শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

তামা

একটি ধাতু উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

তামা
Remove ads

তামা একটি রাসায়নিক মৌল যার চিহ্ন Cu এসেছে ল্যাটিন শব্দ কিউপ্রাম (cuprum) থেকে এবং এর পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক ২৯। তামা একটি নমনীয় ধাতু এবং এর তাপীয় ও বৈদ্যুতিক পরিবাহীতা খুব উঁচু দরের তাই অনেক বিজলিবাহী তারের মধ্যেই তামার তার থাকে । বিশুদ্ধ তামা খুব বেশি নরম ও নিজস্ব উজ্জ্বল বর্ণ সমন্বিত কিন্তু আবহাওয়ার সংস্পর্শে এর বাইরে একটি লালচে-কমলা বিবর্ণ স্তর তৈরী হয়। তামা ও তামার বহু মিশ্র ধাতু (যেমন ব্রোঞ্জ, পিতল ইত্যাদি) অনেক হাজার বছর ধরে মানুষের নিত্য সঙ্গী । প্রাচীনকালে তামার অনেক খনির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তার মধ্যে সাইপ্রাস (লাতিনে Cyprus ক্যুপ্রুস্‌) দ্বীপের খনিগুলো সবচেয়ে তাৎপর্যময়। অনেকের মতে তামার ইংরেজি নাম কপার (ল্যাটিন ভাষার এর নাম Cuprum কুপ্রুম) শব্দটি এখান থেকে এসেছে।

দ্রুত তথ্য উপস্থিতি, আদর্শ পারমাণবিক ভরAr°(Cu) ...
Remove ads

আবিষ্কারের ইতিহাস

সারাংশ
প্রসঙ্গ

ফরাসি রসায়নবিদ এম. বারথেলটের মতানুসারে মানুষ পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি আগে থেকে তামার সাথে পরিচিত ছিল। অনেকের মতে আরও আগে থেকে এই পরিচয় ঘটেছিল। বহুকাল পূর্ব থেকেই ব্রোঞ্জ ছিল সর্বাধিক ব্যবহৃত ধাতু। এই ধাতুটি মূলত তামা এবং টিন-এর সংকর। এই দুই মৌলিক পদার্থ মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিশেষ যুগের নির্দেশনা প্রদান করে যাকে বলা হয় ব্রোঞ্জ যুগ। তামা, যুগ বিনির্মাণে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। প্রকৃতিতে তামার প্রাচুর্য মধ্যম ধরনের। প্রাথমিক যুগে মানুষ কেবল প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে প্রাপ্ত তামাই ব্যবহার করতো। কিন্তু পরবর্তীতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আকরিক থেকে তামা নিষ্কাশনে বাধ্য হয় মানুষ। যেসব আকরিকে তামার আধিক্য রয়েছে তা থেকে এটি নিষ্কাশন বেশ সহজসাধ্য। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে নানাবিধ যন্ত্রপাতি তৈরীতে তামা ব্যবহৃত হতো। চিয়োপ্‌স-এর (cheops) মিশরীয় পিরামিড তৈরীতে পাথরের যে সুবৃহৎ খণ্ডগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো কাটতে তামার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

কপার বর্ণালী

ব্রোঞ্জ আবিষ্কার ছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিপ্লব। এর পর পাথরের সব জিনিসপত্র ব্রোঞ্জ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দেও ব্রোঞ্জের ব্যবহার ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। মাইসিনিয়ান যুগের সূচনাতে গ্রীসে ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরি বিশেষ প্রসার লাভ করেছিল। এটি ছাড়াও তামার অপর বিস্ময়কর সংকর হল পিতল। তামার সঙ্গে দস্তার আকরিক গলিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। প্রাচীন মিশর, ভারত, অ্যাসিরীয়া, রোমগ্রীসে তামা, ব্রোঞ্জ ও পিতলের ব্যবহার জানা ছিল। অস্ত্র তৈরীতে তামা ও ব্রোঞ্জ উভয়টিই ব্যবহৃত হতো। আলতাই, সাইবেরিয়া এবং ট্রান্স ককেশাস অঞ্চলে খননকার্য চালিয়ে অষ্টম থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর ব্রোঞ্জ ও তামার ছুরি, তীরের ফলা, ঢাল, শিরস্ত্রাণ পাওয়া গেছে। গ্রীস।গ্রীসেরোম।রোমে তামা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে ঢাল ও শিরস্ত্রাণ তৈরি হতো। তামার নানা গুরুত্ব রয়েছে :

Thumb
তাম রয়েছে া'র তৈরি অলংকার
Remove ads

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads