Loading AI tools
বাংলাদেশের শহর অনুযায়ী জনসংখ্যা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে ১,০০০০০ বা তার বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট ৪৩ টি শহর রয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নারায়ণগঞ্জ,গাজীপুর এবং কুমিল্লা এর মত বড় শহরগুলোর জন্য সিটি কর্পোরেশন গঠনের ক্ষেত্রে, এসব শহরের আশেপাশের কিছু শহরকে নিয়ে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার শহরমুখী হওয়ার ফলে ২০১১ সালের আদমশুমারির হিসেব অনুযায়ী নির্ধারিত বড় শহরের সংখ্যা এবং জনসংখ্যানুযায়ী শহরের ক্রমমান বর্তমানে পরিবর্তিত হয়েছে। টঙ্গী ও গাজীপুর শহরের পরিচালনার জন্য ১৯৭৪ সালে ৩২.৩৬ বর্গ কি.মি. আয়তনের টঙ্গী পৌরসভা এবং ১৯৮৬ সালে ৪৮.৫০ বর্গ কি.মি. আয়তনের গাজীপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালে তৎকালীন ঢাকা জেলা হতে পৃথক করে গাজীপুর জেলা গঠন করা হলে গাজীপুর জেলা শহরে পরিণত হয়। তাই প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির (নিকার) সভায় টঙ্গী ও গাজীপুর পৌর এলাকা এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্টের ১৮৮৮.৩৮ একর এলাকা নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয় এবং ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার ফলে টঙ্গী শহর এখন গাজীপুর শহরের একটি উপশহরে পরিণত হয়েছে।[1] ব্রিটিশ সরকার ১৮৭৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ২৭,৮৭৬ জন জনসংখ্যা অধ্যুষিত ৪.৫ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা গঠন করে। এর পাশাপাশি সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল নামক দুটি বড় শহরের নাগরিক সেবা ও শহরের অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্ধেশ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা এবং কদমরসুল পৌরসভা গঠিত হয়। কালক্রমে নারায়ণগঞ্জ একটি বৃহৎ নগরী ও বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়। তাই এ শহর পরিচালনার জন্য সিটি কর্পোরেশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ০৫ই মে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা , সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা ও কদমরসুল পৌরসভা এ তিনটি পৌরসভাকে যথাক্রমে একীভুত করে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) প্রতিষ্ঠা বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার প্রায় ৭২.৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হয় যার ফলে সিদ্ধিরগঞ্জ শহর ও কদমরসুল শহর নারায়ণগঞ্জ মহনগরীর উপশহরে পরিণত হয়েছে। [2] ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৯৭ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত কুমিল্লা একটি দ্রুত বর্ধনশীল শহর। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন শহর কুমিল্লার জন্য ১৮৬৪ সালে কুমিল্লা পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার উপজেলা ব্যবস্থা প্রণয়ন করলে তৎকালীন কুমিল্লা শহরটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০০৫ সালের দিকে নির্মিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মধ্যে দিয়ে যায় যার ফলে এলাকাটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে থাকে। ফলে নতুন করে গড়ে উঠা শহরটির পরিচালনার জন্য কুমিল্লা আদর্শ সদর পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ বর্তমান কুমিল্লা শহরটি সেসময় প্রশাসনিকভাবে কুমিল্লা আদর্শ সদর এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ এ দুটি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। পরে এই দুটি পৌরসভা বিলুপ্ত করে এবং তাদের অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। যার ফলে ২০১১ বাংলাদেশ আদমশুমারীতে উল্লিখিত প্রশাসনিকভাবে বিভক্ত কুমিল্লা আদর্শ সদর শহর এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ শহর একীভূত হয়ে বর্তমান কুমিল্লা শহরে পরিণত হয়েছে।[3] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী ১০০,০০০ বা তার বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট শহরগুলোকে বড় শহর এবং ১ কোটি বা তার বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট শহরকে মেগাসিটি বা অতিমহানগরী বলা হয়।বাংলাদেশে বর্তমানে ১টি অতিমহানগরী এবং ৪৪টি বড় শহর রয়েছে। নিম্নোক্ত তালিকাটি বাংলাদেশের এসব শহরকে নির্দেশ করে:
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.