শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

শাকিব খান

বাংলাদেশী অভিনেতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

শাকিব খান
Remove ads

শাকিব খান (জন্ম: ২৮ মার্চ ১৯৭৯)[][] হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, গায়ক, চলচ্চিত্র সংগঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন।[] তিনি গণমাধ্যমে "মেগাস্টার" "কিং খান" ও "ঢালিউড কিং" হিসাবে সম্বোধিত হন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা।[১০][১১]

দ্রুত তথ্য শাকিব খান, জন্ম ...

শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার,[১২] আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার,[১৩] তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি ২০১০ সালের ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না,[১৪][১৫] ২০১২ সালের খোদার পরে মা,[১৬][১৭] ২০১৫ সালের আরো ভালোবাসবো তোমায়[১৮][১৯] এবং ২০১৭ সালের সত্তা[২০][২১] চলচ্চিত্রের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[১২][২২]

তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল নাট্যধর্মী সুভা (২০০৬), প্রণয়ধর্মী আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), প্রিয়া আমার প্রিয়া (২০০৮), ও বলবো কথা বাসর ঘরে (২০০৯), প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক আদরের জামাই (২০১১), মারপিট-প্রণয়ধর্মী ডন নাম্বার ওয়ান (২০১২), প্রণয়ধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩), মারপিট-থ্রিলারধর্মী শিকারি (২০১৬), নবাব (২০১৭), নাট্যধর্মী রাজনীতি (২০১৭), সত্তা (২০১৭) ও প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক চালবাজ (২০১৮), ভাইজান এলো রে(২০১৮), নাকাব(২০১৮), প্রিয়তমা (২০২৩), তুফান (২০২৪), বরবাদ (২০২৫), তাণ্ডব (২০২৫)। ২০১১ সালে মনের জ্বালা চলচ্চিত্রে তিনি প্রথমবারে মতো তিনি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে গানে কণ্ঠ দেন। ২০১৪ সালে তিনি হিরো: দ্যা সুপার স্টার চলচ্চিত্র দিয়ে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং পরবর্তীকালে পাসওয়ার্ড (২০১৯), বীর (২০২০)।

Remove ads

প্রাথমিক জীবন

শাকিব খান ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদীতে মাসুদ রানা শেখ নামে[] জন্মগ্রহণ করেন।[২৩] খানের আদি নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায়। তার বাবা আব্দুর রব ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী এবং মাতা নূরজাহান একজন গৃহিণী। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এক বোন ও এক ভাই। বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব কৈশোর থেকে বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জ জেলায়[২৪]

শাকিব খান তার ইচ্ছে প্রসঙ্গে বলেন,

"ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) হব। কারণ আমি সাইন্সের (বিজ্ঞানের) ছাত্র ছিলাম। সবসময় বুকে লালন করতাম ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করব। এর বাইরে যে অপশনটি (বিকল্পটি) আমার মধ্যে কাজ করত তা হলো ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) হওয়া। খুব পছন্দ ছিল এই পেশাটিও। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার পর হঠাৎ করেই যেন ছোটবেলার স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে থাকল।[২৫][২৬]

Remove ads

কর্মজীবন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯৯৯ - ২০০৫

"শাকিবের খোঁজ আমাকে দিয়েছে নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজা। স্টিল ছবি দিয়েছিল প্রথমে। খুব করে অনুরোধ করছিল শাকিবকে নেওয়ার জন্য। ওর জোরাজুরিতেই সামনাসামনি ছেলেটাকে দেখতে চাইলাম। আমাদের অফিসে নিয়ে এসেছিল আজিজ। দেখেই আমাদের পছন্দ হয়েছিল। শাকিবের যোগ্যতা ছিল নায়ক হওয়ার। ওর মধ্যে এমন কিছু দেখেছি বলেই তাকে সিনেমায় নিয়েছি। কেউ হয়তো তাকে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে বা আমি সুযোগটা দিয়েছি। তবে আসল কথা হলো ও যোগ্য ছিল।"

—খান সম্পর্কে সোহানুর রহমান সোহান[২৭]

শাকিব খান ১৯৯৯ সালে প্রথম চুক্তিবদ্ধ হন সবাইতো সুখী হতে চায় চলচ্চিত্রে, আফতাব খান টুলু পরিচালিত এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এতে তার বিপরীতে ছিল আরেক নবাগতা কারিশমা শেখ। শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা, যা ১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায়।[] চলচ্চিত্রটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন আরেক অভিনয়শিল্পী মৌসুমীর ছোটবোন ইরিন জামান, এবং এটি দু'জনেরই অভিষেক চলচ্চিত্র হিসাবে স্মরণীয় হয়ে আছে।[২৮] অনন্ত ভালোবাসা খুব একটা সফল না হলেও নায়ক হিসেবে শাকিব খান সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অভিনয় জীবনের দ্বিতীয় বছরেই তিনি সে সময়ের শীর্ষ অভিনেত্রী শাবনূরের বিপরীতে ইস্পাহানী-আরিফ জাহান পরিচালিত গোলাম (২০০০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন। এই বছর তিনি এজে রানা পরিচালিত আজকের দাপট চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার বিপরীতে, আবু সাঈদ খান পরিচালিত দুজন দুজনার চলচ্চিত্রে পপির বিপরীতে, এবং দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত বিষে ভরা নাগিন চলচ্চিত্রে মুনমুনের বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন।

২০০১ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত শিকারী, স্বপ্নের বাসর, মায়ের জেহাদ, রাঙ্গা মাস্তান, হিংসার পতন, বন্ধু যখন শত্রু চলচ্চিত্রগুলো। এফ আই মানিক পরিচালিত স্বপ্নের বাসর চলচ্চিত্রে রিয়াজ ও শাবনূরের পাশাপাশি তার অভিনয়ও প্রশংসিত হয়। ২০০২ সালে মুক্তি পায় এফ আই মানিক পরিচালিত ফুল নেব না অশ্রু নেবস্ত্রীর মর্যাদা, শাহাদাত হোসেন লিটন পরিচালিত ও প্রিয়া তুমি কোথায়, জিল্লুর রহমানের নাচনেওয়ালী এবং বাদল খন্দকারের বিশ্ব বাটপারস্ত্রীর মর্যাদা চলচ্চিত্রটিতে তিনি প্রথম মৌসুমীর বিপরীতে অভিনয় করেন।

২০০৩ সালে অভিনয় করেন সাহসী মানুষ চাই, প্রাণের মানুষ, ক্ষমতার দাপট, ও সবার উপরে প্রেম চলচ্চিত্রে। এ বছর তার অভিনীত মহম্মদ হান্‌নান পরিচালিত সাহসী মানুষ চাই চলচ্চিত্রটি বেশ প্রশংসিত হয় এবং দুটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।[২৯] ২০০৪ সালে তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে নয়ন ভরা জল, আজকের সমাজ, বস্তির রানী সুরিয়া, রুখে দাড়াও উল্লেখযোগ্য। ২০০৫ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত এমএ রহিম পরিচালিত সিটি টেরর। এ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনেতা মান্নার সঙ্গে অভিনয় করেন। এছাড়া শাহীন-সুমন পরিচালিত বাধা চলচ্চিত্রে রিয়াজ ও পূর্ণিমার সাথে অভিনয় করেন।

২০০৬ - ২০১০

২০০৬ সালে তার অভিনীত ১৩টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় এবং সেগুলো এই বছরের সেরা ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিল। এই সাফল্যের ফলে তার পারিশ্রমিক তিন লাখ থেকে ছয়-সাত লাখে উত্তীর্ণ হয়।[৩০] তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প সুভা অবলম্বনে নির্মিত চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত সুভা চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার বিপরীতে অভিনয় করেন। এ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ২০০৭ সালে প্রদত্ত লাক্স-চ্যানেল আই পারফরম্যান্স পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে দর্শক জরিপ ও সমালোচক উভয় শাখায় মনোনীত হন। একই বছর মুক্তি পায় এফ আই মানিক পরিচালিত কোটি টাকার কাবিন, পিতার আসন, দাদীমাচাচ্চু, ঢাকার পোলা বরিশাইল্যা মাইয়া এবং দিলীপ বিশ্বাস পরিচালিত মায়ের মর্যাদাকোটি টাকার কাবিন চলচ্চিত্রটিতে তিনি প্রথম অপু বিশ্বাসের বিপরীতে অভিনয় করেন। চাচ্চু চলচ্চিত্র দিয়ে শাকিব খান প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।[২৫]

২০০৭ সালে শাকিব অভিনীত ১২টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। পূর্ববর্তী বছরের মত এই বছরও তার চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসাসফল হয়। তার অভিনীত পিএ কাজলের আমার প্রাণের স্বামী চলচ্চিত্রটি সুপারহিট হয় এবং তিনি এতে অভিনয় করে তিনি সমালোচক শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে প্রথম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। এই চলচ্চিত্রের সফলতার পর তার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১২ লাখে। এছাড়া এই বছর তিনি কাবিননামা, যমজ, স্বামীর সংসার, ডাক্তার বাড়ি, তুই যদি আমার হইতি রে, কথা দাও সাথী হবে, দানব সন্তান, কপাল, মা আমার স্বর্গ, কঠিন প্রেমএক বুক জ্বালা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

২০০৮ সালে তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হল তোমাকে বউ বানাবো, আমার জান আমার প্রাণ, সমাধি, ১ টাকার বউ, ভালোবাসার দুশমন, প্রিয়া আমার প্রিয়া, টিপ টিপ বৃষ্টি, তুমি স্বপ্ন তুমি সাধনা, আমাদের ছোট সাহেব, সন্তান আমার অহংকার, যদি বউ সাজো গো, মনে প্রাণে আছো তুমি। এ বছর বদিউল আলম খোকন পরিচালিত প্রিয়া আমার প্রিয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শক জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এবং লাক্স-চ্যানেল আই পারফরম্যান্স পুরস্কার অর্জন করেন এবং এটি বক্স অফিসেও সফলতা অর্জন করে। পিএ কাজল পরিচালিত ১ টাকার বউ চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন শাবনূররুমানা খান। চলচ্চিত্রটি একটি বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ও একটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে, এবং এফ আই মানিক পরিচালিত যদি বউ সাজো গো চলচ্চিত্রে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।

২০০৯ সালে তিনি অভিনয় করেন আমার প্রাণের প্রিয়া, স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা, ভালোবাসা দিবি কিনা বল, মন যেখানে হৃদয় সেখানে, বলোনা কবুল, বিয়ের প্রস্তাব, জন্ম তোমার জন্য, প্রেম কয়েদী, সাহেব নামের গোলাম, ও সাথী রেসবার উপরে তুমি চলচ্চিত্রে। সবার উপরে তুমি চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন এফ আই মানিক, যেখানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভারত যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন খান। এতে তার বিপরীতে প্রথমবারের মতো ভারতীয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে দেখা যায়। চলচ্চিত্রটি পরের আমার ভাই আমার বোন নামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায়। এর প্রায় সাত বছর পর ২০১৭ সালের ৬ মার্চ এঞ্জেল ডিজিটালের ব্যানারে হ্যালো জিন্দেগি (Hello Zindagi) নামে চলচ্চিত্রটির হিন্দি সংস্করণে মুক্তি দেয়া হয়।[৩১][৩২][৩৩] এই বছর পিএ কাজল পরিচালিত স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা চলচ্চিত্রটি প্রশংসিত হয় এবং তিনটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়া জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত আমার প্রাণের প্রিয়া চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ২০১০ সালে প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ দর্শক জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন। এই চলচ্চিত্রের "কি জাদু করেছো বলোনা" গানটি এক বছর হিট গানের তালিকায় ছিল।[২৫]

পরের বছর, ২০১০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত বলো না তুমি আমার, প্রেম মানে না বাধা, টপ হিরো, পরাণ যায় জ্বলিয়া রে, ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, টাকার চেয়ে প্রেম বড়, জীবন মরণের সাথী, প্রেমে পড়েছি, চেহারা: ভন্ড-২, প্রেমিক পুরুষ, হায় প্রেম হায় ভালোবাসাজাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না চলচ্চিত্রে একজন স্বাধীনচেতা যুবক সূর্য চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন অপু বিশ্বাসরুমানা খান। এই চলচ্চিত্রের জন্য ২০১১ সালে প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ দর্শক জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হন, এবং ২০১২ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে প্রথমবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন।[৩৪] এছাড়া ২০১০ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার অভিনীত নাম্বার ওয়ান শাকিব খান, চাচ্চু আমার চাচ্চু, ও নিঃশ্বাস আমার তুমিবদিউল আলম খোকন পরিচালিত নাম্বার ওয়ান শাকিব খান চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িক সফলতা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করে।[২৫][৩৫] শাহাদাত হোসেন লিটনের জীবন মরণের সাথী, পিএ কাজলের চাচ্চু আমার চাচ্চু, এবং বদিউল আলম খোকনের নিঃশ্বাস আমার তুমি তিনটি চলচ্চিত্রেই তার বিপরীতে অভিনয় করে অপু বিশ্বাস এবং চলচ্চিত্রগুলো বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।[৩৬]

২০১১ - ২০১৫

২০১১ সালে শাকিব খান অভিনীত সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কোটি টাকার প্রেম ও পরিচালক জুটি শাহীন-সুমন পরিচালিত টাইগার নাম্বার ওয়ান ব্যবসাসফল হয়। মালেক আফসারী পরিচালিত মনের জ্বালা চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন অপু বিশ্বাস, চলচ্চিত্রটিতে প্রথমবারের মতো তিনি নেপথ্য শিল্পী হিসেবে আমি চোখ তুলে তাকালেই সূর্য লুকায় গানে কণ্ঠ দেন।[৩৭] মোহাম্মদ হোসেন জেমী পরিচালিত কিং খান চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করে অপু বিশ্বাস ও লামিয়া মিমো, এবং এটি বছরের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র হয়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ২০১২ সালে প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ দর্শক জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন।[৩৮] শাহাদাত হোসেন লিটন পরিচালিত আদরের জামাই চলচ্চিত্রটির জন্য মনোনীত হন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সমালোচক শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে। মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত বস নাম্বার ওয়ান ও শাহ আলম কিরণ পরিচালিত মাটির ঠিকানা বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারমেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও এবছর শাহীন-সুমন পরিচালিত কে আপন কে পর চলচ্চিত্রে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেন।[৩৯]

২০১২ সালে তিনি সে আমার মন কেড়েছে, বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না, এক টাকার দেনমোহর, মাই নেম ইজ সুলতান, ডন নাম্বার ওয়ান, খোদার পরে মা, ঢাকার কিং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ডন নাম্বার ওয়ান চলচ্চিত্রের জন্য ২০১৩ সালে দর্শক জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। পরিচালক জুটি শাহীন-সুমন পরিচালিত খোদার পরে মা চলচ্চিত্রে মুন্না চরিত্রে অভিনয় করেন ও তার বিপরীতে ছিল সাহারা এবং তার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন ববিতা। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ২০১৪ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নায়ক হিসেবে রেকর্ডসংখ্যক পারিশ্রমিকের অধিকারী শাকিব খান সর্বশেষ চমক সৃষ্টি করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে।[৪০]

পরের বছর ২০১৩ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ঢাকা টু বোম্বে, ফুল এন্ড ফাইনাল, জোর করে ভালোবাসা হয় না, ভালোবাসা আজকাল, নিষ্পাপ মুন্না, জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার, দেবদাস, মাই নেম ইজ খান, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনীএফ আই মানিক পরিচালিত জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন পূর্ণিমা। এছাড়াও এই চলচ্চিত্রতে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর একসাথে অভিনয় করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় তিন তারকা রাজ্জাক, সোহেল রানাআলমগীর। চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসেও সফলতা অর্জন করে। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত মাই নেম ইজ খান চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন অপু বিশ্বাস

তিনি অপরাজেয় কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাস দেবদাস অবলম্বনে নির্মিত দেবদাস চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম, এতে শাকিব খানের বিপরীতে পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করেন অপু বিশ্বাস এবং চন্দ্রমুখী চরিত্রে অভিনয় করেন মৌসুমী। চলচ্চিত্রটি একই পরিচালকের ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দেবদাস চলচ্চিত্রের পুনঃনির্মাণ। এবছর পিএ কাজল পরিচালিত ভালোবাসা আজকাল চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন নবাগতা মাহিয়া মাহীসাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী চলচ্চিত্রে তার সাথে অভিনয় করেন জয়া আহসানআরিফিন শুভ। এ চলচ্চিত্রে তিনি দ্বিতীয়বার নেপথ্য শিল্পী হিসাবে ও প্রিয় আমি তোমার হতে চাই গানে কণ্ঠ দেন। চলচ্চিত্রটিতে তিনি জয় শিকদার চরিত্রে অভিনয় করে ২০১৪ সালে প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে দর্শক জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন।[৪১]

২০১৪ সালে খান তার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা এসকে ফিল্মস প্রতিষ্ঠা করেন[৪২] এবং এই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে হিরো: দ্যা সুপারস্টার ছায়াছবিটি প্রযোজনা করেন।[৪৩][৪৪][৪৫] বদিউল আলম খোকন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে তার সঙ্গে অভিনয় করেন অপু বিশ্বাস, ববি হক, ববিতানূতন[৪৬] ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চলচ্চিত্রটি ১২০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়, যা সেই সময় রেকর্ড সংখ্যক ছিল এবং এটি বক্স অফিসে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। পরবর্তীতে অবশ্য তারই অভিনীত হিটম্যান চলচ্চিত্রটি এই রেকর্ডটি ভেঙে ফেলে।[৪৭] এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি ২০১৫ সালে প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ দর্শক জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে পুরস্কৃত হন।[৪৮] ২০১৪ সালে তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল রাজত্ব, ফাঁদ - দ্য ট্র‍্যাপ, সেরা নায়ক, ডেয়ারিং লাভার, কঠিন প্রতিশোধ, ও হিটম্যান। এছাড়াও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ প্রযোজিত এক কাপ চাজাকির হোসেন রাজু পরিচালিত দবির সাহেবের সংসার চলচ্চিত্রে একটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।[৩৯][৪৯]

২০১৫ সালে তিনি এইতো প্রেম, আরো ভালোবাসবো তোমায়, দুই পৃথিবী, লাভ ম্যারেজরাজাবাবু - দ্য পাওয়ার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সোহেল আরমান পরিচালিত এইতো প্রেম তার অভিনীত প্রথম যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। এতে তার বিপরীতে প্রথমবার অভিনয় করেন আফসানা আরা বিন্দু। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ২০১৬ সালে প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ দর্শক জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনীত হন। এস এ হক অলিক পরিচালিত আরো ভালোবাসবো তোমায় চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে প্রথমবারের মত অভিনয় করেন নবাগতা পরীমনি। এই চলচ্চিত্রে শাকিব খান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৫০] এই বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত লাভ ম্যারেজ এবং বক্স অফিসেও এটি ব্যবসাসফল হয় এবং ঈদুল আযহায় মুক্তি পায় তার অভিনীত বদিউল আলম খোকন পরিচালিত প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র রাজাবাবু - দ্য পাওয়ার। এতে তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি সর্বাধিক ১৫২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়, যা সেই সময় যেকোনো বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জন্য রেকর্ড সংখ্যক ছিল।[৫১]

২০১৬ - ২০২০

২০১৬ সালের শুরুতে মুক্তি পায় তার অভিনীত উত্তম আকাশ পরিচালিত রাজা ৪২০। কৌতুকধর্মী রাজা ৪২০ চলচ্চিত্রে তিনি নাম ভূমিকা অভিনয় করেছেন। যেখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস ও রাভিনা বৃষ্টি। এরপর এপ্রিলে মুক্তি পায় সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২, যা ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনীর অনুবর্তী পর্ব। খান তার অভিনয় জীবনে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৫২] দুই ক্রিকেটারের দ্বন্দ্ব নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে তার সাথে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, মামনুন হাসান ইমনমৌসুমী হামিদ। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়, এবং বক্স অফিসেও ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়, যা বক্স অফিসে সুপার হিট হিসাবে ঘোষিত হয়।[৫৩] এটি ২০১৬ সালের সর্বাধিক উপার্জনকারী বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম হয়।[৫৪] এই বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার অভিনীত শিকারি, রানা পাগলা - দ্য মেন্টাল, সম্রাট। যৌথ প্রযোজনার শিকারি পরিচালনা করেন বাংলাদেশের জাকির হোসেন সীমান্ত ও ভারতের জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। চলচ্চিত্রে টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সাথে প্রথম জুটি বেঁধে সমাদৃত হন, এছাড়াও তার সঙ্গে সব্যসাচী চক্রবর্তী, রাহুল দেবখরাজ মুখার্জীর মতো অভিনেতাদের দেখা যায়। চলচ্চিত্রে তার নতুন অবয়ব দর্শক ও সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসা কুড়ায়।[৫৫][৫৬] এটি বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার তকমা পায় এবং ২০১৬ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী বাংলা চলচ্চিত্রের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে নেয়।[৫৭][৫৮][৫৯][৬০] চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারটেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেন।[৬১][৬২] এছাড়াও চলচ্চিত্রটি কালাকার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে একটি বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে।[৬৩][৬৪] শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার চলচ্চিত্র রানা পাগলা - দ্য মেন্টালে তার বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, এছাড়াও আঁচলসাবরিনা পড়শী দেখা যায় তার সঙ্গে। এটির কাহিনী ক্রিস্টোফার নোলানের মেমোন্টো চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত। যদিও চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন কারণে সমালোচিত হয়।[৬৫] মারপিট অপরাধর্মী থ্রিলার চলচ্চিত্র সম্রাট: দ্য কিং ইজ হিয়ার পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এতে তিনি মালয়েশিয়া থেকে পরিচালিত একটি বাংলাদেশী সংগঠিত অপরাধ সিন্ডিকেটের প্রধান হিসাবে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।[৬৬] যেখানে তার সাথে অভিনয় করেন অপু বিশ্বাস, মিশা সওদাগর ও ভারতের ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত[৬৭] ঈদুল আযহায় মুক্তি পায় তার অভিনীত মারপিটধর্মী চলচ্চিত্র বসগিরিশামীম আহমেদ রনি পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলি, যা তার অভিষেক চলচ্চিত্রও। দ্য ডেইলি স্টারের জাহিদ আকবর খানের অভিনয়ের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে তার ঢাকাইয়া আঞ্চলিক ভাষা উচ্চারণের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেন ‘‘চলচ্চিত্রটিতে কিছু লক্ষণীয় দিক ছিল যেমন শাকিব খানের ঢাকাইয়া আঞ্চলিক ভাষা উচ্চারণ, যা মোটামুটি আনন্দদায়ক ছিল। শাকিব খানের উপস্থিতিই পুরো চলচ্চিত্রে একমাত্র রক্ষাকবচ ছিল।’’[৬৮] চলচ্চিত্রটি ১৯তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে ৩টি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে। এই বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় তার অভিনীত ধূমকেতু। এটি পরিচালনা করেন শফিক হাসান এবং এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন পরীমনিদ্য ডেইলি স্টারের জাহিদ আকবর চলচ্চিত্রে তার পরিচ্ছদ ও চুলেরশৈলীর সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেন ‘‘শাকিব খান খুব একটা মন্দ ছিলেন না। তবে দীর্ঘ সময় নিয়ে শুটিং করেছেন সেটা স্পষ্ট বোঝা গেছে। কোন ধারাবাহিকতা ছিলো না কস্টিউম (পরিচ্ছদ) ও হেয়ারকাটে (চুলেরশৈলী)। এক দৃশ্যে বড় চুল দেখা গেলে পরের দৃশ্যে ছোট চুলে হাজির হয়েছেন যা ভীষণ বিরক্তির জন্ম দিয়েছে।’’[৬৯]

২০১৭ সালের শুরুতে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র সত্তা। কথাসাহিত্যিক সোহানী হোসেনের মা গল্প অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন হাসিবুর রেজা কল্লোল এবং এতে প্রথমবারের তার বিপরীতে অভিনয় করেন ভারতের পাওলি দাম। এই চলচ্চিত্রে শাকিব খানের অভিনয় সব শ্রেনীর দর্শকের মন কাড়ে, বক্স অফিসেও চলচ্চিত্রটি সন্তোষজনক ব্যবসা করে। রাইজিংবিডি.কমে রুহুল আমিন, মূল ধারায় নায়ক দিয়ে ভিন্ন ধারার গল্প বলার শুরুটা ভালো হয়েছে বলে প্রশংসা করেন। তিনি লিখেন, "সবুজ  মানে শাকিব খানও তার অভিনয় জীবনের সেরা অভিনয়ের মধ্যে অন্যতম অভিনয়টা করেছেন সত্তায়।" তবে তিনি চলচ্চিত্রে প্রথমদিকের তার অভিনয়ের সমালোচনা করেন।[৭০] ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ৫টি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে। চলচ্চিত্রটিতে শাকিব খান বড় লোকের বখে যাওয়া নেশাগ্রস্থ তরুণের চরিত্র সবুজ ভূমিকায় অভিনয় করে চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার অভিনীত নবাবরাজনীতিভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার নবাব পরিচালনা করেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় এবং এতে প্রথমবারের মত তার বিপরীতে অভিনয় করেন ভারতের শুভশ্রী গাঙ্গুলী। চলচ্চিত্র ১২৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়[৭১] এবং এটি ২০১৭ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় ও সর্বকালের সর্বোচ্চ ব্যবসা সফল বাংলাদেশী চলচ্চিত্র এবং পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান করে নেয়।[৭২][৭৩] চলচ্চিত্রে তার শক্তিশালী অভিনয় ও নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ সমালোচক ও দর্শক দ্বারা উভয় মহলে প্রশংসিত হয়।[৭৪][৭৫] দ্য ডেইলি স্টারের চলচ্চিত্র সমালোচক জাহিদ আকবর লিখেন, "ছবিটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শাকিব তাঁর সবটুকু প্রতিভা ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর পুরো গল্প জুড়ে নবাব হয়েই ছিলেন তিনি।"[৭৬] অন্যদিকে, রাজনীতি চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন বুলবুল বিশ্বাস। এতে দীর্ঘ একবছর পর তাকে অপুর বিপরীতে দেখা যায়।[৭৭] চলচ্চিত্রটি দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে। বাংলা ট্রিবিউনের চলচ্চিত্র সমালোচক রায়ান খান চলচ্চিত্রটির পরিচালনা, চিত্রনাট্য ও প্রধান শিল্পীদের অভিনয়ের প্রশংসা করেন। তবে তিনি একই ছবিতে শাকিব খানের দুই ধরনের লুকের নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অভিনয়ে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তার চোখের অভিব্যক্তি অতুলনীয়। তবে আফসোস, ছবির বাকি অভিনয়শিল্পীদের লুকের কন্টিনিউটি (ধারাবাহিকতা) ঠিক থাকলেও শাকিব খানের লুকের কন্টিনিউটি (ধারাবাহিকতা) ছিলনা।"[৭৮] ঈদুল আযহায় মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত রংবাজঅহংকার। দুটি চলচ্চিত্রেই তার বিপরীতে ছিলেন শবনম বুবলি[৭৯]

২০১৮ সালের শুরুতে মুক্তি পায় তার রাজনৈতিক-নাট্য চলচ্চিত্র আমি নেতা হবো, যেখানে আমার প্রাণের প্রিয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো তার বিপরীতে অভিনয় করেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে এসকে মুভিজ[৮০][৮১] এরপর এপ্রিলে তিনি জয়দীপ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চালবাজ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা ২০১৫ সালের তেলুগু সুব্রাহ্মণ্যম ফর সেল চলচ্চিত্রের পুনঃনির্মাণ। এটি তার অভিনীত প্রথম ভারতীয় একক প্রযোজনার চলচ্চিত্র, যা প্রযোজনা করেছে ভারতের প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজ[৮২] চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী, যেখানে তার সঙ্গে রজতাভ দত্ত, খরাজ মুখোপাধ্যায়, কাজী হায়াতআশিষ বিদ্যার্থীদের মতো অভিনেতাদের দেখা যায়। এটি মুক্তির পর সমালোচকদের থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা পায়। যুগান্তরের অনিন্দ্য মামুন খানের অভিনয়ের প্রশংসা করেন, বিশেষকরে তার কৌতুক অভিনয়ের। তিনি লিখেন, ‘‘শাকিব খানও চেষ্টা করেছেন সেরাটাই দিতে। তার কমিডি অভিনয়ও দারুণ ছিল। যার বিনিময়ে হলভর্তি দর্শকদের হাততালি পাচ্ছেন তিনি।’’[৮৩] ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় পাংকু জামাই, চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়া এবং সুপার হিরো। কৌতুকধর্মী পাংকু জামাই পরিচালনা করেছেন আব্দুল মান্নান, এবং তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস। চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া পরিচালনা করেছেন উত্তম আকাশ। এই চলচ্চিত্রটিও কৌতুকধর্মী, যা চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত। মারপিট অপরাধধর্মী চলচ্চিত্র সুপার হিরো পরিচালনা করেছেন আশিকুর রহমান। চলচ্চিত্রে তিনি একজন স্পেশাল ফোর্স অফিসার হিসাবে ইকবাল মাহমুদ সামী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এটি চিত্রায়ণ থেকে শুরু করে মুক্তি পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে সমালোচিত হয়।[৮৪] এরপর তিনি ভারতের মারপিট হাস্যরসাত্মক ভাইজান এলো রে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যেটিও পরিচালনা করেছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। এতে তিনি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়পায়েল সরকার বিপরীতে দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।[৮৫] এবছর ঈদুল আযহায় তার অভিনীত ক্যাপ্টেন খান মুক্তি পায়। ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত চলচ্চিত্রটি সুরিয়াসামান্থা অভিনীত ২০১৪ সালের তামিল চলচ্চিত্র আনজানের পুনঃনির্মাণ।[৮৬] বছরের শেষের দিকে তিনি শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ভারতীয় অতিপ্রাকৃতিক রোমহষর্ক নাকাব চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা পরিচালনা করেছেন রাজীব কুমার বিশ্বাস। যেখানে তিনি নুসরাত জাহানসায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপরীতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৮৭]

২০১৯ সালের ঈদুল ফিতরে তার অভিনীত পাসওয়ার্ডনোলক শিরোনামের দুইটি চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৮৮] পাসওয়ার্ড চলচ্চিত্রটি বছরের সর্বাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। নকল, গানের সুর চুরি, অন্য ছবির প্রচারণায় সময় না দেয়ার অভিযোগসহ নানা সমালোচনা সত্ত্বেও এটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়, ২০১৯ সালের দেশের সর্বাধিক আয়ের চলচ্চিত্র তালিকায় স্থান করে নেয় এবং সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়।[৮৯][৯০][৯১] চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে আয়োজিত ১ম ভারত-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কারে সর্বাধিক ৫টি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে এবং সেরা জনপ্রিয় অভিনেতা বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।[৯২] প্রণয়ধর্মী নোলক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন সাকিব সনেট এবং তার দল।[] এতে তিনি ববি হকর বিপরীতে শাওন তালুকদার ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ভারত-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কারে একটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে এবং বেশ কয়েকটি বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে।[৯৮] ২০১৯ সালের ঈদুল আযহায় তার মনের মতো মানুষ পাইলাম না চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।[৯৯][১০০][১০১] এতে তিনি একজন স্বাধীনচেতা আইনজীবী হিসাবে অভিনয় করেন, এবং এ ভূমিকায় তিনি কর্মজীবনে দ্বিতীয়বারের মতো অভিনয় করেন। এর আগে ২০০৩ সালে আজিজ আহমেদ বাবুল পরিচালিত চিত্রনায়িকা একা'র বিপরীতে হুমকির মুখে চলচ্চিত্রে তিনি একজন আইনজীবীর ভূমিকায় এডভোকেট মুরাদ চরিত্রে অভিনয় করেন।[১০২]

২০২০ সালের শুরুতে তার অভিনীত বীরশাহেনশাহ শিরোনামের দুটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। বীর পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় পরিচালক কাজী হায়াৎ, এতে প্রথমবারের মতো কাজী হায়াতের পরিচালনায় অভিনয় করেন তিনি।[১০৩] চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন খান নিজে। এটি তার তৃতীয় প্রযোজিত চলচ্চিত্র এর আগে ২০১৪ সালে হিরো: দ্যা সুপারস্টার ও ২০১৯ সালে পাসওয়ার্ড শিরোনামের দুটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি।[১০৪] চলচ্চিত্রটির কাহিনী, সংলাপ ও শাকিব খানের অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে। সমকালে জাহিদ আকবর লিখেন, "শাকিব খানের অভিনয় দেখার জন্যই 'বীর' দেখেছেন দর্শকরা। সিনেমাজুড়েই দাপটে অভিনয় করেছেন।"[১০৫] শাহেনশাহ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন তরুণ পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। এতে তার বিপরীতে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া ও রোদেলা জান্নাত।[১০৬] বেশ কয়েকবার মুক্তি তারিখ ঠিক করেও, পরবর্তীতে মুক্তি না দেয়ায় চলচ্চিত্রটিকে সমালোচনা মুখোমুখি পড়তে হয়।[১০৭] ২০২০ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে মুক্তি পায় তার পরবর্তী কাজ অনন্য মামুন পরিচালিত ৮ম চলচ্চিত্র আদালত-নাট্য ঘরানার নবাব এলএলবি, যেখানে তিনি নাম ভূমিকায় একজন সহকারী আইনজীবী হিসাবে অভিনয় করেন। এতে ধর্ষিতা নারীর সামাজিক প্রতিবাদ ও বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে অধিকার আদায়ের গল্প চিত্রায়িত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি অ্যাপে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ঢালিউড চলচ্চিত্র।[১০৮] চলচ্চিত্রটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দুই কিস্তিতে মুক্তি পেয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় এবং প্রথম কিস্তিতে একটি বিতর্কিত ইস্যুতে এটির পরিচালক ও একজন অভিনেতা প্রশাসনিকভাবে অভিযুক্ত হয়। ডেইলি স্টারে জাহিদ আকবর চলচ্চিত্রে তার অভিনয় সম্পর্কে লিখেন, "শাকিব খান নিজেকে কিছুটা হলেও ভাঙার চেষ্টা করেছেন এই চরিত্রে। এই ধারা অব্যাহত রাখলে নিজেকেই ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।"[১০৯]

২০২১ – বর্তমান

২০২১ সালে তার কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির কথা থাকলেও বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।

২০২২ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার বিদ্রোহীগলুইশাহীন সুমন পরিচালিত মারপিট-নাট্য চলচ্চিত্র বিদ্রোহীতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন শবনম বুবলি ও অভিষিক্ত সুচিস্মিতা মৃদুলা। চলচ্চিত্রটিতে খান পারিশ্রমিক ৬০ লাখ টাকা নেন, যা তাকে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।[১১০] চলচ্চিত্রটি নকল ও ভুল উচ্চারণের জন্য সমালোচিত হয় এবং বক্স অফিসে ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়।[১১১] এসএ হক অলিক পরিচালিত ৫ম চলচ্চিত্র প্রণয়ধর্মী–বিয়োগান্তিক গলুইয়ে লালু চরিত্রে একজন ঢোলি (ঢোল বাদক) হিসাবে অভিনয় করেন,[১১২] যেখানে প্রথমবারের তার বিপরীতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন পূজা চেরি[১১৩] চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায়,[১১৪] তা সত্ত্বেও বক্স অফিসে ব্যবসায়িকভাবে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।[১১৫]

২০২৩ সালে মুক্তি পায় তপু খানের পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র রাজনৈতিক–মসলাদার লিডার: আমিই বাংলাদেশ, যেখানে তিনি একজন স্বাধীনচেতা যুবক হিসাবে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন শবনম বুবলি, যা জুটি হিসাবে তাদের ১২তম চলচ্চিত্র।[১১৬][১১৭] চলচ্চিত্রটি দর্শক-সমালোচকদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়। সমালোচকরা তার অভিনয়ের প্রশংসা করেন, কালবেলায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক লিখেন, চরিত্র ও অভিনয় বিশ্লেষণ করলে বলব দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন শাকিব খান। পুরো ছবি নিজ কাঁধে টেনেছেন।[১১৮] এটি মুক্তির পর বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং সুপারহিটের তকমা পায়।[১১৯] ২০২৩ সালের কোরবানির ঈদে মুক্তি পায় হিমেল আশরাফ পরিচালিত চলচ্চিত্র প্রিয়তমা, এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ভারতের ইধিকা পাল, যা জুটি হিসাবে তাদের ১ম চলচ্চিত্র। [১২০] চলচ্চিত্রটি দর্শক-সমালোচকদের ব্যাপক প্রসংশা লাভ করে । এটি মুক্তির পর বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং অলটাইম ব্লকবাস্টার তকমা পায়। চলচ্চিত্রটি ৪২ কোটি টাকা আয় করে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমা।[১২১]

২০২৪ সালে মুক্তি পায় হিমেল আশরাফ পরিচালিত চলচ্চিত্র রাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র),ভার্সেটাইল মিডিয়ার ব্যানারে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন আরশাদ আদনান । চলচ্চিত্রে একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাত্রার গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে । চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান , কোর্টনি কফি, তারিক আনাম খান এবং মাহিয়া মাহি। এছাড়াও ছাড়াও পার্শ্ব চরিত্র সমূহে দিলারা জামান , এজাজুল ইসলাম , আহমেদ শরীফ প্রমুখ অভিনয় করেছেন। [১২২] এটি মুক্তির পর বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং সুপারহিট তকমা পায়। একই বছরের বড় ঈদে মুক্তি পায় রায়হান রাফী পরিচালিত মুভি তুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)। এতে সাকিবের নায়কা হিসেবে অভিনয় করে মিমি চক্রবর্তী, নাবিলা । পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী। এছাড়াও বাংলাদেও ও ভারতের অনেক বিখ্যাত অভিনেতারা অভিনয় করেন।[১২৩] মুক্তির পর থেকে দেশ ও বিদেশে ব্যাপক প্রসংশা লাভ করে। প্রিয়তমার রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা হয়ে ওঠে। একই বছরের শেষের দিকে মুক্তি পায় অনন্য মামুন পরিচালিত দরদ (চলচ্চিত্র) চলচ্চিত্রটি। যাতে শাকিবখানের বিপরীতে অভিনয় করে ভলিউডের সোনাল চৌহান। চলচ্চিত্রটি কিছু সমালোচনার মুখে পড়লেও প্রসংশা পায় শাকিবখানের অভিনয় দক্ষতা ।

২০২৫ সালে মুক্তি পায় মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ১ম চলচ্চিত্র বরবাদ (২০২৫-এর চলচ্চিত্র)। রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন এর ব্যানারে প্রযোজিত সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন ইধিকা পাল। খল-নায়ক চরিত্রে দেখা যায় যীশু সেনগুপ্তকে । চলচ্চিত্রটি দর্শক মহলে প্রসংশা পায় এবং তুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র) এর গ্রস কালেকশনের রেকর্ড ভাঙে । চলচ্চিত্রটি প্রায় ৯০ কোটি টাকার গ্রস কালেকশন করে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।[১২৪] একই বছরে মুক্তি পায় রায়হান রাফী ও শাকিবখান জুটির ২য় চলচ্চিত্র তাণ্ডব (চলচ্চিত্র) চলচ্চিত্রটি। যেখানে শাকিবখানকে মিখাইন চরিত্রে দেখা যায়। চলচ্চিত্রটিতে বিশেষ চরিত্রে ক্যামিও দেন সিয়াম আহমেদ [১২৫] ও আফরান নিশু। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তৈরি হয় রায়হান রাফি ফিল্ম ইউনিভার্স । তান্ডব মুভিটির ২য় পর্ব তান্ডব ২ দেখা যাবে ২০২৬ সালে।

Remove ads

অন্যান্য কর্ম

সারাংশ
প্রসঙ্গ

চলচ্চিত্র সংগঠক

শাকিব খান ২০১১ সালের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে জয়লাভ করে সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[১২৬][১২৭] এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।[১২৮][১২৯][১৩০]

চলচ্চিত্র প্রযোজনা

২০১৪ সালে শাকিব খান এসকে ফিল্মস নামের একটি প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ফেব্রুয়ারি ২০২০-এর হিসাব অনুযায়ী তিনি তিনটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। ৫ বছর পর ২০১৯ সালে তার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা এসকে ফিল্মসের ব্যানারে পাসওয়ার্ড চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পুনরায় প্রযোজনায় ফেরেন এই অভিনেতা।[১৩১][১৩২][১৩৩] এটি মুক্তির দিক দিয়ে তার প্রযোজিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি হিমেল আশরাফ পরিচালিত প্রিয়তমা নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনায় হাত দেন।[১৩৪][১৩৫][১৩৬][১৩৭] চলচ্চিত্রটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করার কথা রয়েছে শবনম বুবলি[১৩৮] পরে অবশ্য চলচ্চিত্রটি আর মুক্তি পায়নি। বর্তমানে এটির চিত্রায়ণ চলছে।[১৩৯] তার সর্বশেষ প্রযোজিত চলচ্চিত্র বীর, যা ২০২০ সালের ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পায়। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি একসঙ্গে চারটি চলচ্চিত্র প্রযোজনার ঘোষণা দেন।[১৪০][১৪১][১৪২]

মঞ্চ অনুষ্ঠান

শাকিব খান অভিনয়ের পাশাপাশি অনেকগুলো মঞ্চ পরিবেশনাও করেছেন। খান ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্বাগতিক তিন দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কাবাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘ট্রাইনেশন বিগ শো’-এ মঞ্চ পরিবেশনা করেন।[১৪৩][১৪৪] ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ভারতীয় উৎপাদন ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট আয়োজিত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট মাঠে ২০১৯ টি১০ লীগ-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ পরিবেশন করেন তিনি।[১৪৫][১৪৬] যেখানে হিন্দি ভাষায় কথা বলে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় তাকে।[১৪৭][১৪৮][১৪৯] ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দুস্থ শিক্ষার্থী ও অনাথ শিশুদের সহায়তার জন্য আয়োজিত শ্রাবন্তী ও শাকিব খান নাইট নামের একটি বিচিত্রানুষ্ঠানে পশ্চিম ত্রিমোহনী ঝাঁঝরা ক্লাবে মঞ্চ মাতান খান, যেখানে তার সঙ্গে মঞ্চ মাতান ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়[১৫০][১৫১][১৫২][১৫৩] ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি চরফ্যাশন সরকারি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে মঞ্চ মাতান তিনি, যেখানে তার সঙ্গে মঞ্চ মাতান রিয়াজ, মৌসুমীপপি। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, চিফ হুইপ নুর-ই আলম চৌধুরী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব[১৫৪][১৫৫][১৫৬][১৫৭]

বিজ্ঞাপন

খান প্রথম বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন এশিয়ান ডুপ্লেক্স সিটি নামের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। এরপর ২০১৩ সালে এনার্জি ড্রিংকস "পাওয়ার"-এর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন তিনি।[১৫৮]

২০১৮ সালে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের "বেশি বেশি খুশি খুশি" শিরোনামের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন, যেখানে প্রথমবারের মতো একসাথে দেখা যায় শাকিব খান ও নুসরাত ফারিয়াকে[১৫৯][১৬০]

২০১৯ সালে খান আরও একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেন। আদনান আল রাজীব পরিচালিত এসএমসি ওরস্যালাইন এন-এর এই বিজ্ঞাপনচিত্রটিতে তাকে হারকিউলিস রূপে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আদনানের সঙ্গে আগেও একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। সেই কাজটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে মানুষের কাছে। তার চিন্তা ভাবনা বেশ চমৎকার। একেবারে অন্যরকমভাবে আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। বাকিটা টেলিভিশন পর্দায় দেখবেন দর্শকরা।”[১৬১][১৬২][১৬৩]

Remove ads

গণমাধ্যমে

সারাংশ
প্রসঙ্গ

শাকিব খানকে বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী অভিনেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। তাকে প্রায়ই "কিং খান" এবং "ঢালিউড কিং" হিসাবে সম্বোধন করা হয়, এছাড়াও "নাম্বার ওয়ান শাকিব খান" হিসাবেও সম্বোধন করা হয়।[] ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ তার জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, খান প্রায় দুই দশকের বর্ণাট্য কর্মজীবনে ২৪৩টিরও বেশি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং বাংলাদেশের অন্যতম সফল অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।[১৬৮] তার অভিনীত বেশির ভাগ চলচ্চিত্রই ব্যবসায়িক ও সমালোচিতভাবে সফল হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

২০১৩ সালে বাংলাদেশের এনার্জি ড্রিংক ‘পাওয়ার’ এর শুভেচ্ছাদূত হন শাকিব খান। খানের জন্য কোনো শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এটাই প্রথম আত্মপ্রকাশ।[১৬৯][১৭০] এরপর একই বছর তিনি এশিয়ান টাউন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের আবাসন প্রকল্প এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউনের শুভেচ্ছাদূত হন। যেখানে তিনি একবছরের জন্য বিজ্ঞাপনচিত্রসহ এর বিভিন্ন প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন।[১৭১][১৭২]

২০১৯ সালে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ক্রোড়পত্র কলকাতা টাইমস এর ‘কলকাতা টাইমস মোস্ট ডিজায়ারেবল ম্যান’ জরিপে সেরা ২০জন তারকার তালিকায় প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশী হিসাবে স্থান করে নেন তিনি।

২০১৮ সালে ভারতে শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর ব্যবসা, দর্শকদের চাহিদা ও সহশিল্পী সবকিছু বিবেচনা করে কলকাতা টাইমস সেরা ২০ তারকার মধ্যে ১৮-তে স্থান দেয় খানকে।[][১৭৪][১৭৫][১৭৬][১৭৭]

Remove ads

ব্যক্তিগত জীবন

সারাংশ
প্রসঙ্গ
Thumb
Thumb
শাকিব খানের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাস (বাঁ), প্রাক্তন স্ত্রী শবনম বুবলি (ডান)

শাকিব খান ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল তার গুলশানের বাড়িতে তার সর্বাধিক চলচ্চিত্রের সহশিল্পী অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেন।[১৭৮] বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমে গোপন রাখা হয়। পরে ২০১৭ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বিয়ের করার কথা অপু বিশ্বাস জানান।[১৭৯] বিয়ের পর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম রাখা হয় আব্রাম খান জয়।[১৮০]

২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর শাকিব খান তালাকের জন্য আবেদন করেন[১৮১][১৮২] এবং ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির তালাক সম্পন্ন হয়।[১৮৩][১৮৪]

শাকিব খান ক্রিকেট খেলার ভক্ত। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ভক্ত ও বন্ধু।[২৫]

চিত্রনায়ক শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করছেন। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ইবি ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তিনি। ২০২০ সালে একটি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তার নাগরিকত্ব লাভের বিষয়টি দেখাশোনা করছে আমেরিকাপ্রবাসী এক নেপালি উকিল।[১৮৫]

রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি

২০১৮ সালে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল শাকিব খানের। ২০১৮ সালের ১০ নভেম্বর তিনি জানান যে, ১১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনবেন।[১৮৬][১৮৭][১৮৮][১৮৯]

যদিও এদিন রাতেই তিনি তার সিদ্ধান্ত বদল করেন এবং জানান যে, তিনি নির্বাচন করছেন না। তিনি বলেন, "সি‌নেমা ছে‌ড়ে এখনই আমার অন্য কিছু নি‌য়ে ব্যস্ত হওয়া ঠিক হ‌চ্ছে না। সি‌নেমায় থে‌কেও দে‌শের সেবা করা সম্ভব। তাই ঘ‌নিষ্ঠ‌দের স‌ঙ্গে আলোচনা ক‌রেই নির্বাচ‌নে অংশ না নেয়ার ব্যাপা‌রে সিদ্ধান্ত নিলাম।"[১৯০][১৯১][১৯২]

এরপর তিনি একই নির্বাচনে একটি ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট চান। ১ মিনিটের ঐ ভিডিও বার্তায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাকে ‘মমতাময়ী মা’ ও উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন শাকিব খান।[১৯৩][১৯৪][১৯৫]

অসুস্থতা

শাকিব খান প্রথম বড় ধরনের অসুস্থ হন ২০০৮ সালে, সে সময় চিকিৎসার জন্য তাকে যেতে হয়েছিল থাইল্যান্ড। তখন থেকেই তার অসুস্থতা চিন্তার কারণ হয়েছে নির্মাতাদের। বর্তমানে তিনি নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যান।[১৯৬]

২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল শাকিব খান বুকে ও ঘাড়ের ব্যাথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হন। সেখানে তিনি গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন।[১৯৭][১৯৮][১৯৯][২০০][২০১]

এরপর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সুপার হিরো চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণ চলাকালীন সময় প্রচণ্ড জ্বরের কারণে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়ে দুদিন চিকিৎসা নেন খান।[২০২][২০৩][২০৪][২০৫]

২০১৯ সালে ২৮ ডিসেম্বর বীর চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণ চলাকালীন খান ঠাণ্ডা জ্বর ও গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যার কারণে পুনরায় ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন।[২০৬][২০৭][২০৮][২০৯]

Remove ads

সমালোচনা

সারাংশ
প্রসঙ্গ

২০১৭: চলচ্চিত্র সংগঠন কর্তৃক অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা

২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস নিউজ টোয়েন্টিফোরে লাইভ অনুষ্ঠানে শাকিব খানের সঙ্গে তার গোপন বিয়ে এবং তাদের সন্তানের খবর জানান।[১৭৯] এর প্রতিক্রিয়ায় ১৬ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব খান বলেন, ‘‘এখন যেহেতু বেশি সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে না, তাই বেকার লোকের সংখ্যাও একটু বেশি। পরিচালক সমিতির তালিকায় দেখবেন অনেক পরিচালক। তারা এফডিসিতে আড্ডা মারছেন। কিন্তু কাজ করছেন কতজন? শিল্পী এবং প্রযোজকদেরও একই অবস্থা।’’[২১০][২১১][২১২] খানের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এবং চলচ্চিত্রপাড়ায় তাকে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এরপর ২০১৭ সালের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিসহ ১২টি চলচ্চিত্র সংগঠন যৌথভাবে খানকে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে।[২১৩][২১৪][২১৫] বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার এবং মহাসচিব বদিউল আলম খোকন স্বাক্ষরিত নিষেধাজ্ঞার ওই বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট কুশলীদের সব সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়, যেহেতু চিত্রনায়ক শাকিব খান দেশের সমগ্র চলচ্চিত্র পরিচালকদের অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে জাতীয় দৈনিকসহ গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। বর্তমানেও একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সব কুশলী মনে করেন, শাকিব দেশের চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট কুশলীদের তুচ্ছজ্ঞান করেছেন। কারণ, পরিচালকই হচ্ছেন 'ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ'। তাদের অপমান করা মানে কুশলীদের অপমান করা। তাই আজ (শনিবার) থেকে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য শাকিব খানের সঙ্গে কোনো সিনেমার শুটিং ও ডাবিংয়ের কাজে অংশগ্রহণ করবেন না।’’[২১৬][২১৭]

চলচ্চিত্রে নিষিদ্ধ করার প্রতিক্রিয়ায় শাকিব খান বলেন, ‘‘এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। বিষয়টি নিয়ে কাজী হায়াৎ, ফারুক ভাই, বাপ্পারাজ ভাই কথা বলেছেন। কিন্তু পরিচালক সমিতি কোনো কথা না শুনে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিল যা ব্যক্তিগত আক্রোশ ছাড়া আর কিছুই নয়।’’[২১০]

২০১৭: প্রতারণা ও মানহানির মামলা

২০১৭ সালে রাজনীতি চলচ্চিত্রের একটি সংলাপে বাংলাদেশের হবিগঞ্জের ইজাজুল মিয়া নামের এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করায় খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন ইজাজুল মিয়া। একই মামলায় রাজনীতি চলচ্চিত্রের পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক আহমেদকেও অভিযুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর হবিগঞ্জের একটি আদালতে মামলাটি করেন অটোরিকশা চালক ইজাজুল মিয়া।

ইজাজুল মিয়া মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘রাজনীতি’ সিনেমার একটি অংশে (সিনেমার ২৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডর সময়) সংলাপ দিতে গিয়ে নায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এভাবে বারবার আর কোনো দিন চলে যেতে দেব না আমার স্বপ্নের রাজকুমার।’ জবাবে নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘আমিও তোমাকে আর ছেড়ে যাব না আমার রাজকুমারী।’ অপু বিশ্বাস আবার বলেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি যে “রাজকুমারী” তুমি তা জানলে কী করে?’ জবাবে শাকিব খান বলেন, ‘যেভাবে তুমি জানো, আমার মোবাইল নম্বর...।’[২১৮][২১৯][২২০][২২১][২২২][২২৩][২২৪]

মামলার ব্যাপারে খান বলেন, ‘‘একজন শিল্পী হিসেবে আমি শুধু আমার সংলাপ বলেছি। সেটা কার মোবাইল ফোনের নম্বর, নম্বরটা সঠিক কি না, এটা আমার দেখার বিষয় নয়। তা আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এটা আসলে ছবির প্রযোজক, পরিচালক আর স্ক্রিপ্ট রাইটারের ব্যাপার। এটা তাঁদের ওপর বর্তায়। আমার জায়গায় যদি অন্য কোনো হিরোর মুখ দিয়ে সংলাপটা যেত, তার তো কিছু করার ছিল না।’’[২২৫]

২০১৯: মন্তব্যের জেরে সমালোচনা

২০১৯ সালের ২৭ মে পাসওয়ার্ড চলচ্চিত্রের প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রেম’স কালেকশন নামে একটি ফ্যাশন হাউজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শাকিব খান নিজেকে চলচ্চিত্রের উপর ডক্টরেট দাবি করেন এবং জানান যে সুন্দরবনেও তিনি আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র বানিয়ে দেখাতে পারবেন।[২২৬] ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।[২২৭][২২৮] অনেকেই তার সমালোচনা করে বিভিন্ন হাস্যরসাত্মক মন্তব্য, স্ট্যাটাস ও ভিডিও তৈরি করেন। নিজের এই বক্তব্য সম্পর্কে শাকিব খান বলেন, “আমি আসলে যেভাবে কথাটা বোঝাতে চেয়েছি সেভাবে অনেকে বুঝতে পারেননি। আমি বোঝাতে চেয়েছি যেহেতু আমি সিনেমা করতে ভালোবাসি, আমার অভিজ্ঞতাও অনেক। সে অর্থে নিজেকে ডক্টরেট বলেছি। হাজার প্রতিকূলতা এলেও আমি সিনেমা তৈরি করতে প্রস্তুত। এটা বোঝাতে চেয়েছি।”[২২৯]

অপরদিকে, চলচ্চিত্রটির পরিচালক মালেক আফসারী শাকিব খানের এই বক্তব্য সম্পর্কে বলেন যে, “সুন্দরবন তো জঙ্গল, ওখানে তো পাঁচতারকা হোটেল নেই। যে কয়দিন থাকব কষ্ট করেই থাকতে হবে। ওটাই সে বুঝাতে চেয়েছে যে, আমাকে যদি সুন্দবনেও ছেড়ে দেন তাহলেও আন্তর্জাতিক মানের ছবি বানাতে পারব।”[২৩০]

২০১৯: শাপলা মিডিয়া কর্তৃক আইনি নোটিশ

২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর একটু প্রেম দরকার (বর্তমানে বিদ্রোহী নামেও পরিচিত) শিরোনামের একটি চলচ্চিত্রের কাজ সময়মতো শেষ না করায় খানের নিকট আইনি নোটিশ পাঠায় চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া।[২৩১][২৩২][২৩৩] নোটিশটি খানকে পাঠানোর পাশাপাশি এর অনুলিপি তথ্য মন্ত্রণালয়, সচিবালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশক, পরিচালকশিল্পী সমিতি বরাবরেও পাঠানো হয়।[২৩৪][২৩৫]

অভিযোগ প্রসঙ্গে খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমি অবশ্যই ছবির বাকি কাজ শেষ করবো। তার জন্য কয়েকদিন সময়ও রেখেছি। আমি কোনো অভিযোগপত্র পাইনি। এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাইছি না।”[২৩৬]

২০১৯: রাজউক কর্তৃক জরিমানা

২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর ঢাকার গুলশান নিকেতনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নকশা না মেনে একটি বাড়ির অবৈধভাবে বর্ধিত অংশ নির্মাণ করায় রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত শাকিব খানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।[২৩৭][২৩৮][২৩৯][২৪০]

২০২০: গানের অধিকার ইস্যু

২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পাসওয়ার্ড চলচ্চিত্রে "পাগল মন" শিরোনামের একটি গানের প্রথম দুই পঙ্‌ক্তি বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করায় ২০২০ সালের ২৯ জুন শাকিব খান ও মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গানটির মূল কণ্ঠশিল্পী দিলরুবা খান।[২৪১][২৪২] এর আগে ২৮ জুন একই অভিযোগে শাকিব খানের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দিলরুবা খান।[২৪৩][২৪৪][২৪৫]

২০১৬: সিডনি ধর্ষণ কেলেঙ্কারি

২০২৩ সালের ১৫ই মার্চ অপারেশন অগ্নিপথ চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্লাহ শাকিব খানের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্রটির আরেক নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।[২৪৬][২৪৭] রহমত উল্লাহ অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে চলচ্চিত্রটির এক নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। ২০১৮ সালে তিনি পুনরায় অস্ট্রেলিয়া গেলে সেই অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে।[২৪৮] প্রযোজক রহমত উল্লাহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিবাংলাদেশ চলচ্চিত্র ক্যামেরাম্যান সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেন।[২৪৮] অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, “তিনি (শাকিব খান) আমাদের একজন নারী সহপ্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এ ঘটনার পর তিনি ও তাঁর পরিবার সামাজিকভাবে যে গ্লানি এবং কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তাঁর নিজের ও তাঁর পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।” এছাড়াও তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে পুনরায় অস্ট্রেলিয়ায় গেলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হন তিনি।[২৪৯][২৫০]

পরে ১৮ মার্চ রাতে এ অভিযোগকে ভুয়া দাবি করে ওই প্রযোজকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে গুলশান থানায় যান তিনি। তবে পুলিশ মামলার আবেদন গ্রহণ করেনি। মামলাটি আদালতে করার পরামর্শ প্রধান করে।[২৫১][২৫২][২৫৩] পরেরদিন ১৯ মার্চ পুলিশের মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।[২৫৪][২৫৫][২৫৬]

পরের দিন ২০ মার্চ শাকিব খানের অস্ট্রেলিয়ান আইনজীবী উপল আমিন এক ভিডিও বার্তায় জানান, ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়াতে শুটিংকালে শাকিব খানের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। পরে সেখানকার পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ গেলে তখনই সেটির নিষ্পত্তি করা হয়।[২৫৭] তিনি আরও বলেন, “কখনো তাঁর (শাকিব খান) নামে কোনো অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) ছিল না, মামলা ছিল না, তাঁকে কখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাহলে তো অস্ট্রেলিয়া থেকে তাঁর তো পালানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।”[২৫৮] এরপর ২২ মার্চ আরেকটি এক ভিডিও বার্তায় আইনজীবী উপল আমিন অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ অথরিটির কাছ থেকে পাওয়া একটি কনফার্মেশন লেটার (নিশ্চিতকরণ চিঠি) প্রকাশ করেন। সেন্ট জর্জ ডিটেকটিভ কার্যালয়ের পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া সেই ইমেইলও ভিডিওতে দেখান তিনি।[২৫৯][২৬০]

এরই পরিপেক্ষিতে ২৩ মার্চ ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে নালিশি মামলা করেন তিনি।[২৬১] খানের আইনজীবী তানভীর আহম্মেদ প্রথম আলোকে জানান, আদালত শাকিব খানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালত মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল প্রযোজক রহমত উল্লাহকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।[২৬২] এরপর ২৭ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেন তিনি।[২৬৩][২৬৪] প্রথম আলো জানায়, সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। ২০২৩ সালের ৬ জুনের মধ্যে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা নির্দেশ প্রদান করেন।[২৬৫][২৬৬]

এরপর ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল প্রযোজক রহমত উল্লাহ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।[২৬৭][২৬৮][২৬৯] আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়।[২৭০][২৭১] এ প্রসঙ্গে শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান জানায়, তারা বিষয়টি জেনেছেন, তার মক্কেল শাকিব খানের বিরুদ্ধে নালিশি আবেদন করা হয়েছে। আদালত সেটি সরাসরি আমলে না নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।[২৭২][২৭৩]

২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল রহমত উল্লাহ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।[২৭৪][২৭৫][২৭৬] অবশ্য বাদীপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় রহমত উল্লাহর জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আদালত মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেয়।[২৭৭][২৭৮][২৭৯] এরপর ৩০ এপ্রিল প্রযোজক রহমত উল্লাহ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে খানের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে ১০০কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানি স্যুট (অর্থ আদায়ের মোকদ্দমা) আরেকটি মামলা করেন।[২৮০][২৮১][২৮২][২৮৩] রহমত উল্লাহর আইনজীবী মো. তাবারক হোসেন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে জানায়, “তাঁর মক্কেল প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক শাকিব খান বিভিন্ন গণমাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে রহমত উল্লাহ অপূরণীয় আর্থিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন। এই ক্ষতির মূল্যমান ১০০ কোটি টাকা। এই টাকা আদায়ের জন্য তাঁর মক্কেল আজ রোববার মানিস্যুট মামলা করেছেন।”[২৮৪]

Remove ads

পুরস্কার ও সম্মাননা

আরও পড়ুন

  • প্রতিবেদক, কাগজ (২৮ মার্চ ২০১৮)। "শাকিব খানের অজানা ৪০"দৈনিক ভোরের কাগজ। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০২০
  • উঠেছে পঞ্চমীর চাঁদ (১৩ মে ২০১৮)। "শাকিব খানের অজানা পাঁচ"বাংলা ট্রিবিউন। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০২০
  • রেজানুর রহমান (১৬ জুলাই ২০১৭)। "শাকিবনামা"আনন্দ আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

আরও দেখুন

পাদটীকা

  1. দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া তার জন্ম ১৯৮৪ সালের ২৮ মার্চ বলে উল্লেখ করে।[]
  2. চলচ্চিত্রটির ৮৫ শতাংশ কাজ পরিচালনা করেছেন রাশেদ রাহা। বাকি অংশের পরিচালনা করেছেন ইফতেখার চৌধুরী। যদিও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক এটি সাকিব সনেট ও তার দল নামে ছাড়পত্র পায়।[৯৩][৯৪][৯৫][৯৬][৯৭]
  3. খানকে সম্বোধিত উপাধি সমূহের উল্লেখযোগ্য সূত্রসমূহ।[১৬৪][১৬৫][১৬৬][১৬৭]
  4. টাইমস অফ ইন্ডিয়ার জরিপটি এখানে দেখুন।[১৭৩]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads