেশে প্রায় ষোলো হাজার ফিট (৪,৯০০ মি) ওপরে হিমালয় পর্বতমালাতেও। আবার আশ্চর্যের ব্যাপার এমন কিছু দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জ আছে যেখানে সাপের দেখা পাওয়া যায় না। যেমন আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড (যদিও নিউজিল্যান্ড এর জলে পেটের কাছে হলুদ রঙ্ এমন সামুদ্রিক সাপ আর ডোরাকাটা সামুদ্রিক ক্রেইট এর দেখা পাওয়া যায়)।

এদের আকার কখনও খুব ছোট, ১০ সে.মি. (থ্রেড সাপ) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ ফুট বা ৭.৬ মিটার (অজগরঅ্যানাকোন্ডা) পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত টাইটানোবোয়া (Titanoboa) সাপের জীবাশ্ম প্রায় ১৩ মিটার বা ৪৩ ফুট লম্বা।

বিষধর হিসেবে বিখ্যাত হলেও বেশীরভাগ প্রজাতির সাপ বিষহীন হয় এবং যেগুলো বিষধর সেগুলোও আত্মরক্ষার চেয়ে শিকার করার সময় বিভিন্ন প্রাণীকে ঘায়েল করতেই বিষের ব্যবহার বেশি করে। কিছু সাপের বিষ মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা মৃত্যু ঘটায়। অনেক সময় সাপের বিষ মানুষের উপকারে আসে, যা বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সাপ একটি নিরীহ প্রাণী।

Remove ads

ব্যুৎপত্তি

ইংরেজি snake শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজি sanca থেকে, যা এসেছে প্রোটো জার্মানিক *sank-an- (cf. জার্মান Schnake "ring snake", এবং সুইডিশ snok "grass snake" থেকে। এছাড়া প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান শাখা (s)nēg-o- "to crawl, creep" (বুকে হাঁটা); এখান থেকে এসেছে এর সংস্কৃত নাম nāgá বা সাপ[] সাপের অন্য একটি নাম serpent, একটি ফরাসি শব্দ, এটি এসেছে ইন্দো-ইউরোপিয়ান *serp- to creep[] এবং এখান থেকেই এসেছে সাপের গ্রীক নাম érpein (ερπω) ও সংস্কৃত নাম সর্প।

Remove ads

বিবর্তন

সাপের জীবাশ্ম (fossil) পাওয়া খুব দুরূহ, কারণ সাপের কঙ্কাল ছোটো এবং ভঙ্গুর, যার ফলে অশ্মীভবন (fossilization) খুব একটা হয় না। যদিও দক্ষিণ আমেরিকাআফ্রিকায় পাওয়া ১৫ কোটি বছরের পুরোনো নমুনা থেকে সাপের অস্তিত্ত্ব বোঝা যায়, যেটার গঠন বর্তমানকালের গিরগিটির মতো।[] তুলনামূলক শারীরস্থানবিদ্যার ওপর ভিত্তি করে এই ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে যে গিরগিটি থেকেই সাপের উৎপত্তি।[][]

শ্রেণিবিন্যাস

সারাংশ
প্রসঙ্গ

লিলিয়ান শ্রেণিবিন্যাসে আধুনিক কালের সকল সাপ স্কোয়ামান্টা বর্গের সার্পেন্টেস উপশ্রেণীভুক্ত, যদিও স্কোয়ামান্টার ভেতর তাদের রাখার বিষয়টি বিতর্কিত।[] সার্পেন্টেস বর্গের দুটি অধিবর্গ রয়েছে: Alethinophidia (অ্যালিথিনোফিডিয়া) ও Scolecophidia (স্কোলেকোফিডিয়া)। শারীস্থানিক বৈশিষ্ট্য ও মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ-এর সদৃশ্যতার ওপর ভিত্তি করে এই পৃথকীকরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে কলুব্রইডে (কলুব্রয়েড সাপ) ও অ্যাক্রোকরডিডস অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে, অ্যালিথিনোফিডিয়াকে মাঝে-মধ্যে হেনোফিডিয়া ও সেনোফিডিয়া-এই দুভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া অন্যান্য অ্যালিথিনোফিডিয়ান পরিবার হেনোফিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত।[] যদিও এখন অস্তিত্ত্ব নেই, কিন্তু Madtsoiidae (ম্যাডসোইডে) নামক পরিবারের বৃহৎ, আদিম, এবং অনেকটা অজগরের মতো দেখতে সাপের অস্তিত্ত্ব প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতে ছিলো বলে জানা যায়, যার অনেকগুলো গণের মধ্যে একটা হচ্ছে ওনাম্বি

স্থান দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন সূত্রে Boidae (বোইডে) ও Pythonidae (পাইথনিডে)-কে একই পরিবারভুক্ত হিসেবে শ্রেণিবিন্যাসে উল্লেখ করেছে।

আধুনিক সাপ্
Scolecophidia

Leptotyphlopidae

 

Anomalepididae

Typhlopidae

Alethinophidia

Anilius

Core Alethinophidia
Uropeltidae

Cylindrophis

 

Anomochilus

Uropeltinae

Macrostomata
Pythonidae

Pythoninae

Xenopeltis

Loxocemus

Caenophidia

Colubroidea

Acrochordidae

Boidae

Erycinae

Boinae

Calabaria

Ungaliophiinae

Tropidophiinae

পরিবার

আরও তথ্য অধিবর্গ অ্যালিথিনোফাইডিয়া (১৫টি পরিবার) ...
আরও তথ্য পরিবার, নামকরণকারী ...
আরও তথ্য অধিবর্গ Scolecophidia (৩টি পরিবার) ...
আরও তথ্য পরিবার, নামকরণকারী ...
Remove ads

মানুষের সাথে সংশ্লিষ্টতা

সারাংশ
প্রসঙ্গ
Thumb
কোনো দশংনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গসমূহ।[১৩] [১৪] [১৫] বিভিন্ন প্রকার সাপদংশনের অনেক পার্থক্য আছে।[১৩]

সর্পদংশন

Thumb
যদিও বিষধর নয়, তবুও গ্রীন ট্রি অজগর (Morelia viridis) কামড় দেবার ক্ষমতা রাখে।


সাপ প্রকৃতপক্ষে মানুষ শিকার করে না এবং সাপকে কোনো কারণে উত্তেজিত করা না হলে বা সাপ আঘাতগ্রস্থ না হলে তারা মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে। ব্যতিক্রম ছাড়া কনস্ট্রিক্টর ও বিষহীন সাপগুলো মানুষের জন্য কোনো হুমকি নয়। বিষহীন সাপের কামড় মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়, কারণ তাদের দাঁত মূলত কোনো কিছ আঁকড়ে ধরা ও ধরে রাখার মতো। বর্ষার পানি মাটির গর্তে ঢুকলে বেঁচে থাকার জন্য সাপ বের হয়ে আসে এবং মানুষকে দংশন করতে পারে। বিষধর সাপ দংশনের লক্ষণগুলো হচ্ছে­ বমি, মাথাঘোরা, কামড়ানোর স্খানে ফোলা, রক্তচাপ কমে যাওয়া, চোখে ডাবল দেখা, ঘাড়ের মাংসপেশী অবশ হয়ে ঘাড় পেছনের দিকে হেলে পড়া। এমন হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। হাসপাতালে নেয়ার আগে আক্রান্ত জায়গা নাড়াচাড়া করা যাবে না। হাত বা পায়ে কামড় দিলে হাতের পেছনের দিকে কাঠ বা বাঁশের চটা বা শক্ত জাতীয় কিছু জিনিস রেখে শাড়ির পাড় বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্প্লিন্ট তৈরি করে বেঁধে দিতে হবে। আক্রান্ত জায়গা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে। লক্ষ রাখবেন বেশি টাইট করে বাঁধা যাবে না। বাঁধলে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়ে গ্যাংগ্রিন হতে পারে। বিষ শিরা দিয়ে নয়, লসিকাগ্রন্থি দিয়ে শরীরে ছড়ায়। সাপে কাটা রোগীকে ওঝা-বৈদ্য বা কবিরাজ না দেখিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসার জন্য নিকটস্খ হাসপাতালে নিয়ে যান। আক্রান্ত জায়গায় কাঁচা ডিম, চুন, গোবর কিছুই লাগাবেন না। এতে সেল্যুলাইটিস বা ইনফেকশন হয়ে রোগীর জীবনহানি ঘটতে পারে।

Remove ads

তথ্যসূত্র

আরো পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads